হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ এর রুলনিশি গুলশান-বনানী লেকের উপর ব্রীজ নির্মাণকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না
হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ এর রুলনিশি
গুলশান-বনানী লেকের উপর ব্রীজ নির্মাণকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না
 
বায়োবিলিটি এনভায়রনমেন্টাল এসেসমেন্ট, ইনিশিয়াল এনভায়রনমেন্টার এক্সামিনেশন রিপোর্ট ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে কেন গুলশান-বনানী লেকের উপর ব্রিজ নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এ মর্মে আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করে আদালত। গতকাল ১০ মার্চ ২০০৮ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। নগরীর জলাশয় ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জনগণের প্রাতঃভ্রমণ ও বৈকালিক ভ্রমণের স্থান গুলশান-বনানী লেকের উপর ব্রিজ নির্মাণের সরকারী পরিকল্পনার উপর রুলনিশি জারি করেছে মাননীয় আদালত। এছাড়া গত ২৫ ফেব্র“য়ারী ২০০৮ লেকের উপর ব্রিজ নির্মাণের সরকারী পরিকল্পনার উপর ১০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও গুলশান সোসাইটির পক্ষে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ হাইকোর্টের এক ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। পবা ও গুলশান সোসাইটির পক্ষে উক্ত মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিষ্টার সারা হোসেন। 
 
উল্লেখ্য, গুলশান-বনানী লেক ও সংলগ্ন এলাকাকে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বিপজ্জনক পরিবেশ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পবা ও গুলশান সোসাইটি গুলশান-বনানী লেকের পরিবেশ ধবংস এবং লেকে নৌ চলাচলের পরিবেশ বিনষ্ট করে নিয়মবহির্ভূতভাবে লেকের উপর সংযোগ সড়ক ও ব্রীজ নির্মাণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিবেশ উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে যানজট নিরসনের অজুহাতে লেকের উপর ব্রিজ নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখে। ফলে পবা ও গুলশান সোসাইটি আদালতে রিট দায়ের করে, যে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ আদালত নির্দেশ প্রদান করে।
 
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক পরিবেশবিদ আবু নাসের খান বলেন, গুলশান-বনানী লেক নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা নগরীর পরিবেশের ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারে। এ এলাকায় কোন নির্মাণকাজ করতে হলে অবশ্যই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। একইসঙ্গে যানজট নিয়ন্ত্রিত হোক, এটাও আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু প্রাইভেট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ না করে নতুন নতুন রাস্তা সৃষ্টি করাই কি যানজট নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায়? এ লেকে নৌ চলাচল সৃষ্টি করা যেতে পারে। যদি এ লেকে সংযোগ সড়ক কিংবা ব্রিজ করতে হয় তবে সেটাও অবশ্যই নগরীর পরিবহন পরিকল্পনার অংশ হতে হবে এবং তাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন লাগবে।