রূপনগর-দুয়ারীপাড়া খাল ভরাটকারী ভূমিদস্যুরা এলাকার অর্ধসহস্রাধীক জনসাধারণ ও পবা এর প্রতিনিধি দ্বারা প্রশ্নের সম্মুখীন
রূপনগর-দুয়ারীপাড়া খাল ভরাটকারী ভূমিদস্যুরা
এলাকার অর্ধসহস্রাধীক জনসাধারণ ও পবা এর প্রতিনিধি দ্বারা প্রশ্নের সম্মুখীন
 
রূপনগর-দুয়ারীপাড়া খাল ভরাটকারী ভূমিদস্যুরা পল্লবীর রুপনগর এলাকার অর্ধসহস্রাধীক জনসাধারণ ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর প্রতিনিধি দ্বারা বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর/ ০৮, শুক্রবার, সকাল ১০:০০ টায় এলাকার  সর্বস্তরের শত শত জনসাধারণ রাস্তায় নেমে এসে খাল ভরাটের প্রতিবাদ জানিয়ে রুপনগরের ২০ ও ২১ নং রোডের মাথায় “খাল দখল বন্ধ কর” “খাল ভরাটকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই” এ ধরনের বিভিন্ন প্লেকার্ড বহন সহ এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। 
 
পল্লবীর ধমনীখ্যাত রূপনগর-দুয়ারীপাড়া খালটি ক্রমেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেনীর ভূমিদস্যুরা প্রসস্ত এই খালটি ভরাট করে ড্রেনে পরিণত করেছে। রুপনগর আবাসিক এলাকার ২০ ও ২১ নং রোডের পশ্চিম প্রান্তে ভরাট হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ রূপনগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা সামান্য ড্রেনের পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এছাড়া বিদ্যমান জলাশয়ের উপর বাঁশ-খূটির ঠাসা টঙঘর তৈরি হওয়ায় পলিথিন ও ময়লা আটকিয়ে পানি প্রবাহে বিঘœ সৃস্টি সহ অসহনীয় দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাতে অত্র এলাকার লোকজনের বসবাস করা দূস্বাধ্য হয়ে যাচ্ছে। 
 
মিরপুর ২ নং সেকশনে, রাইনখোলা, চিড়িয়াখানার ঢাল, ৬ ও ৭ নং সেকশনসহ পশ্চিম পল্লবীর বৃষ্টি, কলকারখানা  ও বাড়িঘরের ব্যবহৃত পানি প্রবাহের এটিই একমাত্র নালা বা খাল। জায়গাটি আশপাশের এলাকা থেকে ১৫/২০ ফিট নীচে অবস্থিত হওয়ায় এলাকার সমস্ত পানি গড়িয়ে এই খালের মাধ্যমে তুরাগে নিষ্কষিত হয়। খালটি ভরাট হলে পশ্চিম পল্লবীর রূপনগর, আরামবাগ, আরিফাবাদ, পল্লবী ২য়পর্ব সহ বিস্তির্ন এলাকা সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যাবে। ভোগান্তি বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার ৩ লক্ষ মানুষ। আরো জানা যায়, সরকার খালটির গুরুত্ব উপলব্দি করে ২৬ খাল উদ্ধার প্রকল্পের অন্তর্র্ভুক্ত করেছে। রূপনগর দুয়ারীপাড়া খাল এবং প্রিন্স আয়রন থেকে আরিফাবাদ পর্যন্ত রুপনগর খাল এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।