ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করে নিকুঞ্জ লেক ভরাট/দখল বন্ধ কর
ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করে
নিকুঞ্জ লেক ভরাট/দখল বন্ধ কর
 
নিকুঞ্জ-১ (দক্ষিণ) আবাসিক এলাকার লেকটি ইভেন্স গ্র“প নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে ভরাট-দখল করে চলেছে। যারা এই লেক ভরাটের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে তাদেরকে জীবন নাশেরও হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। এ মাসেই চারটি খাল দখলমুক্ত করার সরকারীভাবে ঘোষণার পরও অর্থলিপ্সু ব্যক্তি/গোষ্ঠী বিপুল অর্থ ও পেশি শক্তি ব্যবহার করে এই নিকুঞ্জ লেকটি ভরাট কার্যত্রম অব্যাহত রেখেছে। রাজউক প্রণীত প্রকল্পের লে-আউটে এটি লেক হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। ভূমিদস্যুরা যদি এই লেকটি ভরাট করে ফেলে তাহলে নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার শত শত পরিবার জলাবদ্ধতা সহ এলাকাটি চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হবে। অবিলস্বে এ লেকটির ভরাট অংশ পূন:খনন করা এবং ভরাটকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ লেকটি কতিপয় দূর্নীতিবাজ ভূমিদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। আজ ২৩ অক্টোবর ২০১০ শনিবার নিকুঞ্জ (দক্ষিণ) আবাসিক এলাকা-১ নং গেটে পরিবশে বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও  নিকুঞ্জ (দক্ষিন) আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি এর যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধনে বক্তাগন এ দাবী জানান।  
 
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোঃ রুহুল আমীন, নিকুঞ্জ (দক্ষিন) আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জনাব ফারুকুল ইসলাম, পবা’র সহ: সম্পাদক তৌফিকুর রহমান সেন্টু, সাবেক সচিব জনাব তাজ মোহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার (অব:) ইকবাল হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান স্থপতি আব্দুল আজিজ, সাবেক সচিব জনাব মোক্তাদির চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার নিউজ এ্যডভাইজার খন্দকার মোহিতুল ইসলাম, বিটিআরসি’র সাবেক কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, দিলারা বেগম এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গাজী লুৎফুল কবীর সুমন। এছাড়াও এলাকার শত শত এলাকাবাসী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।         
 
বক্তারা বলেন, মহানগরী ঢাকার ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নামা, তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া, ভূমিকম্পের ঝুকি বৃদ্ধি পাওয়াসহ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ জলাশয়গুলোর বিলুপ্তি। তারপরও একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে প্রাণপ্রদায়ী এ জলাশয়গুলো। তাছাড়া মহানগরী সহ দেশের সকল পৌর এলাকার জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৩৬ নং আইন) জারির পর থেকে আইনের বিধান অনুযায়ী কোন জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেনী পরিবর্তন করা যাবেনা বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাবেনা বা অন্যরুপে ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাবেনা । সুস্পষ্ট আইন থাকার পরেও লেক, খাল দখলকারীদের অপতৎপরতা রোধ করা যাচ্ছেনা। সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তুলনায় দখলকারীদের শক্তি কী সত্যিই বেশী তা আজ জনমনে প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই এ জাতীয় সংশয়ের সমাধান করা জরুরী।  
 
নিকুঞ্জ লেকটি দখলমুক্ত করণে পদক্ষেপ গ্রহণ অতিব জরুরী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর দাবী সমূহ: 
 
১. লেকটির উত্তরাংশের যেটুকু ইতোমধ্যে বালু দ্বারা ভরাট করা হয়েছে তা পুন:খনন করে পূর্বের অবস্থায় ফেরৎ আনা, যাতে নিকুঞ্জ এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা পুণঃস্থাপন হতে পারে।
২. লেকটির পশ্চিম দিক থেকে যে ক্রমাগত ভরাটের কাজ চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করা
৩. লেকের উত্তরের ভরাট অংশে এবং দক্ষিণ পশ্চিমের জলাশয়ের মধ্যে যাতে স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনও রকম ভূমি ব্যবস্থার ছাড়পত্র প্রদান না করা।
৪. লেক দখলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান।