‘পবা’র বিষমুক্ত খাদ্য আন্দোলন’ ফরমালিন বিরোধী নাগরীক অভিযান শুরু
 
‘পবা’র বিষমুক্ত খাদ্য আন্দোলন’
ফরমালিন বিরোধী নাগরীক অভিযান শুরু
 
দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবেশবাদী বিশেষ করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর বিষমুক্ত খাদ্য আন্দোলনের এবং গণমাধ্যমের প্রসংশনীয় ভূমিকার ফলশ্র“তিতে সরকার কর্তৃক মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু বর্তমানে সে অভিযান স্তিমিত হয়ে পড়েছে। এখন শীতের শেষ এবং গরমের শুরু ফলে বিভিন্ন খাদ্যে বিশেষ করে মাছে ফরমালিন প্রয়েগের প্রবনতা বেড়ে যায়। যা একটি নিরব গণহত্যার সামিল এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমকি। এ জনসমস্যা রোধকল্পে  পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) স্তিমিত হয়ে পড়া সরকারী উদ্যোগকে পূনরায় গতিশীল করার জন্য বর্তমানে খাদ্যের অবস্থা নিরুপনের নিমিত্বে ফরমালিন বিরোধী নাগরীক অভিযান শুরু করে। যদি খাদ্যে বিষ প্রয়োগ রোধ করা না যায় তাহলে এদেশের অধিকাংশ মানুষ ক্যান্সারসহ নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্তান্ত হবে এবং হয়েও যাচ্ছে। আজ  ৪ মার্চ বুধবার সকাল ৮:৩০ টায় খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ইনস্টিটিউট (আইএফএসটি), বিসিএসআইআর এর সাবেক পরিচালক ও মাওলানা ভাষানী সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এর অধ্যাপক ড. কে এম ফরমুজুল হক, মাওলানা ভাষানী সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এর লেকচারার ওবায়দুল হক ও রিসার্চার কাকলী এবং পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, কো-অর্ডিনেটর কামাল পাশা চৌধুরী, প্রোগ্রাম অফিসার তৌফিকুর রহমান সেন্টু ও পীযুষ কান্তি সাহা সমন্বয়ের একটি টিম ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মিডিয়া কর্মীরদের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। 
 
অভিযান টিম সকাল ৮:৩০ টায় বিভিন্ন খাদ্যে ফরমালিনের অবস্থান সনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু করে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (আইএফএসটি) এর বিশেষজ্ঞণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের বিশেষজ্ঞগণের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকা অভিযানের প্রথম দিনে হাতিরপুল কাঁচা বাজার ও কাঠালবাগান বাজারে মাছে ফরমালিন সনাক্ত করতে অভিযান চালানো হয়। বর্তমানে আমাদের দেশের সনাক্তকরণ কীড ব্যবহার করা হয়। আগামীতে দেশের বাইরের সনাক্তকরণ কীডের সহায়তা নেওয়া হবে। এই অভিযানের মাছের পাশাপাশি দুধ, ফলমূল, ও শাক-সবজিওে ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে এবং এ অভিযান চলতে থাকবে।