লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
 
উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্বল্প দুরত্বে যেতে অধিক ভাড়া আদায় করা, অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রী নির্যাতন বন্ধ করার দাবীতে আজ ১৭ জুলাই সকাল ১১ টায় শুক্রাবাদের রাসেল স্কয়ার, মিরপুর রোড (ধানমন্ডি লেকপাড়) এ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র সহ সম্পাদক পীযুষ কান্তী সাহাÑআমীর হাসানÑতৌফিকুর রহমান সেন্টুÑসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑসাবরী খান, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী হাজী আনসার আলী এবং নাজিম উদ্দীন, পলাশ  প্রমুখ।  
 
ঢাকা শহরে পাবলিক পরিবহনের ভাড়া আদায়ের কোন নিয়ম কানুন আছে বলে প্রতিয়মান হয়না। সরকার কর্তৃক ভাড়া আদায়ের তালিকা করা হলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাস্তবের সাথে কোন ভাবেই সামঞ্জস্য নয়। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে অবৈধ ভাড়া আদায়কারী বাস শ্রমিক দ্বারা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পাবলিক পরিবহনে চলাচল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পাবলিক পরিবহনের কোন উন্নতি হয়নি। বরং পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় বাস মালিকরা অজ্ঞাত যোগসাজশে বেআইনীভাবে পুরাতন গাড়িগুলোকে নতুন নামে বিভিন্ন রোডে নতুন হারে অস্বাভাবিকভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যা সরকার কর্তৃক কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার যে তালিকা তার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বরং সিএনজি চালিত প্রাইভেট কারের খরচের চেয়েও বেশি। এছাড়াও সিএনজি ব্যবহার করা আরো কষ্টসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সিএনজি যেতে অপারগতা দেখায়, মিটার থাকেনা, থাকলেও নষ্ট, অধিক হারে রিডিং হয় এবং উচ্চ মূল্যের ভাড়া দেখায় যা যাত্রী দূর্ভোগ বাড়েই।    
 
অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন গ্যাসে চলে এর ফলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হচ্ছে তথাপি বাস কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে। দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তির পরও সরকার বিদ্যমান পাবলিক পরিবহনের উন্নত ও ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে, ফ্লাইওভার, পাতালরেল ইত্যাদির মতো বিলাসী প্রকল্প তৈরির জন্য মগ্ন আছে। সম্প্রতি উত্তরা থেকে আজিমপুর রুটে একটি নতুন কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন সার্ভিস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই উচ্চ ভাড়া আদায়ের নমূনা অনুসরণ অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলিও লাগামহীনভাবে বেআনীভাবে ভাড়া বাড়িয়ে চলছে এমনকি লোকাল বাসগুলিও ভাড়া বৃদ্ধি করছে। যাত্রী হয়রানির কথা সেতো বলাই যায় না যাত্রী হয়রানি ছাড়াও শুরু হয়েছে যাত্রী নির্যাতন। সব রুটেই যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
   
অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়।
 
রুট দূরত্ব সরকার নির্ধারিত ভাড়া কোম্পানী কর্তৃক আদায় অতিরিক্ত
মালিবাগ থেকে ফার্মগেট ৩.৮ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
গুলিস্থান থেকে ফার্মগেট ৫ কিমি. ৬ টাকা ৮ টাকা ২ টাকা
গুলিস্থান থেকে মহাখালী ৭.৫ কিমি. ৯ টাকা ১২ টাকা ৩ টাকা
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব ১ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
মতিঝিল থেকে গুলশান ১০ কিমি. ১১/১২ টাকা ২০ টাকা ৮/৯ টাকা
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ১২ কিমি. ১০ টাকা ৪৪ পয়সা (৮৭ পয়সা হিসেবে) ৩০ টাকা ২০ টাকা
১) ডিজিটাল পদ্ধতিতে উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ২) যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বন্ধ করতে হবে; ৩) অবিলম্বে একটি মোবাইল কোর্ট করে এ জনগুরুত্বপূর্ন সমস্য সমাধান করতে হবে; ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে; ৫) রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে; ৭) কোম্পানী প্রথা বাতিল করতে হবে। 
লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
 
উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্বল্প দুরত্বে যেতে অধিক ভাড়া আদায় করা, অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রী নির্যাতন বন্ধ করার দাবীতে আজ ১৭ জুলাই সকাল ১১ টায় শুক্রাবাদের রাসেল স্কয়ার, মিরপুর রোড (ধানমন্ডি লেকপাড়) এ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র সহ সম্পাদক পীযুষ কান্তী সাহাÑআমীর হাসানÑতৌফিকুর রহমান সেন্টুÑসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑসাবরী খান, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী হাজী আনসার আলী এবং নাজিম উদ্দীন, পলাশ  প্রমুখ।  
 
ঢাকা শহরে পাবলিক পরিবহনের ভাড়া আদায়ের কোন নিয়ম কানুন আছে বলে প্রতিয়মান হয়না। সরকার কর্তৃক ভাড়া আদায়ের তালিকা করা হলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাস্তবের সাথে কোন ভাবেই সামঞ্জস্য নয়। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে অবৈধ ভাড়া আদায়কারী বাস শ্রমিক দ্বারা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পাবলিক পরিবহনে চলাচল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পাবলিক পরিবহনের কোন উন্নতি হয়নি। বরং পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় বাস মালিকরা অজ্ঞাত যোগসাজশে বেআইনীভাবে পুরাতন গাড়িগুলোকে নতুন নামে বিভিন্ন রোডে নতুন হারে অস্বাভাবিকভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যা সরকার কর্তৃক কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার যে তালিকা তার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বরং সিএনজি চালিত প্রাইভেট কারের খরচের চেয়েও বেশি। এছাড়াও সিএনজি ব্যবহার করা আরো কষ্টসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সিএনজি যেতে অপারগতা দেখায়, মিটার থাকেনা, থাকলেও নষ্ট, অধিক হারে রিডিং হয় এবং উচ্চ মূল্যের ভাড়া দেখায় যা যাত্রী দূর্ভোগ বাড়েই।    
 
অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন গ্যাসে চলে এর ফলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হচ্ছে তথাপি বাস কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে। দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তির পরও সরকার বিদ্যমান পাবলিক পরিবহনের উন্নত ও ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে, ফ্লাইওভার, পাতালরেল ইত্যাদির মতো বিলাসী প্রকল্প তৈরির জন্য মগ্ন আছে। সম্প্রতি উত্তরা থেকে আজিমপুর রুটে একটি নতুন কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন সার্ভিস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই উচ্চ ভাড়া আদায়ের নমূনা অনুসরণ অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলিও লাগামহীনভাবে বেআনীভাবে ভাড়া বাড়িয়ে চলছে এমনকি লোকাল বাসগুলিও ভাড়া বৃদ্ধি করছে। যাত্রী হয়রানির কথা সেতো বলাই যায় না যাত্রী হয়রানি ছাড়াও শুরু হয়েছে যাত্রী নির্যাতন। সব রুটেই যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
   
অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়।
 
রুট দূরত্ব সরকার নির্ধারিত ভাড়া কোম্পানী কর্তৃক আদায় অতিরিক্ত
মালিবাগ থেকে ফার্মগেট ৩.৮ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
গুলিস্থান থেকে ফার্মগেট ৫ কিমি. ৬ টাকা ৮ টাকা ২ টাকা
গুলিস্থান থেকে মহাখালী ৭.৫ কিমি. ৯ টাকা ১২ টাকা ৩ টাকা
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব ১ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
মতিঝিল থেকে গুলশান ১০ কিমি. ১১/১২ টাকা ২০ টাকা ৮/৯ টাকা
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ১২ কিমি. ১০ টাকা ৪৪ পয়সা (৮৭ পয়সা হিসেবে) ৩০ টাকা ২০ টাকা
১) ডিজিটাল পদ্ধতিতে উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ২) যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বন্ধ করতে হবে; ৩) অবিলম্বে একটি মোবাইল কোর্ট করে এ জনগুরুত্বপূর্ন সমস্য সমাধান করতে হবে; ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে; ৫) রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে; ৭) কোম্পানী প্রথা বাতিল করতে হবে। 
লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
 
উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্বল্প দুরত্বে যেতে অধিক ভাড়া আদায় করা, অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রী নির্যাতন বন্ধ করার দাবীতে আজ ১৭ জুলাই সকাল ১১ টায় শুক্রাবাদের রাসেল স্কয়ার, মিরপুর রোড (ধানমন্ডি লেকপাড়) এ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র সহ সম্পাদক পীযুষ কান্তী সাহাÑআমীর হাসানÑতৌফিকুর রহমান সেন্টুÑসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑসাবরী খান, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী হাজী আনসার আলী এবং নাজিম উদ্দীন, পলাশ  প্রমুখ।  
 
ঢাকা শহরে পাবলিক পরিবহনের ভাড়া আদায়ের কোন নিয়ম কানুন আছে বলে প্রতিয়মান হয়না। সরকার কর্তৃক ভাড়া আদায়ের তালিকা করা হলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাস্তবের সাথে কোন ভাবেই সামঞ্জস্য নয়। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে অবৈধ ভাড়া আদায়কারী বাস শ্রমিক দ্বারা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পাবলিক পরিবহনে চলাচল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পাবলিক পরিবহনের কোন উন্নতি হয়নি। বরং পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় বাস মালিকরা অজ্ঞাত যোগসাজশে বেআইনীভাবে পুরাতন গাড়িগুলোকে নতুন নামে বিভিন্ন রোডে নতুন হারে অস্বাভাবিকভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যা সরকার কর্তৃক কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার যে তালিকা তার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বরং সিএনজি চালিত প্রাইভেট কারের খরচের চেয়েও বেশি। এছাড়াও সিএনজি ব্যবহার করা আরো কষ্টসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সিএনজি যেতে অপারগতা দেখায়, মিটার থাকেনা, থাকলেও নষ্ট, অধিক হারে রিডিং হয় এবং উচ্চ মূল্যের ভাড়া দেখায় যা যাত্রী দূর্ভোগ বাড়েই।    
 
অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন গ্যাসে চলে এর ফলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হচ্ছে তথাপি বাস কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে। দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তির পরও সরকার বিদ্যমান পাবলিক পরিবহনের উন্নত ও ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে, ফ্লাইওভার, পাতালরেল ইত্যাদির মতো বিলাসী প্রকল্প তৈরির জন্য মগ্ন আছে। সম্প্রতি উত্তরা থেকে আজিমপুর রুটে একটি নতুন কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন সার্ভিস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই উচ্চ ভাড়া আদায়ের নমূনা অনুসরণ অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলিও লাগামহীনভাবে বেআনীভাবে ভাড়া বাড়িয়ে চলছে এমনকি লোকাল বাসগুলিও ভাড়া বৃদ্ধি করছে। যাত্রী হয়রানির কথা সেতো বলাই যায় না যাত্রী হয়রানি ছাড়াও শুরু হয়েছে যাত্রী নির্যাতন। সব রুটেই যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
   
অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়।
 
রুট দূরত্ব সরকার নির্ধারিত ভাড়া কোম্পানী কর্তৃক আদায় অতিরিক্ত
মালিবাগ থেকে ফার্মগেট ৩.৮ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
গুলিস্থান থেকে ফার্মগেট ৫ কিমি. ৬ টাকা ৮ টাকা ২ টাকা
গুলিস্থান থেকে মহাখালী ৭.৫ কিমি. ৯ টাকা ১২ টাকা ৩ টাকা
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব ১ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
মতিঝিল থেকে গুলশান ১০ কিমি. ১১/১২ টাকা ২০ টাকা ৮/৯ টাকা
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ১২ কিমি. ১০ টাকা ৪৪ পয়সা (৮৭ পয়সা হিসেবে) ৩০ টাকা ২০ টাকা
১) ডিজিটাল পদ্ধতিতে উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ২) যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বন্ধ করতে হবে; ৩) অবিলম্বে একটি মোবাইল কোর্ট করে এ জনগুরুত্বপূর্ন সমস্য সমাধান করতে হবে; ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে; ৫) রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে; ৭) কোম্পানী প্রথা বাতিল করতে হবে। 
লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
 
উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্বল্প দুরত্বে যেতে অধিক ভাড়া আদায় করা, অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রী নির্যাতন বন্ধ করার দাবীতে আজ ১৭ জুলাই সকাল ১১ টায় শুক্রাবাদের রাসেল স্কয়ার, মিরপুর রোড (ধানমন্ডি লেকপাড়) এ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র সহ সম্পাদক পীযুষ কান্তী সাহাÑআমীর হাসানÑতৌফিকুর রহমান সেন্টুÑসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑসাবরী খান, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী হাজী আনসার আলী এবং নাজিম উদ্দীন, পলাশ  প্রমুখ।  
 
ঢাকা শহরে পাবলিক পরিবহনের ভাড়া আদায়ের কোন নিয়ম কানুন আছে বলে প্রতিয়মান হয়না। সরকার কর্তৃক ভাড়া আদায়ের তালিকা করা হলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাস্তবের সাথে কোন ভাবেই সামঞ্জস্য নয়। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে অবৈধ ভাড়া আদায়কারী বাস শ্রমিক দ্বারা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পাবলিক পরিবহনে চলাচল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পাবলিক পরিবহনের কোন উন্নতি হয়নি। বরং পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় বাস মালিকরা অজ্ঞাত যোগসাজশে বেআইনীভাবে পুরাতন গাড়িগুলোকে নতুন নামে বিভিন্ন রোডে নতুন হারে অস্বাভাবিকভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যা সরকার কর্তৃক কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার যে তালিকা তার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বরং সিএনজি চালিত প্রাইভেট কারের খরচের চেয়েও বেশি। এছাড়াও সিএনজি ব্যবহার করা আরো কষ্টসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সিএনজি যেতে অপারগতা দেখায়, মিটার থাকেনা, থাকলেও নষ্ট, অধিক হারে রিডিং হয় এবং উচ্চ মূল্যের ভাড়া দেখায় যা যাত্রী দূর্ভোগ বাড়েই।    
 
অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন গ্যাসে চলে এর ফলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হচ্ছে তথাপি বাস কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে। দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তির পরও সরকার বিদ্যমান পাবলিক পরিবহনের উন্নত ও ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে, ফ্লাইওভার, পাতালরেল ইত্যাদির মতো বিলাসী প্রকল্প তৈরির জন্য মগ্ন আছে। সম্প্রতি উত্তরা থেকে আজিমপুর রুটে একটি নতুন কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন সার্ভিস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই উচ্চ ভাড়া আদায়ের নমূনা অনুসরণ অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলিও লাগামহীনভাবে বেআনীভাবে ভাড়া বাড়িয়ে চলছে এমনকি লোকাল বাসগুলিও ভাড়া বৃদ্ধি করছে। যাত্রী হয়রানির কথা সেতো বলাই যায় না যাত্রী হয়রানি ছাড়াও শুরু হয়েছে যাত্রী নির্যাতন। সব রুটেই যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
   
অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়।
 
রুট দূরত্ব সরকার নির্ধারিত ভাড়া কোম্পানী কর্তৃক আদায় অতিরিক্ত
মালিবাগ থেকে ফার্মগেট ৩.৮ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
গুলিস্থান থেকে ফার্মগেট ৫ কিমি. ৬ টাকা ৮ টাকা ২ টাকা
গুলিস্থান থেকে মহাখালী ৭.৫ কিমি. ৯ টাকা ১২ টাকা ৩ টাকা
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব ১ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
মতিঝিল থেকে গুলশান ১০ কিমি. ১১/১২ টাকা ২০ টাকা ৮/৯ টাকা
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ১২ কিমি. ১০ টাকা ৪৪ পয়সা (৮৭ পয়সা হিসেবে) ৩০ টাকা ২০ টাকা
১) ডিজিটাল পদ্ধতিতে উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ২) যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বন্ধ করতে হবে; ৩) অবিলম্বে একটি মোবাইল কোর্ট করে এ জনগুরুত্বপূর্ন সমস্য সমাধান করতে হবে; ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে; ৫) রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে; ৭) কোম্পানী প্রথা বাতিল করতে হবে। 
লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
 
উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্বল্প দুরত্বে যেতে অধিক ভাড়া আদায় করা, অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রী নির্যাতন বন্ধ করার দাবীতে আজ ১৭ জুলাই সকাল ১১ টায় শুক্রাবাদের রাসেল স্কয়ার, মিরপুর রোড (ধানমন্ডি লেকপাড়) এ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র সহ সম্পাদক পীযুষ কান্তী সাহাÑআমীর হাসানÑতৌফিকুর রহমান সেন্টুÑসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑসাবরী খান, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী হাজী আনসার আলী এবং নাজিম উদ্দীন, পলাশ  প্রমুখ।  
 
ঢাকা শহরে পাবলিক পরিবহনের ভাড়া আদায়ের কোন নিয়ম কানুন আছে বলে প্রতিয়মান হয়না। সরকার কর্তৃক ভাড়া আদায়ের তালিকা করা হলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাস্তবের সাথে কোন ভাবেই সামঞ্জস্য নয়। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে অবৈধ ভাড়া আদায়কারী বাস শ্রমিক দ্বারা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পাবলিক পরিবহনে চলাচল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পাবলিক পরিবহনের কোন উন্নতি হয়নি। বরং পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় বাস মালিকরা অজ্ঞাত যোগসাজশে বেআইনীভাবে পুরাতন গাড়িগুলোকে নতুন নামে বিভিন্ন রোডে নতুন হারে অস্বাভাবিকভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যা সরকার কর্তৃক কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার যে তালিকা তার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বরং সিএনজি চালিত প্রাইভেট কারের খরচের চেয়েও বেশি। এছাড়াও সিএনজি ব্যবহার করা আরো কষ্টসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সিএনজি যেতে অপারগতা দেখায়, মিটার থাকেনা, থাকলেও নষ্ট, অধিক হারে রিডিং হয় এবং উচ্চ মূল্যের ভাড়া দেখায় যা যাত্রী দূর্ভোগ বাড়েই।    
 
অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন গ্যাসে চলে এর ফলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হচ্ছে তথাপি বাস কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে। দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তির পরও সরকার বিদ্যমান পাবলিক পরিবহনের উন্নত ও ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে, ফ্লাইওভার, পাতালরেল ইত্যাদির মতো বিলাসী প্রকল্প তৈরির জন্য মগ্ন আছে। সম্প্রতি উত্তরা থেকে আজিমপুর রুটে একটি নতুন কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন সার্ভিস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই উচ্চ ভাড়া আদায়ের নমূনা অনুসরণ অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলিও লাগামহীনভাবে বেআনীভাবে ভাড়া বাড়িয়ে চলছে এমনকি লোকাল বাসগুলিও ভাড়া বৃদ্ধি করছে। যাত্রী হয়রানির কথা সেতো বলাই যায় না যাত্রী হয়রানি ছাড়াও শুরু হয়েছে যাত্রী নির্যাতন। সব রুটেই যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
   
অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়।
 
রুট দূরত্ব সরকার নির্ধারিত ভাড়া কোম্পানী কর্তৃক আদায় অতিরিক্ত
মালিবাগ থেকে ফার্মগেট ৩.৮ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
গুলিস্থান থেকে ফার্মগেট ৫ কিমি. ৬ টাকা ৮ টাকা ২ টাকা
গুলিস্থান থেকে মহাখালী ৭.৫ কিমি. ৯ টাকা ১২ টাকা ৩ টাকা
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব ১ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
মতিঝিল থেকে গুলশান ১০ কিমি. ১১/১২ টাকা ২০ টাকা ৮/৯ টাকা
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ১২ কিমি. ১০ টাকা ৪৪ পয়সা (৮৭ পয়সা হিসেবে) ৩০ টাকা ২০ টাকা
১) ডিজিটাল পদ্ধতিতে উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ২) যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বন্ধ করতে হবে; ৩) অবিলম্বে একটি মোবাইল কোর্ট করে এ জনগুরুত্বপূর্ন সমস্য সমাধান করতে হবে; ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে; ৫) রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে; ৭) কোম্পানী প্রথা বাতিল করতে হবে। 
লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
 
উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্বল্প দুরত্বে যেতে অধিক ভাড়া আদায় করা, অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রী নির্যাতন বন্ধ করার দাবীতে আজ ১৭ জুলাই সকাল ১১ টায় শুক্রাবাদের রাসেল স্কয়ার, মিরপুর রোড (ধানমন্ডি লেকপাড়) এ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র সহ সম্পাদক পীযুষ কান্তী সাহাÑআমীর হাসানÑতৌফিকুর রহমান সেন্টুÑসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑসাবরী খান, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী হাজী আনসার আলী এবং নাজিম উদ্দীন, পলাশ  প্রমুখ।  
 
ঢাকা শহরে পাবলিক পরিবহনের ভাড়া আদায়ের কোন নিয়ম কানুন আছে বলে প্রতিয়মান হয়না। সরকার কর্তৃক ভাড়া আদায়ের তালিকা করা হলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাস্তবের সাথে কোন ভাবেই সামঞ্জস্য নয়। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে অবৈধ ভাড়া আদায়কারী বাস শ্রমিক দ্বারা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পাবলিক পরিবহনে চলাচল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পাবলিক পরিবহনের কোন উন্নতি হয়নি। বরং পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় বাস মালিকরা অজ্ঞাত যোগসাজশে বেআইনীভাবে পুরাতন গাড়িগুলোকে নতুন নামে বিভিন্ন রোডে নতুন হারে অস্বাভাবিকভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যা সরকার কর্তৃক কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার যে তালিকা তার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বরং সিএনজি চালিত প্রাইভেট কারের খরচের চেয়েও বেশি। এছাড়াও সিএনজি ব্যবহার করা আরো কষ্টসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সিএনজি যেতে অপারগতা দেখায়, মিটার থাকেনা, থাকলেও নষ্ট, অধিক হারে রিডিং হয় এবং উচ্চ মূল্যের ভাড়া দেখায় যা যাত্রী দূর্ভোগ বাড়েই।    
 
অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন গ্যাসে চলে এর ফলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হচ্ছে তথাপি বাস কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে। দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তির পরও সরকার বিদ্যমান পাবলিক পরিবহনের উন্নত ও ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে, ফ্লাইওভার, পাতালরেল ইত্যাদির মতো বিলাসী প্রকল্প তৈরির জন্য মগ্ন আছে। সম্প্রতি উত্তরা থেকে আজিমপুর রুটে একটি নতুন কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন সার্ভিস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই উচ্চ ভাড়া আদায়ের নমূনা অনুসরণ অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলিও লাগামহীনভাবে বেআনীভাবে ভাড়া বাড়িয়ে চলছে এমনকি লোকাল বাসগুলিও ভাড়া বৃদ্ধি করছে। যাত্রী হয়রানির কথা সেতো বলাই যায় না যাত্রী হয়রানি ছাড়াও শুরু হয়েছে যাত্রী নির্যাতন। সব রুটেই যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
   
অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়।
 
রুট দূরত্ব সরকার নির্ধারিত ভাড়া কোম্পানী কর্তৃক আদায় অতিরিক্ত
মালিবাগ থেকে ফার্মগেট ৩.৮ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
গুলিস্থান থেকে ফার্মগেট ৫ কিমি. ৬ টাকা ৮ টাকা ২ টাকা
গুলিস্থান থেকে মহাখালী ৭.৫ কিমি. ৯ টাকা ১২ টাকা ৩ টাকা
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব ১ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
মতিঝিল থেকে গুলশান ১০ কিমি. ১১/১২ টাকা ২০ টাকা ৮/৯ টাকা
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ১২ কিমি. ১০ টাকা ৪৪ পয়সা (৮৭ পয়সা হিসেবে) ৩০ টাকা ২০ টাকা
১) ডিজিটাল পদ্ধতিতে উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ২) যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বন্ধ করতে হবে; ৩) অবিলম্বে একটি মোবাইল কোর্ট করে এ জনগুরুত্বপূর্ন সমস্য সমাধান করতে হবে; ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে; ৫) রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে; ৭) কোম্পানী প্রথা বাতিল করতে হবে। 
লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
 
উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্বল্প দুরত্বে যেতে অধিক ভাড়া আদায় করা, অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রী নির্যাতন বন্ধ করার দাবীতে আজ ১৭ জুলাই সকাল ১১ টায় শুক্রাবাদের রাসেল স্কয়ার, মিরপুর রোড (ধানমন্ডি লেকপাড়) এ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র সহ সম্পাদক পীযুষ কান্তী সাহাÑআমীর হাসানÑতৌফিকুর রহমান সেন্টুÑসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑসাবরী খান, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী হাজী আনসার আলী এবং নাজিম উদ্দীন, পলাশ  প্রমুখ।  
 
ঢাকা শহরে পাবলিক পরিবহনের ভাড়া আদায়ের কোন নিয়ম কানুন আছে বলে প্রতিয়মান হয়না। সরকার কর্তৃক ভাড়া আদায়ের তালিকা করা হলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাস্তবের সাথে কোন ভাবেই সামঞ্জস্য নয়। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে অবৈধ ভাড়া আদায়কারী বাস শ্রমিক দ্বারা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পাবলিক পরিবহনে চলাচল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পাবলিক পরিবহনের কোন উন্নতি হয়নি। বরং পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় বাস মালিকরা অজ্ঞাত যোগসাজশে বেআইনীভাবে পুরাতন গাড়িগুলোকে নতুন নামে বিভিন্ন রোডে নতুন হারে অস্বাভাবিকভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যা সরকার কর্তৃক কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার যে তালিকা তার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বরং সিএনজি চালিত প্রাইভেট কারের খরচের চেয়েও বেশি। এছাড়াও সিএনজি ব্যবহার করা আরো কষ্টসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সিএনজি যেতে অপারগতা দেখায়, মিটার থাকেনা, থাকলেও নষ্ট, অধিক হারে রিডিং হয় এবং উচ্চ মূল্যের ভাড়া দেখায় যা যাত্রী দূর্ভোগ বাড়েই।    
 
অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন গ্যাসে চলে এর ফলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হচ্ছে তথাপি বাস কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে। দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তির পরও সরকার বিদ্যমান পাবলিক পরিবহনের উন্নত ও ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে, ফ্লাইওভার, পাতালরেল ইত্যাদির মতো বিলাসী প্রকল্প তৈরির জন্য মগ্ন আছে। সম্প্রতি উত্তরা থেকে আজিমপুর রুটে একটি নতুন কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন সার্ভিস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই উচ্চ ভাড়া আদায়ের নমূনা অনুসরণ অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলিও লাগামহীনভাবে বেআনীভাবে ভাড়া বাড়িয়ে চলছে এমনকি লোকাল বাসগুলিও ভাড়া বৃদ্ধি করছে। যাত্রী হয়রানির কথা সেতো বলাই যায় না যাত্রী হয়রানি ছাড়াও শুরু হয়েছে যাত্রী নির্যাতন। সব রুটেই যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
   
অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়।
 
রুট দূরত্ব সরকার নির্ধারিত ভাড়া কোম্পানী কর্তৃক আদায় অতিরিক্ত
মালিবাগ থেকে ফার্মগেট ৩.৮ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
গুলিস্থান থেকে ফার্মগেট ৫ কিমি. ৬ টাকা ৮ টাকা ২ টাকা
গুলিস্থান থেকে মহাখালী ৭.৫ কিমি. ৯ টাকা ১২ টাকা ৩ টাকা
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব ১ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
মতিঝিল থেকে গুলশান ১০ কিমি. ১১/১২ টাকা ২০ টাকা ৮/৯ টাকা
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ১২ কিমি. ১০ টাকা ৪৪ পয়সা (৮৭ পয়সা হিসেবে) ৩০ টাকা ২০ টাকা
১) ডিজিটাল পদ্ধতিতে উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ২) যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বন্ধ করতে হবে; ৩) অবিলম্বে একটি মোবাইল কোর্ট করে এ জনগুরুত্বপূর্ন সমস্য সমাধান করতে হবে; ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে; ৫) রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে; ৭) কোম্পানী প্রথা বাতিল করতে হবে। 
লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধ কর
 
উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, স্বল্প দুরত্বে যেতে অধিক ভাড়া আদায় করা, অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং লাগামহীনভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রী নির্যাতন বন্ধ করার দাবীতে আজ ১৭ জুলাই সকাল ১১ টায় শুক্রাবাদের রাসেল স্কয়ার, মিরপুর রোড (ধানমন্ডি লেকপাড়) এ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে মানববন্ধনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র সহ সম্পাদক পীযুষ কান্তী সাহাÑআমীর হাসানÑতৌফিকুর রহমান সেন্টুÑসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑসাবরী খান, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারী হাজী আনসার আলী এবং নাজিম উদ্দীন, পলাশ  প্রমুখ।  
 
ঢাকা শহরে পাবলিক পরিবহনের ভাড়া আদায়ের কোন নিয়ম কানুন আছে বলে প্রতিয়মান হয়না। সরকার কর্তৃক ভাড়া আদায়ের তালিকা করা হলেও তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাস্তবের সাথে কোন ভাবেই সামঞ্জস্য নয়। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে অবৈধ ভাড়া আদায়কারী বাস শ্রমিক দ্বারা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পাবলিক পরিবহনে চলাচল করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পাবলিক পরিবহনের কোন উন্নতি হয়নি। বরং পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় বাস মালিকরা অজ্ঞাত যোগসাজশে বেআইনীভাবে পুরাতন গাড়িগুলোকে নতুন নামে বিভিন্ন রোডে নতুন হারে অস্বাভাবিকভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যা সরকার কর্তৃক কিলোমিটার প্রতি ভাড়ার যে তালিকা তার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বরং সিএনজি চালিত প্রাইভেট কারের খরচের চেয়েও বেশি। এছাড়াও সিএনজি ব্যবহার করা আরো কষ্টসাধ্য বিষয়। অধিকাংশ সিএনজি যেতে অপারগতা দেখায়, মিটার থাকেনা, থাকলেও নষ্ট, অধিক হারে রিডিং হয় এবং উচ্চ মূল্যের ভাড়া দেখায় যা যাত্রী দূর্ভোগ বাড়েই।    
 
অধিকাংশ পাবলিক পরিবহন গ্যাসে চলে এর ফলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হচ্ছে তথাপি বাস কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে। দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তির পরও সরকার বিদ্যমান পাবলিক পরিবহনের উন্নত ও ভাড়া হ্রাসের বিষয়ে লক্ষ্য না দিয়ে, ফ্লাইওভার, পাতালরেল ইত্যাদির মতো বিলাসী প্রকল্প তৈরির জন্য মগ্ন আছে। সম্প্রতি উত্তরা থেকে আজিমপুর রুটে একটি নতুন কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন সার্ভিস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ডিজিটাল পদ্ধতির এই উচ্চ ভাড়া আদায়ের নমূনা অনুসরণ অন্যান্য বাস কোম্পানিগুলিও লাগামহীনভাবে বেআনীভাবে ভাড়া বাড়িয়ে চলছে এমনকি লোকাল বাসগুলিও ভাড়া বৃদ্ধি করছে। যাত্রী হয়রানির কথা সেতো বলাই যায় না যাত্রী হয়রানি ছাড়াও শুরু হয়েছে যাত্রী নির্যাতন। সব রুটেই যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 
   
অযৌক্তিক ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়।
 
রুট দূরত্ব সরকার নির্ধারিত ভাড়া কোম্পানী কর্তৃক আদায় অতিরিক্ত
মালিবাগ থেকে ফার্মগেট ৩.৮ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
গুলিস্থান থেকে ফার্মগেট ৫ কিমি. ৬ টাকা ৮ টাকা ২ টাকা
গুলিস্থান থেকে মহাখালী ৭.৫ কিমি. ৯ টাকা ১২ টাকা ৩ টাকা
শাহবাগ থেকে সাইন্স ল্যাব ১ কিমি. ৫ টাকা ৮ টাকা ৩ টাকা
মতিঝিল থেকে গুলশান ১০ কিমি. ১১/১২ টাকা ২০ টাকা ৮/৯ টাকা
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ১২ কিমি. ১০ টাকা ৪৪ পয়সা (৮৭ পয়সা হিসেবে) ৩০ টাকা ২০ টাকা
১) ডিজিটাল পদ্ধতিতে উচ্চ ভাড়া আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ২) যাত্রী নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি বন্ধ করতে হবে; ৩) অবিলম্বে একটি মোবাইল কোর্ট করে এ জনগুরুত্বপূর্ন সমস্য সমাধান করতে হবে; ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে; ৫) রুটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে; ৭) কোম্পানী প্রথা বাতিল করতে হবে।