লাউয়্যছড়া জাতীয় উদ্যানে শেভরনের জরিপ সম্পর্কে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের বক্তব্যে অনাকাঙ্খিত
লাউয়্যছড়া জাতীয় উদ্যানে শেভরনের জরিপ সম্পর্কে 
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের বক্তব্যে অনাকাঙ্খিত
 
গত মঙ্গলবার ৬ মে ২০০৮ বিভিন্ন্ দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের উদ্ধৃতি পড়ে দেশবাসী বিস্মিত। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জালাল আহম্মেদ বলেছেন লাউয়াছড়ার অগ্নিকান্ড এবং বাড়ি ঘরে ফাটলের সাথে শেভরনের জরিপকার্যের সঙ্গে কোন প্রকার সর্ম্পক নেই। রাষ্ট্রের একটি দায়িত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে শেভরনের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এধরনের তথ্য বা উদ্ধৃতি প্রদান দেশবাসীর কাম্য নয়। শেভরনের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেললনই প্রমান করে সংশি¬স্ট ব্যক্তিবর্গ কি পরিমান কোম্পানি কর্তৃক প্রভাবিত। 
 
দেশের পরিবেশবাদী, মিডিয়াকর্মী এবং এলাকাবাসী যখন স্বচক্ষে পরির্দশন শেষে এই বিপর্যয়ের জন্য শেভরনকে দায়ী করেছে, তখন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের এধরনের পক্ষপাতিত্বমূলক বক্তব্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি হিসেবে কোনভাবেই শোভনীয় নয়। গত কয়েকদিন পূর্বে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. তামিম এটিএন বাংলায় বলেছেন, পরিবেশের ক্ষতি না করে প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন সম্ভব নয়। আর জ্বালানি প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে তারা এই অনুসন্ধানের অনুমোদন প্রদান করেছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত এই দুই ব্যক্তির বক্তব্য পরস্পর বিরোধী এবং বিস্ময়কর। 
 
আমরা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই, শুধু বাংলাদেশের নয় নাইজেরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কোম্পানিগুলো এধরনের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংশ করেছে। দেশের মানুষ ভুলে যাননি মাগুরছড়া, টেংরাটিলা এবং লাউয়াছড়া অক্সিডেন্টালের ক্ষতির  কথা। তখনও কিছু অসাধু ব্যক্তিরা সমর্থন দিয়েছিল। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যক্তি ও বিদেশী কোম্পানির স্বার্থে ব্যবহার করার নজির অনেক রয়েছে। 
 
আমরা আশা করবো রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে তাঁর অবস্থান ও গুরুত্ব অনুধাবন করে আগামী দিনগুলোতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি অবশ্যই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধে নয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে এ সকল কোম্পানিগুলোর অনৈতিক, স্বেচ্ছাচারমূলক কার্যক্রম বন্ধ করে জনগনের কল্যাণে কাজ করতে বাধ্য করা। কোম্পানি পক্ষাবলম্বন বা অনুগত্যতা করা কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে অশোভনীয় এবং দায়িত্বে লঙ্গন। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের এ বক্তব্য শেভরনের পরিবেশ বিধ্বংশী কার্যকলাপকে সমর্থন যুগাচ্ছে।