সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গুলশানে-২ নং সেকশনে গাছ হত্যার স্থান পবা’র সরেজমিনে পরিদর্শন
 
সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গুলশানে-২ নং সেকশনে 
গাছ হত্যার স্থান পবা’র সরেজমিনে পরিদর্শন
 
গুলশান-২ নং সেকশনের ৮৯ নং রোড সংলগ্ন গুলশান এ্যভিনিউ এ ইতোমধ্যে অনেকগুলো গাছ হত্যা করা হয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আদেশ বলে। সিটি কর্পোরেশন গুলশান এ্যভিনিউ এর সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য গ্রামীণ ফোন কোম্পানীকে অনুমতি প্রদান ও ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নয়নের দোহাই দিয়ে   রাস্তার ৪০/৫০ বছরের বিশাল বিশাল গাছ হত্যা করে চলেছে।    
 
আজ ২৩ জুলাই ২০০৮ বুধবার সকাল ১১:০০ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর একটি প্রতিনিধি দল গুলশান-২ নং সেকশনের গুলশান এ্যভিনিউ এর ৮৯ নং রোডের মাথায় গাছ হত্যার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে। প্রতিনিধি দলে পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান এর নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- ড. হালিম দাদ খান, গুলশানবাসী কবীর আহমেদ, মামুনুর রশীদ, পবা’র প্রোগ্রাম অফিসার তৌফিকুর রহমান সেন্টু সহ ৮৯ নং রোডের বেশ কিছু অধিবাসী এবং রাস্তার চলমান জনসাধারণও এ অবস্থান কর্মসূচীতে স্বস্ফুর্তভাবে অংশহ্রহণ করে। 
 
বৃক্ষ হত্যাকারীদের শাস্তি চাই-শাস্তি চাই, সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে হাছ হত্যা বন্ধ করো-করতে হবে, শে¬াগানের মাধ্যমে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন এর নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশেপাশের লোকজন গুলশান-২ নং সেকশনের গুলশান এ্যভিনিউ এর ৮৯ নং রোডের সকল প্রকার গাছ হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। জানা গেছে, ড্রেনেজ সুবিধাবৃদ্ধি ও গ্রামীণ ফোনের সৌন্দর্য্য বর্ধনের পরিকল্পনা       বাস্তবায়নের জন্য রাইফেল ক্লাব থেকে পাকিস্তান দূতাবাস পর্যন্ত গুলশান নর্থ ও সাউথ এ্যভিনিউ এর ৫২ টি বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ মাত্র ১,৫৬,১০০ টাকা অর্থাৎ গড়ে প্রতি তিন হাজার টাকায় একটি বৃক্ষ বিক্রয়ের ‘টেন্ডার’ সিটি কর্পোরেশন অনুমোদন করেছে। যা চরম দায়ীত্বহীনতা  ও নগরবাসীর প্রতি তামাসা বৈ কিছু নয়।
 
উলে¬খ্য, গাছ হত্যার স্থান পরিদর্শন শেষে পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান ঢাকা মহানগরীতে বিরামহীনভাবে গাছ হত্যা সমস্যা উত্তোরণের জন্য সিটি কর্পোরেশন মেয়র এর সাথে দেখা করতে যান। সিটি মেয়র অফিসে না থাকায় সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। পবা চেয়ারম্যান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আজকের ঘটনা সহ মহানগরীতে গাছ হত্যার বিষয়াবলী তুলে ধরেন। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে অচিরেই পরিবেশবাদী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ ও ঘটনার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন যে- ভবিষ্যতে আমাদের পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে সিটি কর্পোরেশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর সাথে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়- ঢাকা মহানগরী ও অন্যান্য নগরীতে গাছ কাটা বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নের জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন আবেদন করা হবে।