পরিবেশ সংরক্ষণে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী
সারাদেশে চলছে ইট তৈরির মৌসুম। ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে গাছপালা। অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম। বেশির ভাগ ইটাভাটাই নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে লোকালয় তথা মানুষের বসতবাড়ি, গ্রাম-গঞ্জ, শহর বন্দরের অতি সন্নিকটে, কৃষি জমিতে, নদীর তীরে, পাহাড়ের পাদদেশে। ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আবাদি জমির উপরিভাগ, নদীর তীর এবং পাহাড়ের মাটি। কাঠ ও অত্যন্ত নিম্নমানের কয়লা পোড়ানো এবং স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ব্যবহার করায় ইটভাটাগুলোতে নির্গত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া। এতে ভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকা, শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ জনপথে পরিবেশগত বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকির আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডজনিত নানা রোগ দেখা দিতে পারে। 
আধুনিক প্রযুক্তির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি বা সম্পূর্ণ অবৈধ ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা। ফলে পরিবেশগত বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। এমতাবস্তায় ১৯ নভেম্বর ২০১৬, শনিবার, সকাল ১১টায় পবা মিলনায়তনে “চলতি মৌসুমে ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে-এখনই করণীয়”-শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 
 
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান। উপস্থিত ছিলেন পীস মুভমেন্ট-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর কামাল আতাউর রহমান, পবার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শামীম খান টিটো, বিসিএসআইআর-এর সাবেক পরিচালক ড. কে এম ফরমুজুল হক, বিএইচআরডি-এর পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদসহ আরো অনেকে। 
বক্তারা বলেন, ঢাকার আশেপাশে শত শত অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এতে রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের পরিবেশ মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে ঢাকার উপকন্ঠ এবং সেই সাথে রাজধানী ঢাকা। বিগত বছরগুলোর মতো চলতি মৌসুমেও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ব্যতিরেকে দেশের বিভিন্ন ইটভাটায় ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা স্থাপন এবং ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি ইটভাটার কার্যক্রম চলছে।
 
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে এবং অনেক মূল্যবান বিরল প্রজাতির উদ্ভিদও পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ এবং কৃষিজমির উর্বর মাটির অবক্ষয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে এ সেক্টরে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনয়ন অত্যন্ত জরুরী। এটা অনস্বীকার্য যে, অন্যতম নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে ইটের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু পরিবেশগত দূষণমাত্রা, অবক্ষয়, শস্যের ফলনহানী এবং সর্বোপরি জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় ইটভাটার দূষণকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে জরুরিভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
 
পবার সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে শহর এলাকায় শীত মৌসুমে বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে ইটভাটা এবং যানবাহনের ধোঁয়া। ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির উর্বর ও সারযুক্ত টপসয়েল বা উপরিভাগের মাটি। এতে জমির উর্বরতা শক্তি ও ফসল উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে জমির উপরিভাগের  মাটি কেটে ফেলা হলে আগামী ২০ বছরেও সেই জমির প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থের ঘাটতি পূরণ হবে না। ফসলি জমির মাটির উপরি অংশ কাটা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জমির ফলন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকাংশে কমে যাবে। এতে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা। যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব অবৈধ ইটভাটার আগ্রাসনে বিনষ্ট হচ্ছে তিন ফসলি জমি। যা কৃষি নির্ভর দেশের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়, কমে যাচ্ছে বনাঞ্চল ও ফসলি জমি। জমির উর্বরা শক্তি বিনাশের পাশাপাশি ইটভাটাসৃষ্ট দূষণ পরিবেশ বিপর্যয়সহ কৃষি উৎপাদন ও ফল-মূলের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত এবং গাছপালার স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে। নদীর তীরর মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নদী ভাঙন তরান্বিত হয়। নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রতি বছর শত শত হেক্টর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে ফসলি জমি হ্রাস পাচ্ছে। 
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ জারী করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর -এর ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই তারিখের গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইনটি ২০১৪ সালের ০১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় জ্বালানি সাশ্রয়ী, উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন জিগজ্যাগ কিল্ন্, ভারটিক্যাল স্যাফ্ট ব্রিক কিল্ন্ , হাইব্রিড হফম্যান কিল্ন্, টানেল কিল্ন্ বা অনুরুপ কোন ভাটা স্থাপন/পরিচালনা করা যাবে। আইন কার্যকর হওয়ার পর কোন ব্যক্তি আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা; সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর; সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভ’মি; কৃষি জমি; প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা; ডিগ্রেডেড এয়ার শেড এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে কোন ইটভাটা স্থাপন করতে পারবেন না; নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বা জেলা প্রশাসক কোন আইনের অধীন কোনরূপ অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স প্রদান করতে পারবে না; আইন কার্যকর হওয়ার পূর্বে, ছাড়পত্র গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি যদি নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার মধ্যে বা নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বা স্থানে ইটভাটা স্থাপন করে থাকেন, তা হলে তিনি, আইন কার্যকর হওয়ার ২ (দুই) বৎসর সময়সীমার মধ্যে, উক্ত ইটভাটা, যথাস্থানে স্থানান্তর করবেন, অন্যথায় লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
 
দেশে চলতি মৌসুমে প্রায় নয় হাজার ইটভাটায় ইট তৈরীর কাজ চলছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫০০টি ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা রয়েছে। যা ২০০১ সাল থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উপক’লীয়, বৃহৎ নদী সংশ্লিষ্ট, পাহাড়ি, বরেন্দ্র এলাকার জেলাসমূহে সবচেয়ে বেশি  ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা রয়েছে। প্রায় চার হাজার ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র বা জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স রয়েছে, যা মোট ভাটার ৪৪% বা ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা ছাড়া ভাটাসমূহের ৫৩%। ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটায় ১ লক্ষ ইট পোড়াতে গড়ে প্রায় ২,০০০ মন কাঠ লাগে। প্রতি ১ লক্ষ ইট পোড়াতে ইটভাটার প্রযুক্তিভেদে কয়লা লাগে এফসিকে (১২০ ফুট চিমনি) তে ১৬-২০ টন, জিগজ্যাগ-এ ১৪-১৬ টন, হাইব্রিড হফম্যান কিলন-এ ১২-১৪ টন। ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটায় মৌসুমে গড়ে ২০ লাখ ইট পোড়ানো হয়। ১৫০০টি ভাটায় কাঠ লাগে ২২,৪০,০০০ টন। ১২০ ফুট চিমনিবিশিষ্ট ভাটায়ও কাঠ পোড়ানো হয়। প্রতিটি ভাটায় গড়ে ২,০০০ মন কাঠ পোড়ানো হলে ৩৫০০টি ভাটায় কাঠ লাগে ২,৬১,০০০ টন । ইটভাটায় মোট ২৫ লাখ টন কাঠ পোড়ানো হয়। এফসিকে ও জিগজ্যাগ ভাটায় মৌসুমে গড়ে ৫০ লাখ ইট পোড়ানো হয়। এসব ভাটায় ১ লাখ ইট পোড়াতে গড়ে ১৭ টন কয়লা লাগে। ৭,৫০০টি ভাটায় ৬৩,৭৫,০০০ টন কয়লা পোড়ানো হয়। এ কয়লার প্রায় পুরোটাই আমদানি করা হচ্ছে এবং এতে সালফারের পরিমাণ ৫% উর্ধ্বে।
 
ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ পরিবেশ বিপর্যয় ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। দেশে গাছ লাগনো আজ একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমরা তার কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছি না। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইটভাটায় নির্বিচারে কাঠ পোড়ানো। আধুনিক, পরিবেশ বান্ধব ও জ্বালানী সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার, নির্ধারিত মাত্রার সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার, জ্বালানী হিসাবে কাঠ ও কৃষি জমির উর্বর মাটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং সংশ্লিষ্ট আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ-এর মাধ্যমে ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মেজিস্ট্রেসী, এনবিআর এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভ’মিকা পালন করতে হবে। ইটভাটা সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়নে ভাটার মালিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
 
এখনই করণীয়
১। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক মাঠপর্যায়ে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ড্রাম চিমনীবিশিষ্ট ইটভাটাগুলো চিহিৃতকরণ ও সেগুলো অনতিবিলম্বে বন্ধ করা এবং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা। মাঠপর্যায়ে মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তরের সহায়তা গ্রহণ করা। 
২। আইনটি ২০১৪ সালের ০১ জুলাই থেকে কার্যকর বিধায় আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা; সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর; সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভ’মি; কৃষি জমি; প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা; ডিগ্রেডেড এয়ার শেড (উবমৎধফবফ অরৎ ঝযবফ) এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কোন আইনের অধীন কোনরূপ অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স প্রদান না করা।
৩। নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার মধ্যে বা নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বা স্থানে ছাড়পত্র গ্রহণকারী ইটভাটাসমূহের ছাড়পত্র, লাইসেন্স বাতিল করা এবং  সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া। 
৪। ইটভাটায় জ্বালানী হিসাবে কাঠ ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা।
৫। ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনিবিশিষ্ট যেসকল ইটভাটা এখনো  উন্নত প্রযুক্তিতে রুপান্তর করা হয়নি সেগুলো বন্ধ করে দেয়া  বা অনূন্য  ১০(দশ) লক্ষ টাকা পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ আদায় সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৬। নির্ধারিত মাত্রার সালফারযুক্ত কয়লা আমদানি করা। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকর ভ’মিকা রাখা।
৭। ইটঁভাটর মালিকের সামাজিক অবস্থান ও রাজনৈতিক বিবেচনার উর্ধে উঠে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন প্রয়োগ করা। 
৮। মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং পরিদর্শন ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনায় পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, মেজিস্ট্রেসী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের সাধন করা।
৯। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা, দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
১০। ভাটা নির্মাণে নিয়োজিত কারিগর এবং ফায়ারম্যানদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।