দখলদারদের স্বেচ্ছাচারিতা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতাই মালিবাগ

গত ১৫ এপ্রিল ২০১৫, বুধবার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ঝিলের মধ্যে অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দেবে ১২ জন মৃত্যুবরণ করেন । এক শ্রেণীর মানুষের সীমাহীন লোভ, স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার বলি হলো নিরপরাধ মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতা এবং দখলদারদের স্বেচ্ছাচারিতার পরিণতিই মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ট্র্যাজেডি। মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ চলতে থাকলে ভূমিকম্প ছাড়াই আরও বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভবন নির্মাণ-প্রক্রিয়াকে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা সময়ের দাবী। আজ ১৮ এপ্রিল ২০১৫, শনিবার, সকাল ১১ টায়, পবা কার্যালয়ে “মালিবাগ চৌধুরীপাড়া ট্র্যাজেডির দায় এবং ভবিষ্যৎ করণীয়” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা উক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।

 
প্রতি ঘরে পাঁচ থেকে সাত জনের বসবাস। জানা যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কিছু ব্যক্তি ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাড়ি তুলে ভাড়া দিয়েছেন। দুই বছর আগে থেকে এখানে টিনের বাড়ি উঠছে। এখানে সরকারি খাসজমির পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানার জমিও আছে। কোন কোন মালিক নিজের জমির পাশাপাশি তিন-চার গুণ জমি দখল করেছেন। 
 
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধের আলোকে বক্তব্য তুলে ধরেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) এর সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না । উপস্থিত ছিলেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সোবহান, (নাসফ) এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৈয়ব আলী, মর্ডাণ ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত প্রমুখ।বক্তারা বলেন ঝিলের জমি দখল করে অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাকের ডগায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিন দিন মৃত্যুফাঁদটি তৈরী করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ভবন ধসে পড়া বা হেলে পড়া ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মামলা হলেও শাস্তির কোন নজির নেই কোথাও। কাজেই বলতে হবে, দায়িত্বহীনতা ও বিচারহীনতার পরিণামই মালিবাগসহ একের পর এক ভয়াবহ হত্যাকান্ড।
 
সংবাদ সম্মেলন থেকে নিম্নক্তো সুপারিশসমূহ জানানো হয়ঃ
১. মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ চলতে থাকলে ভূমিকম্প ছাড়াই আরও বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। সরকারের উচিত, বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভবন নির্মাণ-প্রক্রিয়াকে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা। 
২. হাউজিং পলিসি রিভিউ করা। সরকারিভাবে গরীব জনগণের আবাসনের ব্যবস্থা করা।
৩. অনুমতি ছাড়া কোন ভবন নির্মাণ কাজ করতে না দেয়া।
৪. সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের গাফেলতির জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫. রাজউক-এর হাতে যেসব অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে সেগুলোর জন্য জরুরীভিত্তিতে সর্বোচ্চ সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
৬. জলাভূমি দখল করে বসতি নির্মাণ বন্ধ করা।
৭. দায়ীদের বিচার হয় না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধের দায় থেকে মুক্তি দেয়। এটি নতুন অপরাধ সংঘঠনে প্ররোচনা দেয়। সাভার  ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী  ব্যক্তিদের যথোপযুক্ত শাস্তির মাধ্যমেই ন্যায় বিচারের নতুন সংস্কৃতি তৈরী করা। ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ কাজের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক গার্মেন্টস শ্রমিককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য রানা প্লাজার মালিক, কারখানার মালিক, সাভার পৌর কর্তৃপক্ষসহ যে ইউএনও ফাটল দেখা দেওয়ার পর গার্মেন্টস চালু রাখতে নির্দেশ দেন এরা সকলেই দায়ী যা অবহেলাজনিত কারণে ঘটিত মৃত্যু নয় বরঞ্চ দন্ডবিধির ৩০৪/১০৯ ধারায় মানুষ হত্যার অপরাধ।এ অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন বা কারাদন্ডসহ
 
 
অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। দন্ডবিধির ৩০৪/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা। উক্ত ভবনের উপর মোবাইল কো¤পানীর টাওয়ার স্থাপনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া।
৮. ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষিতদের সমন্বয়ে একটি পৃথক ভবন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠন অত্যন্ত জরুরি। ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার পর তা যথাযথভাবে তদারকি করতে হবে। ভবণ নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
৯. ড্যাপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে কোনো অস্পষ্টতা জরুরীভিত্তিকে নিরসন করা। ভবন নির্মাণের শুরু থেকে ব্যবহার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে আইনকানুন মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বাধ্য করা। ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণে ভবন নির্মাণ এবং নির্মাণ শেষে ভবনটির ব্যবহার উপযোগীতার  বিষয়ে রাজউককে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ভবন নির্মাণের আগে যে প্রতিষ্ঠানগুলো মাটি পরিক্ষা করে, তাদেরকে একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার অধীন আনা জরুরী। 
১০. সরকারকে দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর ও সতর্ক হতে হবে। দুর্নীতি না কমলে চৌধুরীপাড়ার ট্র্যাজেডির মতো ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকবে। 
গত ১৫ এপ্রিল ২০১৫, বুধবার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ঝিলের মধ্যে অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দেবে ১২ জন মৃত্যুবরণ করেন । এক শ্রেণীর মানুষের সীমাহীন লোভ, স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার বলি হলো নিরপরাধ মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতা এবং দখলদারদের স্বেচ্ছাচারিতার পরিণতিই মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ট্র্যাজেডি। মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ চলতে থাকলে ভূমিকম্প ছাড়াই আরও বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভবন নির্মাণ-প্রক্রিয়াকে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা সময়ের দাবী। আজ ১৮ এপ্রিল ২০১৫, শনিবার, সকাল ১১ টায়, পবা কার্যালয়ে “মালিবাগ চৌধুরীপাড়া ট্র্যাজেডির দায় এবং ভবিষ্যৎ করণীয়” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা উক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
 
প্রতি ঘরে পাঁচ থেকে সাত জনের বসবাস। জানা যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কিছু ব্যক্তি ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাড়ি তুলে ভাড়া দিয়েছেন। দুই বছর আগে থেকে এখানে টিনের বাড়ি উঠছে। এখানে সরকারি খাসজমির পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানার জমিও আছে। কোন কোন মালিক নিজের জমির পাশাপাশি তিন-চার গুণ জমি দখল করেছেন। 
 
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধের আলোকে বক্তব্য তুলে ধরেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) এর সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না । উপস্থিত ছিলেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সোবহান, (নাসফ) এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৈয়ব আলী, মর্ডাণ ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত প্রমুখ।বক্তারা বলেন ঝিলের জমি দখল করে অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাকের ডগায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিন দিন মৃত্যুফাঁদটি তৈরী করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ভবন ধসে পড়া বা হেলে পড়া ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মামলা হলেও শাস্তির কোন নজির নেই কোথাও। কাজেই বলতে হবে, দায়িত্বহীনতা ও বিচারহীনতার পরিণামই মালিবাগসহ একের পর এক ভয়াবহ হত্যাকান্ড।
 
সংবাদ সম্মেলন থেকে নিম্নক্তো সুপারিশসমূহ জানানো হয়ঃ
১. মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ চলতে থাকলে ভূমিকম্প ছাড়াই আরও বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। সরকারের উচিত, বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভবন নির্মাণ-প্রক্রিয়াকে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা। 
২. হাউজিং পলিসি রিভিউ করা। সরকারিভাবে গরীব জনগণের আবাসনের ব্যবস্থা করা।
৩. অনুমতি ছাড়া কোন ভবন নির্মাণ কাজ করতে না দেয়া।
৪. সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের গাফেলতির জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫. রাজউক-এর হাতে যেসব অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে সেগুলোর জন্য জরুরীভিত্তিতে সর্বোচ্চ সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
৬. জলাভূমি দখল করে বসতি নির্মাণ বন্ধ করা।
৭. দায়ীদের বিচার হয় না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধের দায় থেকে মুক্তি দেয়। এটি নতুন অপরাধ সংঘঠনে প্ররোচনা দেয়। সাভার  ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী  ব্যক্তিদের যথোপযুক্ত শাস্তির মাধ্যমেই ন্যায় বিচারের নতুন সংস্কৃতি তৈরী করা। ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ কাজের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক গার্মেন্টস শ্রমিককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য রানা প্লাজার মালিক, কারখানার মালিক, সাভার পৌর কর্তৃপক্ষসহ যে ইউএনও ফাটল দেখা দেওয়ার পর গার্মেন্টস চালু রাখতে নির্দেশ দেন এরা সকলেই দায়ী যা অবহেলাজনিত কারণে ঘটিত মৃত্যু নয় বরঞ্চ দন্ডবিধির ৩০৪/১০৯ ধারায় মানুষ হত্যার অপরাধ।এ অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন বা কারাদন্ডসহ
 
 
অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। দন্ডবিধির ৩০৪/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা। উক্ত ভবনের উপর মোবাইল কো¤পানীর টাওয়ার স্থাপনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া।
৮. ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষিতদের সমন্বয়ে একটি পৃথক ভবন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠন অত্যন্ত জরুরি। ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার পর তা যথাযথভাবে তদারকি করতে হবে। ভবণ নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
৯. ড্যাপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে কোনো অস্পষ্টতা জরুরীভিত্তিকে নিরসন করা। ভবন নির্মাণের শুরু থেকে ব্যবহার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে আইনকানুন মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বাধ্য করা। ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণে ভবন নির্মাণ এবং নির্মাণ শেষে ভবনটির ব্যবহার উপযোগীতার  বিষয়ে রাজউককে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ভবন নির্মাণের আগে যে প্রতিষ্ঠানগুলো মাটি পরিক্ষা করে, তাদেরকে একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার অধীন আনা জরুরী। 
১০. সরকারকে দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর ও সতর্ক হতে হবে। দুর্নীতি না কমলে চৌধুরীপাড়ার ট্র্যাজেডির মতো ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকবে।