খাল, বিল, পুকুর ও জলাধার

ডুমনি খাল ভরাট ও খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ বন্ধ কর দাবীতে মানববন্ধন
মহানগরী ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনি খালটি ভরাট করতে শুরু করেছে ভূমিদস্যুরা। এ খালটিকে ঘিরে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করতে হয় ঐ এলাকার কয়েক হাজার খেটে খাওয়া মানুষের। এছাড়া খালটি ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, পানি প্রবাহ ও ঢাকাকে বন্যা মুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখছে। একইসাথে ঐ এলাকার  শিশুদের একমাত্র খেলার মাঠটিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে একটি আবাসন কর্তৃপক্ষ। শিশুদের শারীরিক, মানসিক গঠনসহ সামাজিক বিনোদনের জন্য মাঠটি গুরুত্বপূর্ণ।
সিক্কাটুলি পুকুর দখল ও ভরাট প্রক্রিয়া বন্ধ সংস্কারের দাবী

শত বছরের পুরাতন সিক্কাটুলী পুকুর ব্যক্তিগতভাাবে দখল কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। সরকার যখন সারা দেশের জলাশয় উদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করছে।  ঠিক তখনই পুরান ঢাকার শতবছরের পুরাতন সিক্কাটুলী পুকুরটি ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পতি হিসেবে চিহ্নিত করে দখলের চেষ্ঠা করা হচ্ছে। সিক্কাটুলীর একমাত্র পুকুরটি যে কোন মূল্যে রক্ষা করতে হবে।
ঢাকার চারপাশের নদীগুলোসহ শুভাঢ্যা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দায়ী ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমূ��
ঢাকার চারপাশের নদীগুলোসহ শুভাঢ্যা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ও দায়ী ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ২০০৮ সালে সরকারের হস্তক্ষেপে বুড়িগঙ্গা পাড়ের শুভাঢ্যা খালটির উভয় পাশের অধিকাংশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে খালটি দখলমুক্ত হয়। কিন্তু ভূমিদস্যুরা ইতোমধ্যে নতুন করে খালটি দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এ অবস্থায় খালটিকে পূর্ণ দখলমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সহ সকল দখলদার ভূমিদস্যুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে আজ ২৯ জুলাই ২০১০, বৃহস্পতিবার সকাল ১১:০০ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ কালিগঞ্জ বাজার শুভাঢ্যা খাল জোড়া ব্রীজ এর সামনের খেয়াঘাটে এক জনসমাবেশ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন  করা হয়। উক্ত জনসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোক সঙ্গীতসম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবার সাধারণ সম্পাদক গাজী লুৎফুল কবীর সুমন, আতিক মোর্শেদ, স্থানীয় ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন সহ বুড়িগঙ্গা পাড়ের অসংখ্য জনসাধারণ।  

নিকুঞ্জ লেক ভরাট বন্ধ কর
নিকুঞ্জ লেক ভরাট বন্ধ কর

নিকুঞ্জ-১ দক্ষিণ আবাসিক এলাকায় উত্তর পশ্চিমে নিকুঞ্জ লেক নামে একটি সুন্দর জলাশয় ছিল। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ইভেন্স গ্র“প নামে একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ভূমিদস্যুরা মিলে জলাশয়ের উত্তর অংশ থেকে ক্রমেই ভরাট করে আসছে । অথচ নিকুঞ্জ -১ দক্ষিণ ও নিকুঞ্জ -২ দুটি আবাসিক এলাকার বৃষ্টির সমুদয় পানি এই জলাশয়ে জমা হয়। জলাশয়ের প্রায় ৩৩ শতাংশ ভরাট করায় নিকুঞ্জ দক্ষিণ আবাসিক এলাকায় উত্তরাংশে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধভাবে জলাশয় ভরাট বন্ধ করা এবং ভরাট অংশ পুণরূদ্ধার করা না গেলে এলাকার নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ দারূণভাবে বিঘিœত হবে। ৩০ মে ২০১০, রবিবার নিকুঞ্জ-১ নং গেট (বিশ্বরোড বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন) এর সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও নিকুঞ্জ (দক্ষিন) আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি ‘নিকুঞ্জ লেক ভরাট বন্ধ কর’ শীর্ষক মানববন্ধনে এ কথাগুলো বলা হয়।
জলাশয় ও পাহাড় খেকোদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
জলাশয় ও পাহাড় খেকোদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

জলাশয় দখল করে ও পাহাড় কেটে অবকাঠামো নির্মান, পাহাড়ের বন উজার করার প্রেক্ষিতে নানা দূর্যোগরে সৃস্টি হচ্ছে। জলাশয় ও পাহাড় খেকোদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। গত ১৭ জুন ২০১০ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)র এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
ডিসিসি’র আওতাধীন ৪৩ টি খালসহ মহানগরীর শতাধিক খাল উদ্ধার-রক্ষার্থে কমিশন গঠন ও ভূমিদস্যুদের য��
ডিসিসি’র আওতাধীন ৪৩ টি খালসহ মহানগরীর শতাধিক খাল উদ্ধার-রক্ষার্থে
কমিশন গঠন ও ভূমিদস্যুদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই

অপরিকল্পিত নগরায়নসহ ভূমিদস্যুদের বেপরোয়া কার্যক্রমে বিলীন হতে চলেছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪৩ টি খালসহ ঢাকা মহানগরীর অসংখ্য খাল। এতে করে মহানগরী ঢাকা জলাবদ্ধতা, নৌ-যোগাযোগ ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। তাছাড়া ঢাকার আশপাশের অসংখ্য জেলেদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করতো  এসব খালের উপর এবং কৃষক তার  উৎপাদিত সব্জি সহজেই ঢাকায় পৌছাতে পারতো, কিন্তু এখনতা  শুধুই স্বপ্নমাত্র। ঢাকা শহরের ভিতরের ও চারপাশের খালগুলো রক্ষা এবং সচল করতে না পারলে আগামী দিনে ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। আজ ২১ মে ২০১০ শুক্রবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে চারুকলা ইন্সটিটিউটের সামনে ‘‘ঢাকার অস্তিত্ব ও কৃষক-জেলে-মাঝির জীবন-জীবিকা রক্ষায় ডুমনী, আতির খাল, হাইক্কার খালসহ সকল খাল উদ্ধার-রক্ষা কর’’ দাবীতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও গ্রীণবেল্ট ট্রাস্ট আয়োজিত  মানববন্ধনে উপরোক্ত সুপারিশ জানানো হয়।
অবিলম্বে সরকারিভাবে না করলে এলাকাবাসীকে নিয়ে পবা পুষ্পসাহা পুকুর দখল-ভরাটমুক্ত করবে


মহানগরী ঢাকার অভ্যন্তরীণ পুকুর, জলাধারসমূহ শহরের পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃষ্টির পানির প্রাকৃতিক আধার। লালবাগ থানার অন্তর্গত আমলীগোলা জগন্নাথ সাহা রোড়ের পুষ্পসাহা পুকুরটি এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী পুকুর। শহীদনগর, চৌধুরীবাজার, ঋষিপাড়া, বৌদ্ধপাড়া, ডুরি আঙ্গুল, নবাবগঞ্জ ও বালুঘাট এলাকার বৃষ্টির পানি ধারণের একমাত্র আধার এবং মানুষের গৃহস্থালি কাজের পানি এবং পুরান ঢাকার মতো ঘনবসিতপূর্ণ এলাকার পরিবেশের প্রয়োজনে ভূমিকা রেখে চলেছিল।
পুষ্প সাহা পুকুর অবিলম্বে দখল-ভরাটমুক্ত কর


পরিবেশ লালবাগ থানার অন্তর্গত আমলীগোলা জগন্নাথ সাহা রোড়ের পুষ্পসাহা পুকুরটি শহীদনগর, চৌধুরীবাজার, ঋষিপাড়া, বৌদ্ধপাড়া, ডুরি আঙ্গুল, নবাবগঞ্জ ও বালুঘাট এলাকার মানুষের গোসল, গৃহস্থালি কাজের পানি এবং পুরান ঢাকার মতো ঘনবসিতপূর্ণ এলাকার পরিবেশের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছিল।
বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত কর

বেপরোয়া  দখল-ভরাট এবং ক্রমবর্ধমান দূষণ ও অব্যাহত আগ্রাসনের ফলে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল এখন মৃত প্রায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও ঢাকার প্রাণস্বরূপ বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুণরুদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন কিছু উচ্ছেদ অভিযান ছাড়া কিছু হয়নি। যা আদি চ্যানেল উদ্ধারে কোন কাজে আসেনি। মহানগরী ঢাকার জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বুড়িগঙ্গার এই আদি চ্যানেলের সরকারি বেসরকারি সকল দখল অবিলম্বে উচ্ছেদ করে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুণরুদ্ধার করা হোক।
বিশ্ব জলাভূমি দিবস ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে জলাভূমি সংরক্ষণের দাবি
বিশ্ব জলাভূমি দিবস
ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে জলাভূমি সংরক্ষণের দাবি  



জলাভূমি আমাদের জীবনে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে ঠিক তেমনি অর্থনেতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে। জলাভূমি আমাদের পানি পরিশোধন ও চাহিদা পূরণ, খাদ্য উৎপাদন, মৎস সম্পদ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বন্যানিয়ন্ত্রণ, ভূগর্ভস্থ ও ভূপৃষ্ঠে পানি সংরক্ষণ, নদীভাঙন রোধ, ভূমিক্ষয়রোধ, দূষণরোধ, জলবায়ু পরিবর্তনরোধসহ বহুমাত্রিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। কিন্ত সকল পরিকল্পনায় জলাভূমি রক্ষা করার কথা বলা হলেও কার্যত এর প্রতিফলন হচ্ছে না। আজ সকাল ১১ টায় বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলন, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটি এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে চারুকলা অনুষদ এর সামনে আয়োজিত “ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে জলাভূমি সংরক্ষণ করা হোক” শীর্ষক মানববন্ধন থেকে এই অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া মানববন্ধন শেষে বেইলি রোডে হাবিবুল্লা বাহার কলেজের পিছনের ঐতিহ্যবাহী নওরতœ পুকুর পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনে দেখা যায় পুকুরের সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে অবৈধভাবে ভরাট করে কলেজের ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরিদর্শন দলের পক্ষ থেকে উক্ত পুকুর ভরাট বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
 
 
উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা নয় পুণ:রুদ্ধার করে শুভাঢ্যা খাল বাঁচাও



শুভাঢ্যা খালসহ  বুড়িগঙ্গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকৃত স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলে ও ভবন নির্মাণের মাধ্যমে পূণ:দখলের মহোৎসব চলছে। কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খালটির অবৈধ দখল উদ্ধার করে কিছুদিন আগে সচল করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে অব্যাহত দখলের মাধ্যমে খালটি আবার বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এইসব জলাধার রক্ষায় কেবল উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা নয়, নিয়মিত তদারকি ও আইনের কঠোর বাস্তবায়ন দরকার। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সকাল ১১ টায় শুভাঢ্যা খালের মুৃখে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং  কেরানীগঞ্জ শপিং ব্যাগ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি: এর যৌথ উদ্যোগে শুভাঢ্যা খাল বাঁচাও দাবীতে জনসমাবেশ ও নৌ-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উক্ত দাবী জানানো হয়। বাংলাদেশের বরেণ্য লোক সঙ্গীত স¤্রাট কুদ্দুস বয়াতী ও তার দল দখলের প্রতিবাদে গানে গানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।