পাখি ও বন্য প্রাণীর জীবন চক্রের উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার শপথ

পাখি ও বন্য প্রাণীর জীবন চক্রের উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার শপথ

“আমি শপথ করিতেছি যে, আমি পাখি ও বন্য প্রাণী নিধন করবনা। পাখি ও বন্য প্রাণীর জীবন চক্রের জন্য উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ অর্থাৎ ডিম পাড়া বা বাচ্চা প্রসব ও লালনের এবং তাদের আহার, বিশ্রাম ও বাসস্থানের উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করবনা। কেউ যদি পাখি বা বন্য প্রাণীর জীবন চক্রের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করে, তবে সমবেতভাবে তা প্রতিহত করব। আমি পাখি ও বন্য প্রাণীর উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে সচেষ্ট থাকব”


আজ ২৩ নভেম্বর ২০১০ বেলা ১১:৩০ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও রাজারবাগ পুলিম লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ এর যৌথ উদ্যোগে রাজারবাগ পুলিম লাইনৃস স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে পাখি ও বন্য প্রাণীর জীবন চক্রের উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় উক্ত শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। শপথ শেষে মানববন্ধনের আযোজন করা হয়। 

উক্ত প্রতিষ্ঠানের সব শ্রেণীর শত শত ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষকÑশিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগন সহ সকলকে শপথ পাঠ করান বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ পরিবেশবাদী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ পুলিম লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ লিয়াকত আলী, পাখি ও বন্য পশু প্রেমিক ইফমা হোসেন এবং এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পবা’র সহ: সম্পাদক গাজী লুৎফুল কবীর সুমন-প্রোগ্রাম অফিসার আতিক মোর্শেদ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পবা’র সহ: সম্পাদক তৌফিকুর রহমান সেন্টু।   

আমাদের শহরাঞ্চলে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে দোকানে নানা রকম দেশী-বিদেশী বন্য পাখি বিক্রয় হচ্ছে। এগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধরে বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বিষটোপ, জাল ও বন্দুক দ্বারা ধরা হয়। মানব সম্পদ উন্নয়নে ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ গঠনের সহায়ক হলো পশু-পাখি। মানুষ শখের বশীভূত হয়ে এবং ব্যবসায়িক স্বার্থে পাখি হত্যা ও খাঁচায় আবদ্ধ করে রাখছে। বিভিন্নভাবে আমরা প্রাণীকুল একে অপরের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু নানা প্রজাতির বন্য পাখিগুলোকে রক্ষার ব্যাপারে কার্যকরী কোন উদ্যোগ নেই এবং আমাদেরই প্রয়োজনে পাখিকুলকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী।   

অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের দেশ, পশ্চিমা দেশের তুলনায় এখানে শীতের প্রকোপ কম হওয়াই ও নানা কারণে শীতের সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রজাতির পাখি দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় আসে। যারা দেশের আইন প্রণেতা, আইনের রক্ষক, বুদ্ধিমান ও সভ্য বলে স্বীকৃত সূধীজন। সংসদ সদস্য, আর্মি অফিসার, উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য সৌখিন শিকারীরা দল বেধে অতিথি পাখি নিধন করছে হাওর সহ অন্যান্য এলাকাগুলোতে। প্রাণীকুল ও গাছপালা জীববৈচিত্র্যের বিরাট অংশ জেনেও আইন প্রয়োগে কঠোরতা নেই বলেই আমরা হারাচ্ছি অতি প্রয়োজনীয় জীববৈচিত্র্য। অবিলম্বে এ সকল পাখি নিধনকারীদের এবং হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা জরুরী। 

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর নেতৃত্বে একটি পাখি রক্ষায় টিম গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত টিমটি পাখি বিক্রয় বন্ধের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবে।