ডুমনি খাল ভরাট ও খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ বন্ধ কর

ডুমনি খাল ভরাট ও খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ বন্ধ কর
মহানগরী ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনি খালটি ভরাট করতে শুরু করেছে ভূমিদস্যুরা। এ খালটিকে ঘিরে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করতে হয় ঐ এলাকার কয়েক হাজার খেটে খাওয়া মানুষের। এছাড়া খালটি ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, পানি প্রবাহ ও ঢাকাকে বন্যা মুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখছে। একইসাথে ঐ এলাকার  শিশুদের একমাত্র খেলার মাঠটিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে একটি আবাসন কর্তৃপক্ষ। শিশুদের শারীরিক, মানসিক গঠনসহ সামাজিক বিনোদনের জন্য মাঠটি গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার একমাত্র খেলার মাঠটিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং পানি নিষ্কাশন, চাষাবাদসহ জীববৈচিত্র্যের প্রয়োজনে ডুমনি খাল ভরাট-দখল বন্ধ করা জরুরী। ০৭ এপ্রিল ২০১২, সকাল ১০:৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত এক মানববন্ধনে উক্ত দাবী জানানো হয়।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, পবার সম্পাদক আসলাম খান, কোর্ডিনেটর আতিক মোরশেদ, গ্রীণফোর্সের আহবায়ক মোরশেদ আলম শিশির, এশিয়ান জুট এসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ মেম্বার সৈয়দ মো: হোসেন, প্রাক্তন জেলা জজ মো: আমান উল্লাহ, পিংকসিটি হোম ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম, নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শহীদুল্লাহ, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্টের মাহসচিব মুজাহিদুল ইসলাম, মো: শামীম হোসেন  প্রমুখ। 

আবু নাসের খান বলেন, দেশে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হবে যদি ইমারত নির্মাণের নামে আবাদী জমিসহ খাল-বিল গুলো দখল হতে থাকে। বিরাট সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকা যেমন ব্যাহত হবে তেমনি জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মাধ্যমে দেখা দেবে পরিবেশ বিপর্যয়। তাই যারা অবৈধ দখলের মাধ্যমে জীবন ও পরিবেশের ধ্বংস ডেকে আনছে তাদের এখনি রুখতে হবে। তাদেরকে শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে যাতে আর কেউ এমন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের সাহস না করে।

মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, ডুমনি খাল এলাকাটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি খালটিতে ভরাটের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ শুরু করেছে। ঢাকার এই জলাশয়গুলোকে বাঁচাতে না পারলে আগামী দিনে ঢাকা সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। খাল ও জলাশয় উদ্ধার বা সংস্কার কেবল মহানগরীর পানি ও বর্জ্য চলাচলের জন্যই প্রয়োজন এমন নয়; জলাবদ্ধতা সমস্যা ছাড়াও জলাশয়বিহীন রাজধানী এই জনপদ ও জনজীবনের জন্যই হুমকির কারণ হয়ে উঠবে। দেখা দিবে ভূমিকম্প, ক্ষতিগ্রস্ত হবে জীববৈচিত্র্য। এই খালগুলো উদ্ধার না হলে সংকট আরো গভীরতর হবে। যা শুধু পরিবেশ নয় আমাদের অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ডুমনিসহ সকল খাল ভূমিদস্যুদের কবল থেকে দখল মুক্ত করা হোক এবং সেইসাথে পিংকসিটি আবাসিক এলাকার একমাত্র খেলার মাঠে বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ করার আহবান জানাচ্ছি।