আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক পদার্থের শিল্প-কারখানা, গুদাম ও দোকান নিষিদ্ধ কর

২৪ জুন ২০১০, শনিবার সকাল ১১:০০ টায় নিমতলীর দূর্ঘটনা স্থলে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ‘‘আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক পদার্থের শিল্প কারাখানা, গুদাম ও দোকান উচ্ছ্দে কর’’ শীর্ষক মানববন্ধনের আয়োজন করে। বক্তারা বলেন, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক পদার্থের শিল্প-কারখানা, গুদাম ও দোকান রয়েছে। অথচ রাসায়নিক পদার্থের ব্যবস্থাপনায় সামান্য ক্রটির কারণে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা।আমরা দেখছি গত কিছু দিনের মধ্যেই ছোট বড় বেশ কিছু দূর্ঘটনা ঘটছেও। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে বংশালের মকিম বাজার এলাকায় কেমিকেলের গোদামে, মার্চে হাজারীবাগের এপেক্স ট্যানারীতে  রাসায়নিক পদার্থের বিস্ফেরণ হয়, এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। অবশেষে গত ০৩ জুন ২০১০ নিমতলীতে আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক পদার্থের কারখানা, গুদাম কিংবা দোকান রাখার ফল যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন বিস্ফোরণ এর চেয়েও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারতো। এরূপ অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দায়ী সরকারের চরম দায়িত্বহীনতা। নয়তো কি করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একই বাসায় মানুষের সাথে মারাত্মক রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদ কিংবা ব্যবহারের অনুমোদন পায় ? 


মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নবাব কাটরার সমাজকল্যাণ ও পঞ্চয়েত কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ, নগরবাসী সংগঠনের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, হাজী আনসার আলী, পবা’র সমন্বয়কারী গাজী লুৎফুল কবীর সুমন, মো: হেদায়েত উল্যাহ, আলহাজ মো: আকবর হোসেন, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, মুসলিম যুবসংঘের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, গ্রীণবেল্ট এর জসিম কাতাবী, পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো: কাসেম, হাজী মো: আকবর হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও পুরান ঢাকার শত শত নারী পুরূষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।

কেমিকেলের বিস্ফোরণে বিভিন্ন সময়ে যে প্রাণহানী ঘটেছে তা অপূরনীয়। আর সম্পদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বিশাল। আবাসিক এলাকা থেকে অবিলম্বে রাসায়নিক পদার্থের সকল শিল্প-কারখানা, গুদাম ও দোকান উচ্ছেদ করা হোক এখন তা জনগণের দাবি। আমরা আর মকিমবাজার, হাজারীবাগের এপেক্স ট্যানারী ও নিমতলীর মতো কোন হৃদয় বিদারক দৃশ্যের পুণরাবৃত্তি চাই না। 

তাই আমাদের দাবি
     * অবিলম্বে রাসায়নিক দ্রব্যের উৎপাদন, বিপনন, গুদামজাতকরণ ও যধহফষরহম এর জন্য যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করা হোক।
* লোকালয়ে রাসায়নিক দ্রব্যাদির উৎপাদন, বিপনন ও গুদামজাতকরণ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করা হোক। পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক দ্রব্যাদির কারখানা, গুদাম ও দোকান অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হোক। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে,যথাযথভাবে সম্পন্ন করা এবং অযথা কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসমম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে করা হোক।
* শহরতলীতে একটি পৃথক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা করে সব ধরণের রাসায়নিক দ্রব্যের ফ্যাক্টরী, গুদাম ও দোকান শহর থেকে সেখানে স্থানান্তর করা হোক।