বন্যপ্রানীর খামার তৈরির অনুমোদন না প্রদান করার আহবান
তোতা মিয়ার  সকল সাপ উপযুক্ত পরিবেশে সংরক্ষন এবং 
বন্যপ্রানীর খামার তৈরির অনুমোদন না প্রদান করার আহবান- পবার গোল-টেবিল বৈঠকে আলোচকগণ
 
তোতা মিয়ার কিছু সাপ স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এবং বাকী সাপগুলোকে হত্যা না করে, উপযুক্ত পরিবেশে সংরক্ষন করার জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আহবান জানিয়েছে পরিবেশ বিশেষজ্ঞগণ। আজ ১৯ নভেম্বর ২০০৭, সোমবার, ৩:৩০ মিঃ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) মিলনায়তনে পবা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার এবং ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাষ্ট বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে বন্যপ্রাণী সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ‘বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণের আলোকে সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী পালন ও খামার স্থাপনের নীতিমালা’ বিষয়ক গোল-টেবিল বৈঠকে এ আহবান জানানো হয়। গোল-টেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জনাব আবু নাসের খান, আহবায়ক, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন।
 
গত কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী এলাকার তোতা মিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যু এবং খামারের বেশ কিছু সাপ না খেতে পেয়ে মারা যাওয়ায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ, পরিবেশবীদ, এলাকাবাসী সহ সারা দেশের মানুষের মাঝে এ খবরটি আলোড়ন সৃষ্টি করে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় তোতা মিয়ার মৃত্যুর পর কিছু সাপ চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর ও অবশিষ্ট সাপ হত্যা করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। আলোচকগণ সরকারের কিছু সাপ সংরক্ষনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, বাকী সাপগুলোকে উপয্ক্তু পরিবেশে সংক্ষনের আহবান জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেনÑবাংলাদেশ অনেক প্রজাতির সাপ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, এ সাপগুলোকে সংরক্ষন করা হলে এগুলো প্রাকৃতির সম্পদ হবে। পাশাপাশি আলোচকগন এ ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংস না করে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। পরিবেশ বিশেষজ্ঞগণ বলেন, বন্যপ্রানীর খামার তৈরির অনুমোদন প্রদান করা হলে বন্য প্রাণী ধ্বংস হতে পারে। তারা বন্যপ্রাণীর খাবার স্থাপনের অনুমোদন প্রদান না করার আহবান জানিয়েছেন। 
 
গোল-টেবিল বৈঠকের সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন পবা’র আহ্বায়ক আবু নাসের খান, বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিধ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ মফিজুল করিম, পীস এর মহাসচিব ইফ্মা হোসেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, ব্যারিস্টার রায়হান খালিদ, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির এ কে এম মাকসুদ প্রমুখ।