পুরোন ঢাকায় রাসায়নিক বিস্ফোরণে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কা ঃ এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে
পুরোন ঢাকায় রাসায়নিক বিস্ফোরণে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কা ঃ এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে
 
আমরা দৈনিক পত্রিকা ও পুরোন ঢাকার সচেতন নাগরীক সমাজের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বংশাল রোডের মকিমবাজার এলাকায় রসায়নিক পদার্থের গুদামে বিস্কোরনের ঘটনার খবর জেনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-এর চেয়ারম্যান জনাব আবু নাসের খান-কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল দেখে এলাম। একটি সরু গলির শেষ মাথায় কয়েকটি গুদামঘর রয়েছে। দশ বৎসর বয়সের একটি ছেলে জানালো যে পাশের তালাবন্ধ গুদাম থেকে তীব্র গন্ধযুক্ত গ্যাস বেরিয়েছিল। অনুমান করা যায় যে কোন ও সিলিন্ডারে উচ্চ চাপে রাখা অ্যামেনিয়া কোন ও কারনে হঠাৎ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেরিয়ে এসেছিল। একটি গুদামের উপস্থিত জনৈক কর্মচারী তার গুদামটি খুলে বুঝাতে চাইলেন যে ঐ গুদামে কেবল গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীতে ব্যবহারের জন্য “তৈল” রয়েছে। দেখলাম অপরিসর একটি ঘরে প্রায় দশটি ড্রাম রয়েছে, যাদের গায়ে কোন লেবেল নেই। বালতিতে রক্ষিত নমুনা দেখে মনে হলো, তরলটি একটি জৈব যৌগ, যা অবশ্যই একটি দাহ্য পদার্থ। কর্মচারীকে প্রশ্ন করে বুঝা গেল যে তিনি ড্রামের তরল বস্তুটির ধর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ন অজ্ঞ এবং এটি তার কাছে সম্পূর্ন নিরাপদ একটি বস্তু। গুদামঘর গুলো বিভিন্ন কোম্পানী কর্তৃক ভাড়া করা ঘর এবং এ ঘরগুলির মালিক পরিবার নিয়ে উপরতলায় বাস করেন। গুদামে কি রাখা হয় এবং তাতে কোন ঝুঁকি রয়েছে কিনা, এ বিষয়ে ঘরের মালিক একজন পৌঢ় মহিলা তার অজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। 
 
বস্তুতঃ পূরান ঢাকার এই বিস্তীর্ন এলাকায় অসংখ্য রাসায়নিক পদার্থের গুদাম রয়েছে। বোধকরি লোকালয়ে ঝুঁকিপূর্ন রাসায়নিক পদার্থের এবং গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম স্থাপন করা বেআইনী। যথাযথ কর্তৃপক্ষ ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার এইসব গুদামের অস্থিত্ব সম্পর্কে নিশ্চয়ই ওয়াকেবহাল রয়েছেন। সাধারন জনগনের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষে এই বিষয়ে নীতিমালা ও তার বাস্তবায়ন অপরিহার্য। এ ছাড়া যে সব কর্মচারী এই সব গুদামে কাজ করেন, ঝুঁকিপূর্ন রাসায়নিক পদার্থের চালনা (যধহফষরহম) সম্পর্কে তাদের একটি ন্যুনতম প্রশিক্ষন প্রয়োজন। 
 
পুরোন ঢাকায় রাসায়নিক বিস্ফোরণে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কা ঃ এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে
 
আমরা দৈনিক পত্রিকা ও পুরোন ঢাকার সচেতন নাগরীক সমাজের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বংশাল রোডের মকিমবাজার এলাকায় রসায়নিক পদার্থের গুদামে বিস্কোরনের ঘটনার খবর জেনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-এর চেয়ারম্যান জনাব আবু নাসের খান-কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল দেখে এলাম। একটি সরু গলির শেষ মাথায় কয়েকটি গুদামঘর রয়েছে। দশ বৎসর বয়সের একটি ছেলে জানালো যে পাশের তালাবন্ধ গুদাম থেকে তীব্র গন্ধযুক্ত গ্যাস বেরিয়েছিল। অনুমান করা যায় যে কোন ও সিলিন্ডারে উচ্চ চাপে রাখা অ্যামেনিয়া কোন ও কারনে হঠাৎ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেরিয়ে এসেছিল। একটি গুদামের উপস্থিত জনৈক কর্মচারী তার গুদামটি খুলে বুঝাতে চাইলেন যে ঐ গুদামে কেবল গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীতে ব্যবহারের জন্য “তৈল” রয়েছে। দেখলাম অপরিসর একটি ঘরে প্রায় দশটি ড্রাম রয়েছে, যাদের গায়ে কোন লেবেল নেই। বালতিতে রক্ষিত নমুনা দেখে মনে হলো, তরলটি একটি জৈব যৌগ, যা অবশ্যই একটি দাহ্য পদার্থ। কর্মচারীকে প্রশ্ন করে বুঝা গেল যে তিনি ড্রামের তরল বস্তুটির ধর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ন অজ্ঞ এবং এটি তার কাছে সম্পূর্ন নিরাপদ একটি বস্তু। গুদামঘর গুলো বিভিন্ন কোম্পানী কর্তৃক ভাড়া করা ঘর এবং এ ঘরগুলির মালিক পরিবার নিয়ে উপরতলায় বাস করেন। গুদামে কি রাখা হয় এবং তাতে কোন ঝুঁকি রয়েছে কিনা, এ বিষয়ে ঘরের মালিক একজন পৌঢ় মহিলা তার অজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। 
 
বস্তুতঃ পূরান ঢাকার এই বিস্তীর্ন এলাকায় অসংখ্য রাসায়নিক পদার্থের গুদাম রয়েছে। বোধকরি লোকালয়ে ঝুঁকিপূর্ন রাসায়নিক পদার্থের এবং গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম স্থাপন করা বেআইনী। যথাযথ কর্তৃপক্ষ ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার এইসব গুদামের অস্থিত্ব সম্পর্কে নিশ্চয়ই ওয়াকেবহাল রয়েছেন। সাধারন জনগনের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষে এই বিষয়ে নীতিমালা ও তার বাস্তবায়ন অপরিহার্য। এ ছাড়া যে সব কর্মচারী এই সব গুদামে কাজ করেন, ঝুঁকিপূর্ন রাসায়নিক পদার্থের চালনা (যধহফষরহম) সম্পর্কে তাদের একটি ন্যুনতম প্রশিক্ষন প্রয়োজন।