পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আইনি কাঠামো ও বর্জজীবীদের জীবন
১. ভূমিকা
 
একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার চর্চা বন্ধ করতে হবে, কারণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বর্জ্য মানুষের জন্য একটি অন্যতম হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর মানুষ ও পরিবেশের জন্য বর্জ্যরে ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেই এখন আইন করে নিয়ন্ত্রিতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা এবং পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির জন্য বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নতুন নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন পড়বে। 
 
বাংলাদেশের মত একটি দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নগরায়নের দেশে, শহরের বর্জ্যরে অব্যবস্থাপনা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী। শহরের মান বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসে কার্যকর উদ্যোগ জরুরী। পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তাই প্রয়োজন বর্জ্য সংগ্রহের হার বৃদ্ধি, উপযোগী বর্জ্য পরিবহন পদ্ধতি এবং জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি সৃষ্টি না হয় এমনভাবে বর্জ্য ফেলার কৌশল কাজে লাগানো। 
 
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে পৌর বর্জ্য আসে মূলত গৃহস্থালি বর্জ্য, প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য, বাণিজ্যিক বর্জ্য, রাস্তাঘাটে ফেলা বর্জ্য, কারখানার বর্জ্য এবং বিভিন্ন ধরনের নির্মান কাজ বা ঘরবাড়ী ভাঙ্গার বর্জ্য থেকে। যদিও বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, কিন্তু ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার খুব ভাল ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। বর্জ্য এখনও যত্রতত্র ফেলার অভ্যাস শহরবাসী যায়নি কিংবা বর্জ্য সঠিকভাবে ফেলার পদ্ধতিও শহরবাসী বিশেষত বস্তিবাসী খুঁজে পায়নি। এর ফলে ক্রমাগতহাবে বাড়ছে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এছাড়াও, শহরে কত পরিমান ও কী কী ধরনের বর্জ্য তৈরি হচ্ছে তা সঠিক ও বিস্তারিত গবেষণা তথ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্ত্তৃপক্ষের নিকট না থাকায় এবং আর্থিক ও ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা ঘাটতি থাকায় শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করাও জটিল হয়ে উঠছে।
 
১৯৮০ থেকে ২০১০ সময়কালে বাংলাদেশের শহুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ছিল গড়ে শতকরা ৪.৪ ভাগ অথচ গ্রামীন জনসংখা বৃদ্ধির হার ছিল গড়ে শতকরা ১.৩ ভাগ। ২০৪০ সালে বাংলাদেশের শহুরে জনসংখ্যার অনুপাত গ্রামীণ জনসংখ্যার চেয়ে বেশী হয়ে যাবে। ২০১১ সালে বাংলাদেশে শহুরে জনসংখ্যা ছিল ৪.২৭ কোটি (২০১১ সালে মোট জনসংখ্যার ২৮.৩৭%) এবং গ্রামীণ জনসংখ্যা ছিল ১০.৭৮ কোটি (২০১১ সালে মোট জনসংখ্যার ৭১.৬৩%)। অথচ ২০৫০ সালে বাংলাদেশের শহরগুলোতে বাস করবে ১১.২ কোটি (২০৫০ সালে মোট জনসংখ্যার ৫৫.৫৮%) মানুষ এবং গ্রামগুলোতে বাস করবে ৮.৯৫ কোটি মানুষ (২০৫০ সালে মোট জনসংখ্যার ৪৪.৪২%)।  অতএব শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কী অবস্থা হবে তা কিছুটা অনুমান এখনই করা যেতে পারে, যদি সঠিক পদক্ষেপ এখনই নেয়া না হয়। সরকারি তথ্যমতে, ঢাকা শহরের প্রতিদিন তৈরি হওয়া বর্জ্যে মাত্র শতকরা ৬০ ভাগ সিটি কর্পোরেশন দুটি সংগ্রহ করতে পারে। একদিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যেমন খুব ভাল পদ্ধতি গড়ে ওঠেনি তেমনি অন্যদিকে বর্জ্য কমানো ও রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ তেমন নেই। অন্যান্য শহরগুলোতেও কারিগরি ও আর্থিক সক্ষমতার অভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপার দুরবস্থা চলছে।  সংগ্রহ না হওয়া বাকী বর্জ্য (শতকরা ৪০ ভাগ) তাই অবৈধভাবে বাড়ীর পাশের খানাখন্দে, ডোবা-নালা, ড্রেনে, রাস্তার পাশে, খোলা জায়গায়, খালে-বিলে, জলাভূমিতে, নদীতে ফেলা হয়। বর্জ্য-এর ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি করবে তাই এ বিষয়টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অজর্নকেও দুরূহ করে তুলতে পারে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জসমূহ উত্তরনের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর আইনি ও প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার যোগান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অংশীদারদের কার্যকর অংশগ্রহণ জরুরী।
 
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (১) ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, জনস্বাস্থের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন। আরও আশার কথা এই যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে একটি ধারা যোগ করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে সংযোজিত নুতন এই ১৮ (ক) ধারায় বলা হয়েছে যে, “রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।  তাই আমরা আশাবাদি এই যে, সংবিধানের আলোকে আমরা এখন সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি আইনি কাঠামো ও কার্যকর কৌশল খুঁজে পাব।
 
২. আলোচনা সভায় উদ্দেশ্য
 
আজকের আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান আইনি কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা এবং বাংলাদেশের পৌর ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নয়নে ও একটি টেকসই ও সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে কী ধরনের আইনি কাঠামো প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি জন-আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করা। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আইনি কাঠামোর আওতায় কিভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা নাড়াচাড়ার সাথে যারা জড়িত (প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত) তাদের স্বাস্থ্য ও জীবিকার সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় তার বিষয়টি আলোচনা করা। তৃতীয়ত, এই আলোচনা সভার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো “ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক পণ্য হইতে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৭” বিষয়ে বর্তমান সরকার একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে এবং সে বিষয়ে জনগণের সরাসরি মতামত প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে এজন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা।
 
৩. বাংলাদেশের পৌর বর্জ্য
 
বাংলাদেশের ৫২২টি নগর ও শহর যা দ্রুত অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কেন্দ্র এবং এসব শহর ও নগরে দৈনিক হাজার হাজার টন গৃহস্থালি, শিল্প, বাণিজ্যিক, হাসপাতাল বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। বর্জ্য সংগ্রহের কমহার, বর্জ্য সংগ্রহ ও স্থানান্তÍরের জন্য পরিবহনের অভাব, বর্জ্য পরিশোধন, রিসাইক্লিং ও ফেলার সুবিধার অভাব এসব জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে।  পূর্বে ময়লা বা বর্জ্য বলতে ‘মূল্যহীন’ কিছু বস্তুসমূহকে বোঝানো হতো কিন্তু বর্তমানে গৃহস্থালী, শিল্প, বাণিজ্যিক, নির্মান কর্মকান্ডে সৃষ্ট বর্জ্য বা ময়লাকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
 
২০০৫ সালের সরকারী হিসাব মতে বাংলাদেশের পৌর এলাকাসমূহে প্রতিদিন ১৩,৩৩২ টন বর্জ্য সৃষ্টি হতো যা বছরে ৪.৮৬ মিলিয়ন টন। এটা অনুমান করা হচ্ছে যে শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মাথাপিছু বর্জ্য তৈরির হার বৃদ্ধির ফলে ২০২৫ সালে বাংলাদেশের পৌর এলাকাসমূহে প্রতিদিন ৪৭,০০০ টন বর্জ্য সৃষ্টি হবে যা বছরে ১৭.২ মিলিয়ন টন হবে। ২০০৫ সালের হিসাব মতে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে মাথাপিছু বর্জ্য তৈরির হার ছিল ০.৪১ কিলোগ্রাম/প্রতিজন/দৈনিক। ঐ সময়ের হিসেবে আরও দেখা যায় যে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ১২০,০০০ জন নগরের দরিদ্র মানুষ রিসাইক্লিং (পুনচক্রায়ন) ব্যবসার কাজকর্মের সাথে জড়িত যা গড়ে প্রতিদিন ৪৭৫ টন এবং এর ফলে তারা বছরে ১০৭১ কোটি টাকার আমদানী পণ্যমূল্য সাশ্রয় করে। 
 
যেহেতু বর্জ্য সর্ম্পকে সাম্প্রতিক কোন নির্ভরশীল তথ্যসূত্র নেই তাই ২০১৭ সালে কত টন বর্জ্য টাকা শহরে তৈরি হচ্ছে তার একটা আনুমানিক হিসেব করা যায়। রাজউক-এর হিসাব মতে ঢাকা শহরে ২০১৭ সালে ১.৭৩২ কোটি মানুষ ছিল এবং তাদের মতে ২০৩০ সালে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা হবে ২.৭৩৭ কোটি।  এ তথ্যের সূত্র ধরে বলা যায় যে ২০১৭ সালে ঢাকায় ১.৮৩২ কোটি মানুষ বাস করছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব মতে ঢাকা শহরের মানুষেরা জনপ্রতি দৈনিক ০.৫৬ কেজি বর্জ্য  তৈরি করে তাই বলা যায় যে ঢাকার শহরের বর্তমান দৈনিক বর্জ্যরে তৈরির পরিমান কমপক্ষে ১০২৬১ টন। পৌর এলাকায় বর্জ্য পানিও তৈরি হয় গৃহস্থালী, শিল্প, বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ডের ফলে। বলা হয় মানুষের প্রায় সবধরনের কর্মকান্ডই বর্জ্য পানির সৃষ্টি করে। দিন দিন পানির চাহিদা বাড়ছে, আর সেই সাথে বর্জ্য পানির পরিমানও বাড়ছে। বাংলাদেশে বেশীরভাগ বর্জ্য পানিই কোন ধরনের পরিশোধন ছাড়াই বর্জ্য পানি সরাসরি পরিবেশে ছাড়া হয়, যার ক্ষতিকর প্রভাব মানবদেহ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানসম্মত মিঠাপানির সম্পদ সরবরাহ, পরিবেশ ব্যবস্থা সব কিছুর উপরই পড়ছে। বর্জ্য পানির কারণে পানিবাহিত রোগের প্রকোট বাড়ছে এবং মানুষের জীবিকার সংকটও তৈরি হচ্ছে। বর্জ্য পানি যদিও সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা চক্রের অপরিহার্য অঙ্গ তবুও প্রায়ই বর্জ্য পানি পরিশোধন ও পুনঃব্যবহারের বিষয়টি প্রায়শই আলোচনায় আনা হয়না। 
 
৪. পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত মানুষ ও তাদের অমানবিক জীবন
 
বাংলাদেশের পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা নাড়াচাড়ায় বিভিন্ন ধরণের কর্মীরা জড়িত যেমন: বাসাবাড়ী থেকে ভ্যানে করে বর্জ্য সংগ্রহকারী ও তা নিকটস্থ ডাস্টবিন বা ট্রান্সফার সেন্টারে ফেলার ভ্যানচালক ও তার হেলপারগণ, সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার ঝাড়–দারগণ, রাস্তার পাশের ডাস্টবিন, খোলা রাস্তার উপর বা ড্রেনে বা যে কোন স্থানে জমা বর্জ্য সিটি কর্পোরেশনের বা পৌরসভার ময়লার ট্রাকে বর্জ্য ওঠানো ও তা আবর্জনার স্তুপে নিয়ে ফেলার শ্রমিক যাদেরকে সিটি কর্পোরেশন স্ক্যাাভাঞ্জারস বলে, বর্জ্য পরিবহনের ট্রাকচালক ও হেলপারগণ, রাস্তা-নদীর ঘাট ও ট্রেন স্টেশন, শহরের ডাস্টবিন ও আবর্জনার স্তুপ থেকে নিজের উদ্যোগে আবর্জনার বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহকারী বর্জজীবীরা, ভাঙ্গারী দোকান বা রিসাইক্লিং-এর জন্য তৈরি করার ছোট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বর্জজীবীদিনমজুরা (বর্জ্যরে ধরন অনুযায়ী পৃথক করা, ধুয়ে পরিষ্কার করা, যন্ত্রের মাধ্যমে বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করা, যেমন: মেশিনে গরু-ছাগল-মহিষের হাড় ভেঙ্গে ছোট টুকরা করা, প্লাস্টিক বোতল কেটে ছোট ছোট টুকরা করা, গাড়ীর ব্যাটারীর প্লাস্টিক-ধাতব অংশ আলাদা করা, কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আলাদা করা)।প্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরা সিটি কর্পোরেশনে বা পৌরসভায় চাকুরিভূক্ত কর্মচারী এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরা স্বাধীন-স্বনিয়োজিত বর্জজীবী ও বর্জজীবী দিনমজুর।বর্জ্য নাড়াচাড়ায় যারা জড়িত তাদের প্রায় সবাই কোন ধরনের নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার ছাড়াই খালি হাতে ও খালি পায়ে ও কোন মাস্ক ছাড়াই কাজ করে।
২০০৫ সালের সরকারের হিসেবে দেখা যায়- বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩৬,০০০ টন মেডিক্যাল বর্জ্য তৈরি হয় যার ৭,২০০ টন অত্যন্ত ক্ষতিকর।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রমতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরীগুলোতে মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দূর্বল।  এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশের ডাস্টবিনে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ, রক্তের ব্যাগ, স্যালাইনের ব্যাগ, নানান ঔষধ, শরীরের কাটাছেড়া করা অংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।  
 
বর্জ্যজীবীরা শহরের ডাস্টবিন ও ডাম্পিং সাইট বা ল্যান্ডফিল থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এ পেশাটি হলো শহরের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর শিশু, কিশোর-কিশোরী, নারী ও পুরুষের আয় করার একটি পেশা। বর্জ্যজীবীরা উচ্ছিষ্ট খাবার, কাগজ, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর বর্জ্য, টিন ও টিনজাত দ্রব্য, ভাঙ্গা কাঁচ, লোহার টুকরা, কাঠ, জুতা-স্যান্ডেল, ব্যবহারের করা সিরিঞ্জ, রক্ত ও স্যালাইনের ব্যাগ, প্লাস্টিক বোতল ও প্লাস্টিজাত দ্রব্য, এক্স-রে প্লেট, পলিথিন, রাবারের সামগ্রী, হাড় ইত্যাদি সংগ্রহ করে থাকে। 
 
বর্জ্যজীবী হলো একটি শহুরে জনগোষ্ঠী যারা শহরের ডাস্টবিন ও ল্যান্ডফিল (আবর্জনার ডাম্পিং সাইট) থেকে বিক্রয়যোগ্য ও পুনঃব্যবহারযোগ্য বর্জ্য সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন শ্রেণিতে আলাদা করে ও বিভিন্ন উপায়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে তা বিক্রয় করে থাকে বা নিজেরা ব্যবহার করে থাকে। অধিকাংশ বর্জজীবীই দারিদ্র্য, পারিবারিক কলহ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে সর্বস্বান্ত হয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে।বর্জ্যজীবীরা বর্জ্য সংগ্রহ ও বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এ পেশাটি হলো শহরের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারীদের আয় করার একটি স্বাধীন ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক পেশা। এদের অধিকাংশ মানুষই গ্রামীণ দারিদ্র্যের কারণে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারা উদ্বাস্ত হয়ে শহরে এসেছে। বর্জ্যজীবীরা রাস্তার পাশের ডাস্টবিন এবং ওয়েস্ট ডাম্পিং সাইট (ল্যান্ডফিল) থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে। অধিকাশ বর্জ্যজীবীরাই ডাস্টবিন, শহরের বড় রাস্তাঘাট বা ল্যান্ডফিলের নিকটস্ত বস্তিতে বা শহরে গৃহহীন অবস্থায় বাস করে। প্রতিদিনই তারা কাঁধে একটি বস্তা এবং হাতে একটি আরচা (লোহার দন্ড যার মাথা বাঁকা) নিয়ে বর্জ্য ঘাটাঘাটি করে প্রয়োজনীয় বর্জ্য খুঁজে বের করে, তাই র’নবী কার্টুনিস্ট এদেরকে ‘টোকাই’ বলেছেন। বর্জ্যজীবীরা উচ্ছিষ্ট খাবার, কাগজ ও প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, প্লাস্টিক বোতল ও বোতলের কর্ক, ব্রাশ, বলপেন, আইসক্রিমের পট, প্লাস্টিক পাইপ এবং অন্যান্য প্লাস্টিকজাত দ্রব্য, ভাঙ্গা কাঁচ, টিন, লোহার টুকরা, কাঠ, জুতা-স্যান্ডেল, ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া সিরিঞ্জ, রক্ত ও স্যালাইনের ব্যাগ, ছেঁড়া বা উচ্ছিষ্ট কাপড়, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর বর্জ্য, চুল, টিন ও টিনজাত দ্রব্য, এক্স-রে পেপার, পলিথিন, রাবারের সামগ্রী, হাড় ইত্যাদি সংগ্রহ করে থাকে। বর্জ্য সংগ্রহ করার পর তার গুণগত মান বাড়ানোর জন্য সেগুলো তারা নানাভাবে পরিস্কার করে বা কখনো কখনো পানি দিয়ে ধোয়ামোছা করে। বর্জ্য সংগ্রহ করে তা পরিস্কার করার পরই তারা সেগুলো নিয়ে বর্জ্য বিক্রির দোকানে (ভাঙ্গারী/কাগজ/ঝূট-এর দোকান) আসে। 
 
বর্জ্যজীবীরা বর্জ্য সামগ্রী সংগ্রহের সময় নানাভাবে শারীরিকভাবে আহত হয় এবং দূর্ঘটনার শিকার হয়। তারা ধারাল বস্তু, ভাঙ্গা কাঁচ, মেডিকেল বর্জ্য দ্বারা নানাভাবে আহত ও আক্রান্ত হয়। তাদের কাজ সর্বদাই ঝুঁকিপূর্ণ প্রায়শই যার পরিণতি শারীরিক প্রতিবন্ধিত্ব। এই জনগোষ্ঠী অত্যন্ত খারাপ পরিবেশে খালি হাতে ও খালি পায়ে বর্জ্য সংগ্রহ করার ফলে তারা নিয়মিতই বিভিন্ন ধরনের রোগের শিকার হয়ে থাকে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কঠিন বর্জ্যসমূহ অপসারণ ব্যবস্থা আদৌ পরিবেশসম্মত নয়। প্রথমতঃ নগরের শিল্পজাত ও হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণের দক্ষ আলাদা ব্যবস্থা নেই। ২০০৯ সালের বাংলাদেশ সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রে শহরের দরিদ্র বর্জ্যজীবীদের মেডিকেল বর্জ্য দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কারণেতারা সর্বদাই নানা রকমের ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে- টাইফয়েড, কলেরা, যক্ষা, আমাশয়, ডায়রিয়া এইচআইভি সংক্রমণ, নানা ধরনের চর্মরোগ, জন্ডিস, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া। এর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে তাদেও শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে যায়, থেতলে যায় আর কখনোবা কাজ করার সময় দূর্ঘটনায় শরীরের কোন অংশ থেতলে যায় বা অঙ্গহানি ঘটে। এসবই ঘটে বর্জ্যজীবীদের জ্ঞান ও সচেতনতার অভাবে কারণে। এর পাশাপাশি দারিদ্র্যের কবলে পড়ে বর্জ্যজীবীরা মারাত্মক অপুষ্টি, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের শিকার হয়ে প্রতিনিয়তই স্বাস্থ্যহীনতায় ভূগছে। উপরন্ত, তারা শারীরিক অসুস্থতায় তেমন কোন ডাক্তার বা হাসপাতালের থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেনা। রুগ্ন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির অভাবের ফলশ্রুতিতে তাদের অনেকেরই অকাল মৃত্যু ঘটে।    
 
বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে শহরের শতকরা ১ ভাগ মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বর্জ্যজীবী হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করে।  এই হিসেবে বাংলাদেশে আনুমানিক ৪ লক্ষ বর্জ্যজীবী রয়েছে। শুধুমাত্র ঢাকাতেই প্রায় ১২০,০০০ দরিদ্র মানুষ পুনঃচক্রায়ন বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে জড়িত আছে। ক্ষতিকর ও দূর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য সংগ্রহ, ঠিক জায়গামত নিয়ে ফেলা এবং রিসাইক্লিং-এ এসব মানুষদের অবদান অসামান্য।
 
৫. জাতীয় অর্থনীতিতে বর্জ্যজীবী, ময়লার ভ্যান কর্মী, সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী, রিসাইক্লিং কর্মীদের অবদান
 
২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদনের জন্য ২৬৩,০০০ টন পুণঃচক্রায়িত রেজিন বা প্লাস্টিক তৈরির কাঁচামাল ব্যবহার করে; যার ফলে ৪০৫ মিলিয়ন ডলার আমদানী ব্যয় বাঁচানো সম্ভব হয়।ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) এলাকায় ২২,৭৯২ জন প্লাস্টিক বর্জ্য পুণঃচক্রায়নের কাজে নিয়োজিত আছে; যা ডিসিসি এলাকায় নিয়োজিত শ্রমশক্তির শতকরা ১ শতাংশ (এনায়েতুল্লাহ, ২০০৬)।  ২০০৮ সালে বিশ^বাজারে বাংলাদেশের প্লাস্টিক সামগ্রীর বাজার ছিল ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের, সেখান থেকে আশা করা যায় ২০২০ সালে এর বাণিজ্যমূল্য ৪ বিলিয়ন ডলার হবে।  তৈরিপোশাক শিল্প কারখানার বর্জ্য (ঝুট) এর বাজার মূল্য ২০০০ কোটি টাকারও বেশি। পত্রিকার এক রিপোর্টে দেখা যায় বর্তমানে প্রায় ১৫০,০০০ মানষ তৈরিপোশাক শিল্প বর্জ্য (ঝুট) রিসাইক্লিং বা পুনঃচক্রায়ন কাজের সাথে জড়িত।  এক হিসাবে দেখা যায় প্রতি বছর সংগৃহিত লেড-এসিড ব্যাটারির পুণঃচক্রায়ণের ফলে প্রায় ৩৪২০ টন লেড পুণরুদ্ধার করা সম্ভব হয় যার আমদানি মূল্য ৩৬০ মিলিয়ন টাকা। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে পশু বর্জ্য (নাড়ি-ভূড়ি,অন্ডকোষ ইত্যাদি) রপ্তানী করে ১৪.৭১ মিলিয়ন ডলার আয় করে। ঐ একই বছরে গবাদি পশুর হাড় ও শিং রপ্তানী করে ৩.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।  বর্জ্যজীবীরাই এসব পুণর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যসামগ্রী রাস্তা, উন্মুক্ত স্থান, ডাস্টবিন এবং ডাম্প সাইট থেকে সংগ্রহ থেকে শুরু করে বাছাই ও প্রক্রিয়াজাত করে পুণঃচক্রায়ন বা রিসাইক্লিং এর জন্য কারখানায় প্রেরণ করে থাকে। প্রতিদিন প্রায় ৬,০০০ টন গৃহস্থলী ও প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ভ্যানে ময়লা টানা শ্রমিক ও সিটি কর্পোরেশনের ঝাড়–দার ও স্কাভ্যাঞ্জারসগণ শহরের বাসাবাড়ী, রাস্তাঘাট, ডাস্টবিন, ট্রান্সফার সেন্টার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে তা মাতুয়াইল ও বইলারপুর বর্জ্যরে ডাম্পে ফেলছে যে মহৎ পরিবেশ সেবার অর্থের অংকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।
 
৬. পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান আইনি কাঠামো
 
বাংলাদেশের সব আইনের মূল উৎস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান তাই দেশের পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান আইনি কাঠামো গড়ে উঠেছে: ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান; খ) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রণীত আইন (ঃযব ঝঃধঃঁঃবং); গ) নিয়মাবলী (ঞযব জঁষবং); ঘ) উপ-আইন (ইু-ষধংি); ঙ) বিধিমালা (জবমঁষধঃরড়হং)। বাংলাদেশে পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সর্ম্পকিত নি¤œলিখিত আইন, উপ-আইন, আদেশ ও বিধিমালাসমূহ রয়েছে:
 
পরিবশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইন, বিধিমালা ও আদেশ :
১. বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫
২. বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন), ২০০০
৩. বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন), ২০০২
৪. বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন), ২০১০
৫. পরিবেশ আদালত আইন, ২০০০
৬. পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭
৭. পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা (সংশোধিত ফেব্রুয়ারি), ১৯৯৭
৮. পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা (সংশোধিত আগস্ট), ১৯৯৭
৯. পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ (সংশোধিত ২০০৫)
১০. পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ (সংশোধিত ২০১০)
 
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধিমালা ও আদেশ :
 
১. চিকিৎসা-বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮
২. বিপদজনক বর্জ্য ও জাহাজ ভাঙ্গার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১১
৩. ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক পণ্য হইতে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৭ (খসড়া)
 
ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যসংক্রান্ত বিধিমালা ও আদেশ ::
১. ওজন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৪ (২০১৪ সংশোধনীসহ)
 
অন্যান্য :
 
১. লেড-এসিড ব্যাটারী পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
 
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের পাশাপশি নি¤েœ উল্লেখিত বেশ কিছু আইন রয়েছে যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সর্ম্পকিত :
 
পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১১ (এই আইনে জবাইখানার বাইরে পশু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে যার ফলে পশুবর্জ্য যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়বে না এবং এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি অনুয়ায়ী জবাইখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।)
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯
সার ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৬
ঞযব ঋধপঃড়ৎরবং অপঃ, ১৯৬৫ (এই আইনে কারখানাগুলো ময়লা-আবর্জনা মুক্ত ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেছে।)
ঞযব চঁৎব ঋড়ড়ফ ঙৎফরহধহপব, ১৯৫৯(এই আইনে বাসী ও পচা খাবার দোকানে বিক্রির জন্য রাখার জন্য জরিমানার বিধান রয়েছে)
ঞযব চঁনষরপ ঐবধষঃয (ঊসবৎমবহপু চৎড়ারংরড়হং) ঙৎফরহধহপব, ১৯৪৪ (এই আইন জনস্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত) 
ঞযব ঈৎরসরহধষ চৎড়পবফঁৎব ঈড়ফব, ১৮৯৮ (এই আইনে জন উপদ্রব সৃষ্টিকারী প্রতিরোধের জন্য ম্যাজিট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে)
ঞযব চবহধষ ঈড়ফব, ১৮৬০ (জন উপদ্রব ও পবিবেশগতভাবে স্বাস্থ্যের প্রতি ক্ষতিকর কার্যক্রমের জন্য এই আইনে অর্থদন্ড-এর বিধান রয়েছে
 
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের পাশাপশি নি¤েœ উল্লেখিত বেশ কিছু স্থানীয় আইন (খড়পধষ খধংি) রয়েছে যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সর্ম্পকিত :
ঞযব ঞড়হি রসঢ়ৎড়াবসবহঃ অপঃ, ১৯৫২
ঞযব ঈযরঃঃধমড়হম উবাবষড়ঢ়সবহঃ অঁঃযড়ৎরঃু ঙৎফরহধহপব, ১৯৬১
ঞযব কযঁষহধ উবাবষড়ঢ়সবহঃঅঁঃযড়ৎরঃু ঙৎফরহধহপব, ১৯৬১
ঞযব জধলংযধযর ঞড়হি উবাবষড়ঢ়সবহঃ অঁঃযড়ৎরঃু ঙৎফবৎ, ১৯৭৬ 
ঞযব ডধঃবৎ ঝঁঢ়ঢ়ষু ধহফ ঝববিৎধমব অঁঃযড়ৎরঃু ঙৎফরহধহপব, ১৯৬৩ (লঁৎরংফরপঃরড়হ ড়ভ ঈযরঃঃধমড়হম)
ঞযব উযধশধ গবঃৎড়ঢ়ড়ষরঃধহ চড়ষরপব ঙৎফরহধহপব, ১৯৭৬
ঞযব ঈযরঃঃধমড়হম গবঃৎড়ঢ়ড়ষরঃধহ চড়ষরপবঙৎফরহধহপব, ১৯৭৮
ঞযব কযঁষহধ গবঃৎড়ঢ়ড়ষরঃধহ চড়ষরপব ঙৎফরহধহপব, ১৯৮৫
ঞযব জধলংযধযরগবঃৎড়ঢ়ড়ষরঃধহ চড়ষরপব অপঃ, ১৯৯২ 
ঞযব ডধঃবৎ ঝঁঢ়ঢ়ষু ধহফ ঝববিৎধমব অঁঃযড়ৎরঃু অপঃ, ১৯৯৬ (ধৎবধঁহফবৎ ঃযব লঁৎরংফরপঃরড়হ ড়ভ উযধশধ)
 
সংসদের আইনের অধীনেই সরকারকে কিছু রুল তৈরির ক্ষমতা দেওয়া হয় যে রুলসমূহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সর্ম্পকিত :
 
ঞযব গঁহরপরঢ়ধষ ঈড়সসরঃঃবব (ঞধীধঃরড়হ) জঁষবং, ১৯৬০ - ধসবহফবফ ংবাবৎধষ ঃরসবং ধভঃবৎ ১৯৬০,
ধঢ়ঢ়ষরবং ঃড় ধষষ সঁহরপরঢ়ধষরঃরবং
ঞযব চধঁৎধংযধাধ গড়ফবষ ঞধী ঝপযবফঁষবং, ১৯৮৫ 
ঞযব গঁহরপরঢ়ধষ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ (ঞধীধঃরড়হ) জঁষবং, ১৯৩৬ 
ঞযব গঁহরপরঢ়ধষ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ গড়ফবষ ঞধী ঝপযবফঁষবং, ১৯৮৫ 
 
সংসদের আইনের অধিনেই পৌরসভা ও সিটি কপোরেশনগুলোকে আইনের সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন কিছু উপ-আইন (ইু-ষধংি) তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয় যেগুলোবর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সর্ম্পকিত।
 
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের পাশাপশি নি¤েœ উল্লেখিত বেশ কিছু স্ট্রাটেজি, একশন প্ল্যান, গাইডলাইল রয়েছে যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সর্ম্পকিত :
 
৭ঃয ঋরাব ণবধৎ চষধহ ঋণ২০১৫/১৬-ঋণ২০১৯/২০, উযধশধ, ইধহমষধফবংয. চ.৪৭২
উৎধভঃ উযধশধ ঝঃৎঁপঃঁৎব চষধহ ২০১৬-২০৩৫, জধলঁশ, উযধশধ
ন্যাশনাল থ্রি-আর স্ট্রাটেজি ফর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ২০১০
ইধহমষধফবংয ঝঃধহফধৎফং ধহফ এঁরফবষরহবং ভড়ৎ ঝষঁফমব গধহধমবসবহঃ, উযধশধ, উবঢ়ঃ. ড়ভ ঊহারৎড়হসবহঃ (২০১৫).
উৎধভঃ ঋরহধষ ঝড়ষরফ ডধংঃব গধহধমবসবহঃ ঐধহফষরহম জঁষবং, ২০১৭ 
উৎধভঃ ঋরহধষ ঝড়ষরফ ডধংঃব গধহধমবসবহঃ ঐধহফষরহম জঁষবং, ২০১০ 
উৎধভঃ ঘধঃরড়হধষ ঝড়ষরফ ডধংঃব গধহধমবসবহঃ ঐধহফষরহম জঁষব, ২০০৫
ইধহমষধফবংয ঈষরসধঃব ঈযধহমব ঝঃৎধঃবমু ধহফ অপঃরড়হ চষধহ ২০০৯
উৎধভঃ ঘধঃরড়হধষ টৎনধহ চড়ষরপু, ২০০৬
ঘধঃরড়হধষ জবহবধিনষব ঊহবৎমু চড়ষরপু, ২০০৮
ঘধঃরড়হধষ অমৎরপঁষঃঁৎব চড়ষরপু, ১৯৯৯
ঘধঃরড়হধষ ওহফঁংঃৎরধষ চড়ষরপু, ২০০৫
ঘধঃরড়হধষ চড়ষরপু ভড়ৎ ডধঃবৎ ঝঁঢ়ঢ়ষু ধহফ ঝধহরঃধঃরড়হ,১৯৯৮
টৎনধহ গধহধমবসবহঃ চড়ষরপু ঝঃধঃবসবহঃ, ১৯৯৮
ঘধঃরড়হধষ ঈউগ ঝঃৎধঃবমু, ২০০৫
ঘধঃরড়হধষ ঝধহরঃধঃরড়হ ঝঃৎধঃবমু, ২০০৫
উযধশধ ঊহারৎড়হসবহঃ গধহধমবসবহঃ চষধহ, ২০০৫
ঝড়ষরফ ডধংঃব গধহধমবসবহঃ অপঃরড়হ চষধহ ভড়ৎ ঊরমযঃ ঝবপড়হফধৎু ঞড়হিং রহ ইধহমষধফবংয, ২০০৫
ঘধঃরড়হধষ ঊহারৎড়হসবহঃধষ গধহধমবসবহঃ অপঃরড়হ চষধহ (ঘঊগঅচ), ১৯৯৫
ঈরৎপঁষধৎ ঃড় চৎড়সড়ঃব ঈড়সঢ়ড়ংঃ নু ঃযব গরহরংঃৎু ড়ভ অমৎরপঁষঃঁৎব (গড়অ), ২০০৮, গরহরংঃৎু ড়ভ অমৎরপঁষঃঁৎব 
চৎরাধঃব ঝবপঃড়ৎ ওহভৎধংঃৎঁপঃঁৎব এঁরফবষরহব, ২০০৪
 
৭. পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভবিষৎ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো
 
সুষ্ঠুভাবে পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যমান আইনি কাঠামোর বাইরেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সর্ম্পকিত আরও আইন, বিধিমালা, কৌশল ও কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরী। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি ঝড়ষরফ ডধংঃব গধহধমবসবহঃ জঁষবংচুড়ান্তকরণ যা ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত খসড়া পর্যায়ে রয়েছে।তবে ঝড়ষরফ ডধংঃব গধহধমবসবহঃ জঁষবংচুড়ান্তকরণের পূর্বে নি¤œলিখিত বিষয়সমূহ এবং এই রুল বিষয়ে জনগণের মতামত নিয়ে গ্রহণযোগ্য বিষয়সমূহ এর আওতায় সন্নিবেশিত করা যায় কি না তা সরকারকে বিবেচনা করার প্রস্তাব করা জরুরী ,  
 
বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রুলের ভিশন বা মূল লক্ষ্য হতে পারে “ুবৎড় ধিংঃব”
দায়িত্ব ও কর্তব্য: বর্জ্য যে সৃষ্টি করছে, সরকার, স্থানীয় সরকার, পণ্য উৎপাদক, শিল্প কারখানা
কঠিন বর্জ্যরে প্রকারভেদ, ধরন, বৈশিষ্ট নির্ধারণ(ডধংঃব পযধৎধপঃবৎরুধঃরড়হ )
বর্জ্য তৈরীর উৎসে বর্জ্য ধরন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক পৃথক করার বাধ্যবাধকতা ও নিয়ম ("পড়সঢ়ড়ংঃধনষব", "হড়হ-ৎবপুপষধনষব", "ৎবপুপষধনষব" ড়ৎ "ংঢ়বপরধষ ধিংঃব", ড়ৎ ধহু ড়ঃযবৎ পষধংংরভরপধঃরড়হ)
বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহনের নিয়মাবলী ও মানদন্ড
রিসাইক্লিং কর্মসূচি ও রিসাইক্লিং পণ্যের বাজার উন্নয়ন
ম্যাটেরিয়াল রিকভারি ফ্যাসিলিটি প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার গাইডলাইন
পরিবেশ-বান্ধব নয় এমন পণ্য ও প্যাকেজিং এর তালিকা
বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিশোধন স্থাপনা স্থাপনের মানদন্ড
স্যানিটারী ল্যান্ডফিল-এর মানদন্ড
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কম্পোষ্ট, ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্ল্যান্ট, লিচেট পরিশোধন, ইনসিনারেশন ইত্যাদির জন্য গাইডলাইন 
পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একশন প্লান তৈরীর গাইডলাইন
দূর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরির ফরম্যাট
জাতীয় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতির উপর বার্ষিক প্রতিবেদন
পুরস্কার প্রথা প্রবর্তন (যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কার্যকর ও অভিনব পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কৌশল বাস্তবায়ন করবে, কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করবে বা বর্জ্য পুনঃব্যবহার বা রিসাইক্লিং করবে)
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের জন্য অর্থায়ন বা ফান্ড তৈরি
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবার জন্য কে, কোন প্রতিষ্ঠান, কতটাকা করে সেবামূল্য আদায় করতে পারবে তার নিয়ম
অবৈধভাবে বর্জ্য ফেলার জন্য জরিমানার বিধান
নাগরিকের মামলা করার অধিকার (অবৈধভাবে বর্জ্য ফেলা বা বর্জ্য দিয়ে উপদ্রব সৃষ্টি করার কারণে যে কোন সংক্ষুব্ধ নাগরিক যে কোন আদালতে যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার)
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন ও নিয়মকানুন সর্ম্পকে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টি করা
স্কুল কারিকুলামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন ও নিয়মকানুন সম্পর্কে পাঠ সন্নিবেশ করা
খানা বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কিভাবে বর্জ্য তৈরি ঠেকানো ও বর্জ্য তৈরির হার কমানো যায় তার পরিকল্পনা। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডধংঃব ঐরবৎধৎপযু-এর বিষয়টি বিবেচনায় আনা যেতে পারে
বর্জ্য নাড়াচাড়ার সাথে জড়িত প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রতিষ্ঠানিক কর্মীদের অকুপেশনাল সেফটি ট্রেনিং এবং সেফটি ইকুইপমেন্ট ব্যবহার নিশ্চিত করা, মনিটরিং করা
বর্জ্য-এরউপর জীবিকার জন্য নির্ভরশীল দরিদ্র মানুষদের (অপ্রতিষ্ঠানিক খাত:টোকাই/বর্জ্যজীবী/ভাঙ্গারী দোকানের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী/ভাঙ্গারী দোকানের কর্মী) জীবিকার সুরক্ষা ব্যবস্থা করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় তাদের অর্ন্তভূক্ত করা।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় “ঢ়ড়ষষঁঃবৎ-ঢ়ধুং”নীতি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতি পরিমাপে কিছু নির্দেশক নির্ধারণ করা যেতে পারে (বছরে বর্জ্য তৈরি কমার শতকরা হার, শহুরে বর্জ্য পুনরুদ্ধার (ৎবপড়াবৎু ৎধঃব)/রিসাইক্লিং এর হার, ল্যান্ডফিলে বর্জ্য পাঠানোর মোট পরিমান ইত্যাদি) উল্লেখ করা যেতে পারে
 
সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঝড়ষরফ ডধংঃব গধহধমবসবহঃ জঁষবংএর পাশাপশি আরও কিছু বিষয়ে আইন প্রণয়ন জরুরী, যেমন:
প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রুল
নির্মান ও ভবন ভাঙ্গা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রুল
টায়ার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রুল
বর্জ্য তেল ও লুব্রিক্যান্ট ব্যবস্থাপনা রুল
 
৮. উপসংহার
 
ঝড়ষরফ ডধংঃব গধহধমবসবহঃ জঁষবংসহ বর্জ ব্যবস্থাপনার একটি কার্যকর ও উপযোগী আইনি কাঠামো ও এর সফল প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রাসমূহের বেশ কয়েকটি বিষয় অর্জনে সহায়ক হবে, টেকসই নগর ও জনপদ (এসডিজি গোল নং-১১), সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (এসডিজি গোল নং-৩), শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (এসডিজি গোল নং-৮), জলবায়ু কার্যক্রম (এসডিজি গোল নং-১৩), পরিমিত ভোগ ও টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি গোল নং-১২), নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন (এসডিজি গোল নং-১৬)।      
 
নগরবাসীদের অবশ্যই তারা যা ভোগ করবে এবং যা বর্জ্য হিসেবে ফেলে দিবে তার জন্য নিজেই দায়ী হতে হবে। নগরবাসীদের সবাইকে বর্জ্য তৈরি থেকে বিরত থাকা, বর্জ্য তৈরির হার কমিয়ে আনা, পুনঃব্যবহার করা, রিসাইক্লিং এবং পরিশোধনের জন্য দায়ী থাকতে হবে। বাকী বর্জ্য ট্রিটমেন্টের পর শেষ অবলম্বন হিসেবে ল্যান্ডফিলে পাঠাতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় “ঢ়ড়ষষঁঃবৎ-ঢ়ধুং”নীতি বাস্তবায়ন করা গেলে নগরবাসী কম বর্জ্য ফেলবে এবং বেশী হারে পুনঃব্যবহার ও রিসাইক্লিং করবে। 
 
 
 
 
 
গবেষক দল পরিচিতি:
এ কে এম মাকসুদ, নির্বাহী পরিচালক, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি
খন্দকার রিয়াজ হোসেন, পরিচালক (কর্মসূচি),গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি
মোসাম্মৎ তাহমিনা আক্তার, পরিচালক (শিক্ষা ও প্রাক-শৈশব বিকাশ), গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি
এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, উপদেষ্টা, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি
এ বি কে রেজা, পরিচালক (প্রশাসন), গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি
সায়মা সাইদ, উপ-পরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন)