কফ থুতু, হাঁচি কাশির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসসহ সার্চ, মার্স, যক্ষা, শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি বা অ্যাজমা, কাশি, মাথাব্যথাসহ বহু রোগের বিস্তার ঘটায়। ভবিষতে নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে। কফ থুতর মাধ্যমে এসমস্ত অনেক রোগের সংক্রমন হবে বা দ্রুত সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পরবে। তাই যত্রতত্র কফ থুতু ফেলার বদ অভ্যাস পরিহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশে^ এখন আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসে চীনসহ ৯১টি দেশে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। এই আতংক এখন বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাস মূলত কফ থুতু হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। কাজেই এই রোগ নিয়ে আতংক নয় দরকার সঠিক সচেতনতার। কফ থুতু, হাঁচি কাশি নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ কতগুলো সতর্কতা অবলম্বন করলে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। আজ ০৮ মার্চ ২০২০, রবিবার, সকাল ১১.০০ টায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে “কফ থুতু করোনা ভাইরাসসহ বহু রোগ ছড়ায় ঃ কফ থুতু যত্রতত্র ফেলা বন্ধ কর” দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা উক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), বারসিক উক্ত মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলীর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মো: শহিদুল্লাহ ও সেভ দ্যা রিভার এর সদস্য শাকিল রহমান, পুরানো ঢাকা পরিবেশ উন্নয়নের সভাপতি হাজী আনসার আলী, পরিবেশ উন্নয়ন উদ্যোগ সভাপতি নাজিমউদ্দিন, সদস্য জি এম রুস্তম খান, নাসফ এর সহ সভাপতি কে এম সিদ্দিীক আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বারসিক এর সম্মন্বয়কারী সুদীপ্তা কর্মকার প্রমুখ।
যেখানে সেখানে কফ থুতু ফেলা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকি বয়ে আনে। বিশ^জুড়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় জনসমক্ষে থুতু ফেলাকে। একটু খেয়াল করলে দেখা যায় রাস্তায় চলতে থাকা পথচারী, দাড়িয়ে বা অলস বসে থাকা অনেক মানুষকেই রাস্তা, ফুটপাত বা মার্কেটের সামনে অবলীলায় থুতু, কফ, পানের পিক ফেলে। রোজা রমজানের দিনে তো কফ থুতুর জন্য রাস্তায় হাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। দৃশ্যটি বাংলাদেশের যে কোন বড় শহরের বাসিন্দাদের জন্য স্বাভাবিক। যেখানে সেখানে যখন তখন কফ থুতু ফেলা বদ অভ্যাস বলে মনে করা হয় কিন্তু এই অভ্যাসের কারনে আর্থিক ও সামাজিকভাবে একটা দেশ অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
কফ থুতু শুধুমাত্র অপরিচ্ছন্নতা বা দেখতে নোংরা লাগার বিষয় না এটি পরিবেশেও মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। কফ থুতু রোগ বালাই সংক্রমণ এটা যেখানে সেখানে ফেলার কারনে অনেক রোগের উৎপত্তি হয়। যেহেতু এটি ভেজা অবস্থায় থাকে সেক্ষেত্রে ভাইরাসটি জীবিতও থাকে অনেক বেশি এর ফলে সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে এসে থুতু ও কফ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। যত্রতত্র কফ থুতু ফেলার সমস্যাটি শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে এশিয়া অঞ্চলের শহরাঞ্চলের সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর বিষয়গুলোর অন্যতম জনসমক্ষে থুতু ফেলা। যত্রতত্র থুতু ফেলা নিষিদ্ধ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এমনকি ভারতেও কিছু এলাকায় আইন হয়েছে এবং জরিমানারও বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে এধরণের আইন নেই এবং সচেতনতা তৈরিরও কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনা। বাংলাদেশের অনেক সমস্যার মাঝে যেখানে সেখানে থুতু ফেলাটা হয়তো সামান্য মনে হতে পারে কিন্তু এই সমস্যাটি সমাধান বিনামূল্যেই করা সম্ভব শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা।
যত্রতত্র কফ থুতু ফেলার সমস্যাটি শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে এশিয়া অঞ্চলের শহরাঞ্চলের সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর বিষয়গুলোর অন্যতম জনসমক্ষে থুতু ফেলা। যত্রতত্র থুতু ফেলা নিষিদ্ধ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এমনকি ভারতেও কিছু এলাকায় আইন হয়েছে এবং জরিমানারও বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে এধরণের আইন নেই এবং সচেতনতা তৈরিরও কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনা। বাংলাদেশের অনেক সমস্যার মাঝে যেখানে সেখানে থুতু ফেলাটা হয়তো সামান্য মনে হতে পারে কিন্তু এই সমস্যাটি সমাধান বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে করা সম্ভব শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা এবং প্রত্যেকের প্রাত্যহিক জীবনে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা।
সুপারিশসমূহ ঃ
১. যত্রতত্র থুতু ফেলা নিষিদ্ধ করে আইন এবং জরিমানা করার বিধান রাখতে হবে।
২. জনগনকে যেখানে সেখানে প্রকাশ্যে কফ থুতু ফেলা বন্ধ করার বিষয়ে সচেতনতামূলক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
৩. কফ থুতু যেখানে সেখোনে না ফেলে রাস্তার পাশে ডাস্টবিনে ফেলতে উৎসাহিত করতে হবে।
৪. মার্স করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা এবং সরকার কর্তৃক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৫. করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষের ভেতর তৈরি হওয়া আতংক কমিয়ে এই ভাইরাস প্রতিরোধে সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।