শব্দদূষণের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষায় গাড়ী চালক ও মালিকদের ভূমিকা সবচেয়ে জরুরী
শব্দদূষণের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষায়
গাড়ী চালক ও মালিকদের ভূমিকা সবচেয়ে জরুরী
শব্দদূষণের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষায় সরকার ২০০৪ সালে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন কাজ শুরু করে এবং ২০০৬ সালে এই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু আইনটি প্রণয়নের পর দীর্ঘদিন আাইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোন ধরণের উদ্যোগ বা প্রচারনা পরিলক্ষিত হয়নি। পরবর্তী সময়ে আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাপক প্রচারনাসহ নানাবিধ কার্যক্রম শুরু করে এবং কিছু সুফলও পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তী অন্যান্য আইনের মতো নিয়মিত মনিটরিং না থাকার ফলে আবার শব্দদূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ সোমবার বেলা ১১:০০ টায় ধানমন্ডি ৮ নং ব্রিজে (ধানমন্ডি লেকের উপর) পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অযথা হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকার আহ্বানে মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে এ সকল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনেরা।
গত গত ২৯/৬/০৮ তারিখে পবা ও বেলা এর যৌথ আয়োজনে শব্দদুষণ ও আমাদের করণীয় গোলটেবিল বৈঠকে ৩ মাসের ঘোষিত কর্মসুচীর অংশবিশেষ আজকের এ কর্মসুচী। ইতোমধ্যে ঢাকার বেশ কিছু স্পটে এ বিষয়ে মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসুচী পরিচালিত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এ কর্মসুচি পরিচালিত হবে ঢাকার আরও বেশ কয়েকটি জায়গায়। আমাদের দাবী ঢাকা শহরসহ অন্যান্য বড় শহরগুলিতে যে মাত্রায় শব্দদূষণের তিব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে তা যেন সরকারী পদক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ করা এবং অবিলম্বে বিধিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা হয়।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়ন উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা সমূহ:
১.কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যক্তিদেরও দক্ষতা বৃদ্ধি বা অবহিত করার প্রক্রিয়া নেই ২. গাড়ীর হর্ণ বিষয়ে প্রচারণা করা হলেও কারখানা ও আবাসিক এলাকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ৩. ঢাকা শহরের কিছু জায়গায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও সারা দেশে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোন পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি ৪. নিয়মিত মনিটরিং ও বাস্তবায়নের অভাব ৫. বিধিমালা ভঙ্গের প্রেক্ষিতে করণীয় বিষয়ে জনসাধারণ সচেতন নয় ৬. আইন ভঙ্গের প্রেক্ষিতে জনগন ও পরিবেশবাদি সংগঠনগুলোর সরাসরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই ৭. আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাঝে সমন্বয়ের অভাব ৮. আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
আজকের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেনÑ পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, কো-অর্ডিনেটর ড. হালিম দাদ খান, প্রোগ্রাম অফিসার তৌফিকুর রহমান সেন্টু, ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজের গণ-যোগাযোগ কর্মকর্তা শিশির। আরো ছিলেন নাজনিন আক্তার, সাবিনা নাঈম, নাজমুল হক এবং অনেক পথচারি এ কর্মসূচিতে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
ঘটনাবলী
খবর