বাংলাদেশে প্রথম Biological Management হতে যাচ্ছে গুলশান পার্ক লেক
বাংলাদেশে প্রথম Biological Management হতে যাচ্ছে 
গুলশান পার্ক লেক 
 
বাংলাদেশে এই প্রথম ইরড়ষড়মরপধষ গধহধমবসবহঃ হতে যাচ্ছে গুলশান পার্ক লেক। লেকের পানি অধিক মাত্রায় দুষিত ও নীচের স্তর বিষাক্ত হওয়ায় পানি সেচে ফেলা এবং কয়েক স্তর মাটি তুলে ফেলা, দেশীয় আবহাওয়া ও পরিবেশের অনুকুল ও পাখিকুলের বসবাস উপযোগী গাছ রোপন, পার্ক এলাকা পুরো সবুজ ঘাসে ছাওয়া, পানির উপর ও নীচের স্তরে যে সকল উদ্ভীদ বেঁচে থাকে তা রোপন করা, ঘাস সমৃদ্ধ মাটি দিয়ে পাড় বাঁধাই, পোকা-মাকর বসবাসের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিশ্চিতকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দ্যেশ্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও গুলশান সোসাইটির উদ্যোগে আজ ১১ জুলাই ২০০৯ সকাল ১০:৩০ টায় গুলশান-২ এর ৬৩ নং রোডে অবস্থিত “গুলশান পার্ক লেকের ইরড়ষড়মরপধষ গধহধমবসবহঃ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, গুলশান সোসাইটির সদস্যবৃন্দ ও পরিবেশবিদগণের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 
 
গুলশান সোসাইটির সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সি এম শফি সামি এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, গুলশান সোসাইটি’র জেনারেল সেক্রেটারী জহুরুল ইসলাম চৌধুরী, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. দ্বিপেন ভট্রাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভীদ বিজ্ঞান বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুর রহমান, জলজ উদ্ভীদ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম এ রশীদ, গুলশান পার্ক লেকের আহ্বায়ক ড. এম রহমতউল্লাহ প্রমুখ। 
 
গুলশান পার্ক লেকটি গুলশান সোসাইটির তত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে। পার্কের গাছপালা ভালো থাকলেও পার্কের লেকের পানি অত্যন্ত খারাপ অবস্থা বিরাজ করেছে। ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে থেকে দূষিত পানি প্রবেশের কারণে লেকের নিুাঞ্চলে জমা হয়েছে স্তুরীত আবর্জনা। ফলে পানি হয়ে গেছে বিষাক্ত। এ পানি কোন ধরণের জলজ পাণী বসবাসের উপযুক্ত নয়। এ কারণে গুলশানের এই পার্ক লেকটিকে পূর্নাঙ্গ ইরড়ষড়মরপধষ গধহধমবসবহঃ করতে পবা ও গুলশান সোসাইটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)’র উপাচার্যকে প্রধান করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই কমিটি পার্ক লেকের (ওঊঅ) বিষয়গুলি সার্ভে করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করবে। পরিকল্পিতভাবে এই লেক পার্কটিকে ইরড়ষড়মরপধষ গধহধমবসবহঃ  করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব। 
 
জীববৈচিত্র হলো-একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বিভিন্ন নমুনার ও বিভিন্ন সংখ্যার উদ্ভীদ ও প্রাণীর উপস্থিতি এবং একে অপরের সাথে সম্পুর্নভাবে নির্ভরশীল। উন্নয়নের নামে দিন দিন জীববৈচিত্রের আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জীববৈচিত্রকে রক্ষা করতে না পারলে প্রতিবেশ ও পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। নগরীতে মশক নিধনের নামে ডিটিটি এর মতো মারাত্বক আরো অনেক ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছে যা ড্রেনের মাধ্যমে জলাশয় বা নিুাঞ্চলের উদ্ভীদ ও প্রাণীকুলের  উপর মারাত্বক প্রবাব পড়ছে। এছাড়াও পরিবেশ সহায়ক নয় এমন সব বিদেশী গাছ নগর শোভা বর্ধনের জন্য লাগানো হচ্ছে যা গাছের উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন পাখির খাদ্য ও আবাসস্থলের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে জীব (উদ্ভীদ ও প্রাণী) ও অজীব (আলো ও বাতাস) উপাদানের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে কারণ একটি উপাদান আরেকটি উপাদানের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত।