রেল দূঘর্টনার বৃদ্ধির পেছনে অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন
রেল দূঘর্টনার বৃদ্ধির পেছনে অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন
 
 
বর্তমান সময়ে সাশ্রয়ী, যানজটহীন, দ্রুততা, নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ে মানুষের আস্থা ফিরে পেতে চলেছে। অনেক মানুষ বর্তমানে রেলে যাতাযাত করে থাকে। আর এই অবস্থায় বাংলাদেশ রেলওয়েতে আবারও দূঘর্টনা বৃদ্ধি পেয়েছে, এ দূঘর্টনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আমরা উদ্বিগ্ন। 
 
রেল একটি রাষ্ট্রীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। বিগত দিনে দেখা গেছে বিভিন্ন স্বার্থনেষী গোষ্ঠী রেলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্নভাবে অকার্যকর বা অদক্ষ প্রমানে প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তাদের এ ধরনের কর্মকান্ডে সহযোগিতা করে থাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে একশ্রেণীর দুস্কৃতিকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদের প্ররোচনা ও সহযোগিতায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা অপকর্ম হয়ে থাকে। যাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সেবার মান হ্রাস পায় এবং মানুষের আস্থা বিনষ্ট হয়। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিরাষ্ট্রীয়করণ অথবা মানুষের সমস্যাকে পুজি করে ব্যবসার খাত করা হয়। ট্রেনে সময় সুচী পরিবর্তন বা অসময়ে ট্রেন চলাচলের প্ররোচনার ক্ষেত্রে অসাধু বাস মালিকদের বিভিন্ন সময়ে ইন্ধন পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে এ সকল ঘটনায় আমরা শংকিত। 
 
বর্তমান সময়ে বেসরকারী পরিবহন সেক্টর কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি। প্রতিনিয়ত ভাড়া বৃদ্ধি, মানহীন সার্ভিস, অহেতুক ধর্মঘটসহ নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে পরিবহন সেক্টরে অরাজগতা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সেবা প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি ও বিআইডাব্লিউটিসি কার্যক্রম সংকুচিত করা হয়েছে একইভাবে। আর এ অবস্থার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম রেলওয়ে যদি কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে সারা দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে পাড়বে। এ প্রতিষ্ঠান জনগনের সম্পদ। কতিপয় ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অশুভ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এই প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থকারীদের চিহ্নিত করা জরুরি। 
 
আমরা রেলে এ সকল দুঘর্টনার স্বল্প সময়ে তদন্ত এবং এ সকল তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ ঘটনার সাথে জড়িতে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহবান জানাচ্ছি।