যানজট কমাতে ব্যস্ততম রাস্তায় পার্কিং নিষিদ্ধ করা দরকার
যানজট কমাতে ব্যস্ততম রাস্তায় পার্কিং নিষিদ্ধ করা দরকার
 
ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পার্কিংয়ের জন্য যথাক্রমে ১২ ও ২৫ ভাগ জয়গা রাখার কথা বলা হয়েছে। এতে গাড়ী কেনার প্রবনতা ও সামাজিক বৈষম্য বাড়বে। সেক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করা প্রয়োজন। ভবনে পার্কিং করে সড়কের পার্কিং সাময়িকভাবে বন্ধ করা গেলেও গাড়ী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে পার্কিং সমস্যা তৈরি হবে। এটি দুষ্টুচক্রের মতো মানুষের দৈনন্দিন সুযোগ-সুবিধা গ্রাস করবে। আজ ৬ ডিসেম্বর ২০০৮ নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ বুয়েট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে “সুষ্ঠু পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। 
 
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন-বুয়েটের উপাচার্য ড. এ এম এম সফিউল্লাহ, বুয়েটের ইউআরপি বিভাগের প্রধান ড. রোখসানা হাফিজের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ড. মাহবুবুল বারী। আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মাহবুব-উন-নবী, অধ্যাপক শায়ের গফুর, নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহাবুবুল আলম তাহিন প্রমুখ। 
 
ঢাকার রাস্তায় প্রাইভেক কার চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা না হলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে না। এই ধরণের গাড়ীর সংখ্যা যত বাড়বে, রাজধানীর সড়ক ততই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। নগরের কেন্দ্রস্থলে পার্কিং নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সঠিক মূল্যে পার্কিং এর জন্য সীমিত আকারে জায়গা প্রদান করলে প্রাইভেট ব্যবহার হ্রাস পাবে। এর সাথে পার্কিং নীতিমালা সরকারী ভাবে প্রণয়ন এবং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য কঠোরমনিটরিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। অবৈধ পার্কং এর জন্য জরিমানার ব্যবস্থা করাও প্রয়োজন। পার্কিং ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থ পাবলিক পরিবহণের মানোন্নয়নে ব্যয় করা, প্রাইভেট গাড়ীর লাইসেন্স সীমিত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতে প্রাইভেট গাড়ীর পরিবর্তেপাবলিক পরিবহণের ব্যবস্থা করা, প্রাইভেট গাড়ী নির্ভর অবকাঠামো (ফ্লাইওভার পার্কিংয়ের স্থান তৈরি) নির্মাণ না করা এবং পাবলিক পরিবহণ, জ্বালানীমুক্ত যান ও পথচারীদের সুবিধা বাড়ানো ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে যানজটকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।