সালেহপুর সেতু মৃত্যুফাঁদ দূর্ঘটনা রোধে অবিলম্বে সেতু ও রাস্তার ত্র“টি দুর করা জরুরী
 সালেহপুর সেতু মৃত্যুফাঁদ 
দূর্ঘটনা রোধে অবিলম্বে সেতু ও রাস্তার ত্র“টি দুর করা জরুরী
 
ঢাকা-আরিচা সড়কের আমীন বাজার সংলগ্ন সালেহ ব্রীজটি সড়কের প্রশস্ততার তুলনায় বেশ সরু এবং ব্রীজের সামনেই সড়কটি বাঁকা। ব্রীজের আগে কোন ধরণের সাংকেতিক চিহ্ন সম্বলিত সাইনবোর্ড নেই। এ ছাড়া ব্রীজের দুপাশে রঙ্গীন পিলার বা নিদের্শনা, গাড়ীর গতিনিয়ন্ত্রনের জন্য ¯প্রীডবেকার এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থা না থাকাতে এখানে প্রায়ই দূর্ঘটনা এবং অনেক লোকের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবহেলার কারণে এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটছে। অবিলেম্বে এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং দূর্ঘটনা রোধে অবিলম্বে সেতু ও রাস্তার ত্র“টি দুর করা জরুরী। আজ ১৬ অক্টোবর ২০১০ শনিবার সকাল ১১:০০ টায় সালেহপুর ব্রীজের পূর্ব প্রান্তে (বাস দূর্ঘটনা স্থলে) পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও সাভার বাঁচাও আন্দোলন এর যৌথ উদ্যোগে “সালেহপুর সেতু মৃত্যুফাঁদ, দায়ী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই” দাবীতে সমাবেশে বক্তাগন এ অভিমত ব্যক্ত করেন। 
 
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাভার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি সৈয়দ সাগীরুজ্জামান শাকীকÑযুগ্ম আহবায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর সহ: সম্পাদক তৌফিকুর রহমান সেন্টুÑগাজী লুঃফুল কবীর সুমন, সমাজকর্মী মোঃ শাকীল আহমেদÑমোশারফ হোসেনÑরমিজ উদ্দীন, সাভার বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য আবু বকর সিদ্দিক ও মোঃ নাদির হোসেন, শাহিদা হক, শেখ ফাতেমা বেগম এক্ষং সমাবেশ পরিচালনা করেন মোঃ বশির উদ্দীন। এছাড়াও শত শত স্থানীয় এলাকাবাসী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।   
 
ঢাকা আরিচা মহাসড়ক একটি অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাজধানীতে যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়াও ঢাকার আশেপাশে যেমন সাভার নবীনগর, ধামরাই মানিকগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মানুষ অফিসে ও নানা প্রয়োজনে এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। ফলে সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ সড়কে আটটি সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো- সালেহপুর, জোড়পুল, ব্যাংক টাউন, কোহিনূর মিল গেট, কামালপুর সুতিপাড়া, নয়াডিঙ্গি ও উথুলী সেতু। 
 
২০০৬ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে সালেহপুর ব্রীজের কাছে একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে ২১ জন যাত্রী নিহত হয় এবং স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালে সুতিপাড়া সেতুতে যাত্রী বোঝাই বাস রেলিং ভেঙ্গে পড়ে ৬৮ জন যাত্রী প্রাণ হারায় এবং সর্বশেষ সালেহপুর সেতুতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি বাস তুরাগ নদীতে ডুবে যায়। এভাবে গত ২০ বছরে সালেহপুর ব্রীজের উপর ও উভয় পাশে ছোট বড় প্রায় অর্ধশত দূর্ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে ৩০০ শতাধিক। আহতদের মধ্যে অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে।
 
এ সব দূর্ঘটনার কারণ- চালকের অদক্ষতা, দ্রুতগতিতে গাড়ী চালানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং প্রতিযোগীতামূলক ভাবে আগে যাওয়ার অসম প্রতিযোগীতাকে দায়ী করলেও এ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ন জায়গায় সড়কের নির্মাণ ও টেকনিক্যাল ক্রটি সবচেয়ে বেশি দায়ী। 
 
 অবিলেম্বে এ দূর্ঘনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ
 
এছাড়া (১) দূর্ঘটনা এড়াতে ব্রীজটিকে আরো প্রশস্ত করতে হবে; (২) গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রীজের ¯প্রীডবেকারের ব্যবস্থা করতে হবে; (৩) ব্রীজের পাশে সংকেতের জন্য পিলার স্থাপন করতে হবে; (৪) বি আরটিএ কর্তৃক দক্ষ ড্রাইভার দ্বারা গাড়ী চালনার নিশচয়তা প্রদান করতে হবে।