হঠাৎ ভাড়া ও যাত্রী নির্যাতন বৃদ্ধিÑগণপরিবহনে নৈরাজ্য যোগাযোগ মন্ত্রী জবাব চাই
হঠাৎ ভাড়া ও যাত্রী নির্যাতন বৃদ্ধিÑগণপরিবহনে নৈরাজ্য
যোগাযোগ মন্ত্রী জবাব চাই
 
সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ প্রতিদিন অধিক বাস ভাড়া আদায় প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার, বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ অতিরিক্ত ভাড়া বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। সম্প্রতি একটি নতুন বাস কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটার পাবলিক পরিবহন সার্ভিস সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অধিক ভাড়া হঠাৎ করে আদায়ের অবৈধ প্রথা প্রকাশ্যে চালু করেছে এবং অন্য বাসগুলিও একই ভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। জ্বালানী মূল্য কমা সত্ত্বেও বাসগুলিতে হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধি ও জোর পূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সিএনজি, ট্যাক্্িরক্যাবগুলো  যাত্রীদের প্রয়োজনিয় নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে চায় না এবং যেতে চাইলেও মিটারে না যেয়ে অধিক পরিমাণে টাকা আদায় করছে। সন্ত্রাসীদের চাঁদাবজি বৃদ্ধি পাওয়ায় গণপরিবহনে নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এ জনগুরুত্বপুর্ন সমস্যা সমাধান কল্পে মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর মন্তব্য বাস মালিকদের বিদ্যমান এ নৈরাজ্য কর্মকান্ডকে মদদ দেওয়া। অবিলম্বে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় নিশ্চিত করতে হবে এবং মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী মহোদয়কে অবিলম্বে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদানের দাবী আজ ২১ জুলাই/০৯ বেলা ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবী জানানো হয়। 
 
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতী, পবা’র কেন্দ্রীয় কমিটি’র সহ সম্পাদক, সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিনÑআমিনুর রসুল¬¬Ñসৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীকÑমেজবাহ উদ্দীন সুমন, নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সদরুল আনাম,  নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি হাজী আনসার আলী এবং সেক্রেটারী নাজিম উদ্দীন, প্রাইম দু:স্থ মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক পলাশ  প্রমুখ।  
 
দূষনমুক্ত নগরীর জন্য অন্যতম প্রধান নিয়ামক সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত গণপরিবহন ব্যবস্থা। লোকাল বাস সার্ভিস ও পাবলিক পরিবহনে ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ চলাচল করে। কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে লোকাল বাসের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। পবালিক পরিবহনে স্বল্প দুরত্বে যেতেও একটি নির্র্ধারিত ভাড়া দিতে হয়। সিএনজি, ট্যাক্্িরক্যাবগুলো যাত্রীদের প্রয়োজনিয় নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে চায় না এবং যেতে চাইলেও মিটারে না যেয়ে অধিক পরিমাণে টাকা আদায় করছে। যানজটের দোহাই দিয়ে স্বল্প দুরত্ত্বে যাতায়াতের প্রধান বাহন রিক্্রা অধিকাংশ রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তাতে জনদূর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের চাঁদাবজি বৃদ্ধি পাওয়ায় গণপরিবহনে নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। পাবলিক পরিবহন এখন একটি যন্ত্রণা ও শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। ফলে অনেকেই প্রাইভেট কার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। এতে করে ঢাকা শহরের রাস্তাগুলিতে অতিমাত্রায় যানজট সৃষ্টি ও পরিবেশ দুষণ ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে।  
 
সম্প্রতি মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী পাবলিক পরিবহনের বিদ্যমান সমস্যা নিরসন কল্পে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেনÑবাস মালিকদের সাথে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এ মন্তব্য কোন ভাবেই যক্তিযুক্ত নয়। কারণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে বাস মালিকদের আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। কারণ সর্বস্তরের মানুষ যেখানে প্রকাশ্যেÑপ্রতিনিয়ত ভোগান্তি ও প্রতারণার শিকার সেখানে আলোচনার চেয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন জরুরী। যেখানে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ প্রতিদিন অধিক ভাড়া বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সেখানে মাননীয় মন্ত্রী বিষয়টি জেনেও কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া মানে তাদের এ নৈরাজ্য কর্মকান্ডকে মদদ দেওয়া। তাই অবিলম্বে পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থায় এ ধরণের অনিয়মের বিষয়টি মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী অবিলম্বে এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করবেন এবং বিদ্যমান এ সমস্যা সমাধানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।         
 
দাবি সমুহ:
১)মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী মহোদয়কে অবিলম্বে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে ২) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে ৩) কোম্পানী প্রথা এবং রুট লিজ প্রথা বাতিল করতে হবে ৪) বর্ধিত ভাড়া আদায়কারী বাস কোম্পানির রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে ৫) রুটের সংখ্যা এবং লোকাল বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে ৬) যাত্রী হয়রানি/ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।