পাহাড় ধ্বসের মূল কারণ পাহাড় কাটা দায়ীব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ আদায় হলে পাহাড় ধ্বস বন্ধ হবে
পাহাড় ধ্বসের মূল কারণ পাহাড় কাটা 
দায়ীব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ আদায় হলে পাহাড় ধ্বস বন্ধ হবে 
 
আজ ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ শনিবার সকাল ১১:০০ টায় বাংলাদেশ জিওলজিক্যাল সোসাইটি ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলোজি ডিপার্টমেন্টের অডিটোরিয়ামে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- জাতীয় বিশেষজ্ঞ (ঈউগচ/টঘউচ) ড. এ.এস.এম মাকসুদ কামাল ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ এর ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব রেশাদ মোঃ ইকরাম আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন জিওলজি ডিপার্টমেন্ট, ঢা:বি: এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কামরুল হাসান, জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ এর সভাপতি আফিয়া আখতার, পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।
 
চট্রগ্রাম ভূমিধ্বস বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দূযোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গত বছরে এবং এ বছরের সম্প্রতি সময়ে চট্রগ্রাম ও এর আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধ্বসের এলাকাগুলি পবা ও বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। বিশেষজ্ঞগণের মতামতের ভিত্তিতে ভূমিধ্বস মোকাবেলার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ প্রদান করা হয়। বিশেষজ্ঞগণ বলেন- চট্রগ্রাম পাহাড় অধ্যুষিত এলাকা। বিধায় এখানকার প্রাকৃতিক দিক বিবেচনা করে জীবন-যাত্রার কাঠামো নির্ধারণ করা উচিৎ। কিন্তু আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী পাহাড়গুলোকে কিছু অসাধু ব্যাক্তি তাদের ব্যাক্তি স্বার্থের কারণে নির্বিচারে পাহাড় কাটা অব্যহত রেখেছে। পাহাড় কাটার ফলে যে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও দূর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তার স্বীকার হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী প্রায় এক লাখ মানুষ এবং সেই সাথে আমাদের অপূরণীয় প্রাকৃতিক ক্ষতি হচ্ছে। তাই এই ভয়াবহ ক্ষতি হতে আমাদের এখনই পাহাড় কাটা ও ধ্বস রুখতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে  হবে এবং এ উদ্যোগ সরকারীভাবে গ্রহণ করা অত্যান্ত জরুরী। 
 
সেমিনারে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায় বলা হয়
*** পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে জীবন ও জীবিকার ব্যবস্থা আছে;
*** পাহাড়ের গায়ে যথোপযুক্ত বনায়নের ব্যবস্থা করতে হবে;
*** ভুমিদ্বস দূর্যোগের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
 
দীর্ঘমেয়াদী
*** পাহাড় সুরক্ষা দেয়াল তৈরি করতে হবে;
***পাহাড় সংরক্ষণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে;
***এই আইনের যথোপযুক্ত প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় দরকার। (সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ রেলওয়ে, চিটাগাং ওয়াসা, পাবলিক ওয়ার্ক বিভাগ এবং পুলিশ বিভাগকে এ ব্যাপারে একসাথে কাজ করতে হবে)  
আজকের সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন-বর্তমানে পাহাড়ের অবস্থা  অত্যন্ত করুণ। কেননা পাহাড়ের গাছ-পালা কেটে ফেলছে এক ধরণের দুস্কৃতকারী। এদেরকে সনাক্ত করার পরও প্রাশাসন কোন ভূমিকা গ্রহণ করেনা। অনেক পাহাড়ে  রমরমা প্লট বানিজ্য চলছে। সেখানে মানুষজন নিজেদের ইচ্ছে মতো পাহাড় কেটে বসবাসের উপযোগি করে তুলছে যা জীবন ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ।