কেবল ধূলার কারণেই মাসিক অতিরিক্ত ব্যয় ৪-১০ হাজার টাকা ধূলা দূষণ বন্ধে চাই কার্যকর পদক্ষেপ

বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে ধূলা দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ধূলাবালি পোশাক পরিচ্ছদ, আসবাবপত্র, ঘরবাড়ি, অফিস আদালত ও মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসহ মানব জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ও মানুষের জীবনকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে চলেছে। ধূলা দূষণের ফলে পোশাক পরিচ্ছদ ও অন্যান্য কাপড়চোপড় বেশি নোংরা হচ্ছে এবং এগুলো পরিষ্কার করতে প্রতিদিনকার মূল্যবান সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অপচয় হচ্ছে। এছাড়াও অধিক শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং এগুলোর মেয়াদও কমে যাচ্ছে। ধূলা দূষণের ফলে শারীরিক পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্যও অধিক সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। জামাকাপড় ধোয়া বাসাবাড়ি ধোয়া-মোছার জন্য অতিরিক্ত পানি ও ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হয়। কাপড় চোপড় ইস্ত্রি করতেও অতিরিক্ত বিদ্যু ব্যবহার করতে হয়। অতিরিক্ত পানি, বিদ্যু ও ডিটারজেন্ট ব্যবহারের ফলে পারিবারিকভাবে আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীরর প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ধূলা দূষরণের কারণে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৪,০০০ থেকে ১০,০০০  হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এই সর্বগ্রাসী ধূলা দূষণ বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ২৩ জানুয়ারী ২০১৪ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ এর সামনে পরিবেশ বাচাও আন্দোলন (পবা) ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিসিএইআরডি)-র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে উক্ত দাবী জানানো হয়। 

প্রেস রিলিজ- pobabd.org/activities.php
ছবি- pobabd.org/photo.php

পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবার সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ, বিসিএইচআরডির নির্বাহী পরিচালক মো: মাহবুল হক, মডার্ণ ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত, ইউনাইটেড পীস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল রহমান, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি হাজী শেখ আনসার আলী, রেইনবো নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের জান্নাতুল নাইম, মো: সেলিম প্রমুখ। 
 
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধূলার কারণে দোকানের জিনিসপত্র, কম্পিউটারসহ নানা ইলেক্ট্রনিক্স সা¤্রগ্রী দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ধূলা দূষণে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ধূলা জনিত রোগব্যাধির প্রকোপ। রাস্তার পাশে দোকানের খাবার প্রতিনিয়ত ধূলায় বিষাক্ত হচ্ছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগ জীবানু মিশ্রিত ধূলা ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুস ক্যান্সার, ব্রংকাইটিস, শ্বাসজনিত কষ্ট, হাপানী ও যক্ষাসহ নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় ধূলা দূষণের ফলে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। 

ধূলা দূষণের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় নিন্মোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়-নিয়মিত রাস্তা পরিষ্কার করা, পরিসেবার সংযোগ মেরামত, বৃদ্ধি ও নতুন সংযোগ স্থাপনের সময় রাস্তা খননে সৃষ্ট মাটি সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে ফেলা, দালানকোঠা বা অন্যকোন অবকাঠামো তৈরির সময় নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপর বা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় না রাখা । এমন কোন সামগ্রী যা থেকে ধূলার সৃষ্টি হতে পারে তা বহনের ময় সঠিক আচ্ছাদন ও  প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া। রাস্তার পাশের ড্রেন পরিষ্কার করার সময় ড্রেন থেকে তোলা আবর্জনা রাস্তার পাশে যাতে জমিয়ে না রাখা হয় সে ব্যবস্থা নেয়া। সকল আবর্জনা যথাযথ স্থানে ফেলাব। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিবহনের সময় যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা। ফুটপাতসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার করা। ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা যানবাহনগুলো যথাযথভাবে পরিষ্কার করা। সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করা। পাশাপাশি ধূলা দূষণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা তৈরির জন্য সরকার বেসরকারি সংগঠন ও সচেতন মহলকে যথায