ঈদে নৌ-পথে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণে দিনের বেলা লঞ্চ চালু এবং নৌ-যান ঘাটতি মিটিয়ে
আগষ্ট মাসে এ সময় নদীর পানি সর্বোচ্চ সীমায় থাকবে এবং স্রোতের তীব্রতায় উত্তাল নৌ-পথে অসংখ্য ঘুর্ণাবর্ত ও মওসুমী বায়ুর প্রবল চাপে নৌ যোগাযোগ ঝুকিপূর্ণ হবে। আশংকাপুর্ণ ঈদে নৌ দূর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলা লঞ্চ চালু করা, রোটেশন পদ্ধতি বাতিল করে পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ চালু রাখা এবং লঞ্চে উঠার আগেই টিকিট কাটার ব্যবস্থা রাখতে হবে। আজ  ২২শে জুলাই ২০১২, রোববার, সকাল  ১০.৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও জনউদ্যোগ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠক থেকে উক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে মূলবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী  শাহজাহান খান। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মনজুরুল আহসান খান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো: শামসুদ্দোহা খোন্দকার, সাবেক সচিব সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মো: মজিবর রহমান, আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান, নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: শাহ আলম, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব সামসুল আলম সজ্জন প্রমূখ।
বৈঠক থেকে জানানো হয়-উৎসবের সময় সরকার কর্তৃক যাত্রী পরিবহন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ কেবলমাত্র ঢাকা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে। হাওর এলাকায় কোন পর্যবেক্ষণ হয় না। আসন্ন ঈদের সময় অতিরিক্ত পরিবহন চাহিদা পূরণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ, দূর্যোগপ্রবণ আবহাওয়ার মধ্যে নৌ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা জোরদার করা দরকার। 
বৈঠকে নৌ পরিহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন আসন্ন ঈদে প্রায় ত্রিশ লক্ষ যাত্রীর নিরাপদ ও সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্যে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছি। 
সিপিবি সভাপতি মনজুুরুল আহসান খান বলেন-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর পলিসির কারণে সড়ক পথের গুরুত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি করে নৌ পরিবহন খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। নৌ-খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে এ সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে
বৈঠক থেকে নিন্মোক্ত  সুপারিশ করা হয়-
১.    উৎসবের সময় যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা সমন্বিত করতে হবে
২.    দিনের বেলা লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করে টার্ণ রাউন্ড বাড়াতে হবে 
৩.    বিআইডব্লি¬উটিসিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে এবং সরকারী খাতে যাত্রীবাহী নৌ-যান সংগ্রহ করতে হবে 
৪.    যাত্রী চাহিদা নিরূপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
৫.    লঞ্চে আরোহনের পূর্বে যাত্রীদের টিকেট দিতে হবে 
৬.    স্বাভাবিক সময়ে আদায়ের হার অনুসারে ঈদের সময় ভাড়া আদায় করতে হবে 
৭.    লঞ্চের ফিটনেস নিশ্চিত করা, 
৮.    লাইফ জ্যাকেট ও বয়া পর্যাপ্ত রাখা, লঞ্চের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা
৯.    নৌ পরিবহনে বরাদ্দ বাড়াতে হবে