সম্পতি বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের পরিবেশগত মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে

প্রতিবেদনে দেখা যায় পরিবেশগত বিপর্যয় ও দূষণজনিত মৃত্যুর দিক থেকে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। জনজীবন, অর্থনীতি ও পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির যে পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তা গা শিউরে উঠার মতো। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-সহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন এবং মিডিয়াগুলো বাংলাদেশের পরিবেশগত বিপর্যয় ও জনজীবনে এর প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে।

উন্নয়ন শুধুমাত্র জিডিপির প্রবৃদ্ধির অংকে নয় পরিবেশসম্মত উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ইট ভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এখনো অনেক ইটভাটা পুরনো মডেলের, অননুমোদিত নি¤œ প্রযুক্তির। জ¦ালানি হিসেবে ইট ভাটায় কাঠ, টায়ার, প্লাস্টিক ও নি¤œমানের কয়লা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাতাস দূষণ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। পরিবহন খাতে জ¦ালানি থেকে বাতাস দূষণ হচ্ছে ব্যাপকহারে। পুরনো মডেলের নিন্মমানের গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে এবং জ¦ালানি তেলের মান উন্নত করতে হবে। শিল্পকারখানা থেকে দূষণ হচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। শিল্পকারখানার দুষণ বন্ধে সিইটিপি বা ইটিপি যাতে যথাযথভাবে চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি খাতে ব্যাপকহারে নিন্মমানের কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নদী ও জলাশয়ের দখল দূষণ বন্ধ করতে হবে। গাছপালা ও বন জঙ্গলের বৃদ্ধি করতে হবে। অর্থাৎ পরিবেশসম্মতভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের যে সমস্ত নীতিমালা, আইন ও বিধিমালা রয়েছে তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। একইসাথে নাগরিকদেরকে নিজেদের কার্যক্রম পরিবেশসম্মতভাবে পরিচালনা করা ও জীবনযাপনে সামাজিকভাবে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

ধন্যবাদসহ

(আবু নাসের খান)
চেয়ারম্যান