ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম জোরদার এবং গণ উদ্যোগ বৃদ্ধি কর
 
করোনা অতিমারীর পাশাপাশি ডেঙ্গুও বর্তমানে একটি বহুল আলোচিত বিষয়। করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে চলেছে। হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের মতে করোনার মতো ডেঙ্গুও তার রূপ বদলাচ্ছে। দুই তিন বছর আগে ডেঙ্গুর যেরকম লক্ষণ দেখা যেতো যেমন ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় জ্বর, র‌্যাশ আসা, ৪-৫ দিন পর প্লাটিলেট কমে যাওয়া সেরকম লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ করেই জ্বর বা সামান্য জ্বর। দুই-তিন দিনের মধ্যে প্লাটিলেট কমে যায়, রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। ডেঙ্গুর সঙ্গে পেটে কিংবা বুকে পানি, হার্টের সমস্যার মতো জটিলতা এবার বেশি হচ্ছে। আবার অনেকের করোনা এবং ডেঙ্গু হচ্ছে। ডেঙ্গুতে শিশুদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। তাই পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাসফ-সহ ১৭ টি সংগঠনের উদ্যোগে আজ ২৮ আগস্ট ২০২১, শনিবার, সকাল ১১.০০টায়, জাতীয় জাদুঘরের সামনে(শাহবাগ) “ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম জোরদার এবং গণ উদ্যোগ বৃদ্ধি করা” -দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 
 
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান -এর সভাপতিত্বে ও বানিপার সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নাসফ-এর সাধারণ সম্পাদক মো: তৈয়ব আলী, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগ-এর সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ গ্রীণরুফ মুভমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো: গোলাম হয়দার, বিডি ক্লিক এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, বানিপা’র সভাপতি প্রকৌ. মো. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি মো: শহীদুল্লাহ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো: ইমরান হোসাইন, নগরবাসী সংগঠন এর সভাপতি হাজী মো: আনসার আলী, নাসফ-এর সহ-সভাপতি অলিভা পরভীন, সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন, সহ-সম্পাদক মো. সেলিম, ইসি সদস্য শাকিল রেহমান, আদি ঢাকাবাসী ফোরাম-এর সদস্য সচিব জাভেদ জাহান, আলোকিত বন্ধু সংঘ এর সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: রনি, গ্রীণফোর্স সদস্য এর  আহসান হাবিব প্রমুখ। 
 
বক্তারা বলেন- বৃষ্টি হবার পরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে এডিস মশার প্রজনন বেড়ে যায়। এগুলোকে কীটনাশক দিয়ে ধ্বংস করতে হবে। বাড়ির ছাদ, ঘরের ভিতর/বারান্দার অব্যবহৃত ও জমানো পানির পাত্র; এসি ও ফ্রিজের নিচের জমানো পানি; ঘরের চারপাশে জমা পানি; পানি জমে থাকা মাটি ও প্লাস্টিকের পাত্র; বালতি, ড্রাম, অব্যবহৃত টায়ার ও কর্কশিট; পরিত্যক্ত খোলা টিন ও কমোড; নির্মাণাধীন ভবনের পানির সংরক্ষণাগার; ফেলে রাখা পাত্র, কনডেন্সড মিল্ক ও রঙের কৌটা; পাইপে জমে থাকা পানি; সড়কদ্বীপের জলাধার; ডাবের খোল; মেট্রোরেলসহ বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প ও সেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্মকান্ডে সৃষ্ট গর্তে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে এবং বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। সুতরাং আমাদেরকে এডিস মশার প্রজনন বিস্তার রোধ ও ধ্বংস করতে হবে।
 
চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৪০ জন মারা যান। এর মধ্যে জুলাই মাসে ১২ জন এবং ২৭ আগষ্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত  ২৬ দিনে ২৮ জন।  ২৭ আগষ্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত  আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৩০৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৮ হাজার ২৩০ জন। ২৭ আগষ্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত  গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৬৯ জন এবং অন্যান্য জেলায় ১৫ জন ভর্তি হন।  এ নিয়ে ২৭ আগষ্ট রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯০৫ জন এবং অন্যান্য জেলায় মোট ১২৭ জন ভর্তি ছিল। করোনা অতিমারীর মধ্যে এ বছরের জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকে। জুলাইয়ে দুই হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়। আগষ্ট মাসের ২৭ তারিখ সকাল ৮টা পর্যন্ত  আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৪৬ জন। দুই দশকের বেশি সময় ধরে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব চলছে। ২০০০, ২০০১ ও ২০০২ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন যথাক্রমে ৫ হাজার ৫৫১ জন, ২ হাজার ৪৩০ জন ও ৬ হাজার ২৩২ জন এবং মারা যান ৯৩, ৪৪ ও ৫৮ জন। ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোনো প্রাণহানি হয়নি। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়ায়। ২০১৯ সালে এক লাখের বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।  সে বছর সরকারি হিসেবে মারা যান ১৭৯ জন। 
 
এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস বহন করে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র নিজেই ভোগান্তির শিকার হন তা নয়, তিনি ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারীও বটে। সংক্রামক এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গু হয়। এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারীকে কামড়ানোর পর মশার ভিতর ভাইরাস মাল্টিপ্লাই করে। সংক্রামক মশা ২-৩ সপ্তাহ বেঁচে থাকে। এসময়ে যাকে কামড়াবে তার দেহে সে ভাইরাস ঢুকিয়ে দিচ্ছে। অন্যান্য মশা যেমন কিউলেক্স  ডিমকে পরিপক্ক করার জন্য সুযোগ পেলে একজনের কাছ থেকেই তার চাহিদা মতো রক্ত নিয়ে নেয়। এডিস মশা কয়েক জনের কাছ থেকে তার প্রয়োজনীয় রক্ত নেয়। অনেক সময় রক্ত না নিয়েও হুল ঢুকিয়ে দিয়েও ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়। 
 
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের সময়কাল সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর। তবে জুন থেকে অক্টোবরে বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গুর মারাত্মক বিস্তার ঘটে। এ সময়ে জমে থাকা স্থির পানি ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার প্রজননের সঠিক পরিবেশ তৈরি করে দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার বিরূপ আচরণই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের অন্যতম কারণ। এডিস মশা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বনি¤œ ৭ থেকে ১০ দিনে জীবনচক্র সম্পন্ন করতে পারে। পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। এ বছর বর্ষায় আবহাওয়া সঠিক আচরণ করছে না। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এবার ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। অনুকূল পরিবেশ তথা বৃষ্টি ও আবহাওয়ার ঊষ্ণতা বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশাসহ নানা ধরনের কীটপতঙ্গের  প্রকোপ বাড়ছে। এডিস মশার ডিম শুকনা অবস্থায় ছয় মাস থেকে এক বছর বেঁচে থাকতে পারে। পরে পানির স্পর্শে ডিম ফুটে লার্ভা বের হয় এবং স্বচ্ছ পানিতে বৃদ্ধি লাভ করে। কোনো বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এডিস মশা যে ডিম দেয় পরবর্তী বছরের এপ্রিল-মে মাসে বৃষ্টিপাতে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এজন্য এপ্রিল-মে মাসে বৃষ্টি শুরু হলে মশার যে প্রজন্ম তৈরি হয় সেগুলো জুন-জুলাইয়ে ডেঙ্গু ছড়ায়। 
 
ডেঙ্গু সংক্রমনের দায় প্রধানতঃ নাগরিকদের, সিটি কর্পোরেশন এবং স্থানীয় সরকারের। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেবা প্রদানকারী সংস্থা, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ আরো অনেক সংস্থার দায় রয়েছে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জনগণকে সচেতন থাকতে হবে এবং এডিস মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। নিজের ঘরবাড়ি নিজে পরিষ্কার রাখা, ঘরের চারপাশে পরিষ্কার রাখা, তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি কোথাও পানি জমতে না দেয়া এবং মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষার ব্যবস্থা করা হলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। ঘরে ঘরে প্রবেশ করে মশা মারা যেমন ঢাকা দক্ষিণ ও উওর সিটি কর্পোরেশনের কাজ নয়; তেমনি ঘরের বাইরে এডিস মশার ডিম পাড়া এবং বংশ বৃদ্ধি রোধ করা সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব। যেখানে সেখানে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত পাত্র, মাটির হাঁড়ি, টায়ার, ক্যান যার মধ্যে জমা পানি থাকে বা কোনো গর্ত যেখানে বৃষ্টি হলেই পানি 
জমা থাকতে পারে সেখানেই নির্মূলের ব্যবস্থা করতে হবে। মহানগরীর নালা-নর্দমা, আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, মশা-মাছির প্রজনন স্থল ধ্বংসে লার্ভিসাইডিং এবং মশা নিধনে ফগিং করা দুই সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। 
 
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারনা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব স্থায়ী হবে। অতীতে ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এবছর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা না হলে আগামী বছরগুলোতে সারা দেশে ডেঙ্গু ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস এবং জনসচেনতা সৃষ্টি করা জরুরী। এডিস মশাকে ফগিং করে এবং রিপ্লেন্ট ও এরোসলের মাধ্যমে মেরে ফেলতে হবে। মশা ও মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে হাসপাতালগুলিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। রোগিদের বেশির ভাগই ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে। এদের কামড়ালেই মশারা ডেঙ্গু ভাইরাস পেয়ে যাচ্ছে এবং ৮-১০ দিনের মধ্যে সে সংক্রমিত হয়ে যাচ্ছে। সংক্রমিত হয়ে যাকে কামড়াচ্ছে, সেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের রিপ্লেন্ট, এরোসল ব্যবহার করতে হবে। রোগীদের মশারি, এরোসল এবং হাসপাতালের জানালায় নেট ব্যবহার করতে হবে।
 
প্রতিবছরই আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ বছরের আগস্ট মাসও তার ব্যতিক্রম নয়। আর যেভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তাতে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট আবহাওয়ার তারতম্যের কারণেই এই শঙ্কা থাকে। ডেঙ্গুর সঙ্গে বৃষ্টির ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। বৃষ্টির পর রাস্তায়, বাড়ির ছাদে বা যেকোনো জায়গায় যে পানি জমে, সেটিই ডেঙ্গুর লার্ভা বেড়ে ওঠার আদর্শ পরিবেশ। ফলে সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টি কতটুকু হবে, সেটিও হয়তো ডেঙ্গুর প্রকোপের অন্যতম নিয়ামক হয়ে উঠবে। তবে ভারী বর্ষণ না হয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বা থেমে থেমে বৃষ্টি হলে যে পানি জমে থাকে তা এডিস মশার প্রজননে অত্যন্ত সহায়ক। এগুলোই মূলত নির্ধারণ করবে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন থাকবে। 
 
মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি, পরিবার ও কমিউনিটি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ডেঙ্গু সরকারের একার পক্ষে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সবার সমন্বিত উদ্যোগ। 
 
সুপারিশসমূহ
১. ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সর্বস্তরের জনসাধারনকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
২. ডেঙ্গুর ব্যাপকতা, ঝুঁকি ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় এডিসসহ সব ধরনের মশার বংশবিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন কর্তৃক ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
৩. ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো।
৪. মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি, পরিবার ও কমিউনিটি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
৫. পরিবেশ বান্ধব কার্যকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করা এবং উড়ন্ত মশা মারা।
৬. এডিস মশার প্রজনন, বিস্তার, প্রতিরোধ ও প্রতিকার  নিয়ে নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৭. মশাবাহিত রোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ-প্রতিকারে দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করা। 
৮. মশক নিধন কার্যক্রম বছরব্যাপী নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা।
৯. জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জনস্বাস্থ্যের উপর যে বিরুপ প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং বিরুপ প্রভাব মোকাবেলার পথ খুঁজে বের করা।