নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই
জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঔষধ প্রয়োজন। কিন্তু সে ঔষধ যদি জীবন রক্ষার পরিবর্তে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে তাহলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। বিশ্ববাজারে যখন বাংলাদেশে উৎপাদিত ঔষধের চাহিদা বেড়ে চলেছে ঠিক তখনই এর বিপরীত চিত্র দেশের ঔষধের বাজারে। দেশীয় বাজারে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নকল ঔষধ, যার ফলে ক্রমশই অস্থির হয়ে উঠছে ঔষধ শিল্প ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। ভেজাল ও নকল ঔষধ এই শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে এক বিরাট অশনি সংকেত। পরিসংখ্যান মতে, দেশীয় বাজারে ভেজাল ও নকল ঔষধের বার্ষিক বিক্রয় প্রায় ১.৫ হাজার কোটি টাকার উপর। এই বিরাট অংকের ভেজাল ঔষধের বিক্রি থেকে সহজে অনুমান করা যায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উৎপাদিত ঔষধের সুনাম থাকলেও দেশীয় বাজারে চলছে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি। এইসব ভেজাল ও নকল ঔষধ বাণিজ্যের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। ভেজাল ঔষধের ফলে রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রাণহানির ঘটনাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এর প্রেক্ষিতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সহ সমমনা ১০ টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আজ ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার, সকাল ১১ টায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে "নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই" দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 
 
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান -এর সভাপতিত্বে ও পবা’র সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহা পরিচালক মাহবুল হক, বিডি ক্লিকের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, সামাজিক শক্তির সভাপতি মো: হাবিব উল্লাহ, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্ট এর প্রধান সমন্বয়ক রোজিনা আক্তার, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগ এর সভাপতি নাজিমউদ্দীন, সামাজিক আন্দোলন সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হীরু, পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির সাধারন সম্পাদক মেনন চৌধুরি,  দেবীদাস ঘাট সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি মো: মুসা, পরিস্কার ঢাকা এর সমন্বয়ক মো: শাজাহান, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের সভাপতি প্রকৌ: মো: আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
 
দশেে র্বতমানে প্রায় ৩০০টি ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতষ্ঠিান রয়ছে।ে র্বতমান বাজারমূল্য প্রতবিছর প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। র্বতমানে মাত্র ৩% ঔষধ আমদানি করতে হয় আর ৯৭% দশেীয় চাহদিা অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থকেইে মটোনো হচ্ছ।ে দশেরে চাহদিা মটিয়িে ১৫৭ টি দশেে বাংলাদশে ঔষধ রপ্তানী কর।ে কন্তিু কছিু লাইসন্সেধারী ও লাইসন্সেবহিীন কোম্পানি অধকি মুনাফার জন্য ভজোল ঔষধ তরৈি ও বাজার জাত করছ।ে যা মানুষরে যমেনি র্আথকিভাবে ক্ষতগ্রিস্ত করছে তারচয়েে বশেি শারীরকিভাবে ক্ষতগ্রিস্ত করছ।ে ববিসিি নউিজে প্রকাশতি তথ্য মত,ে বাংলাদশেে বছরে উৎপাদন হয় পঁচশি হাজার রকমরে ওষুধ, এর মধ্যে মাত্র চার হাজার ওষুধ পরীক্ষা করে দখোর সার্মথ্য আছে সরকাররে। আর এর দুই থকেে তনি শতাংশ ওষুধ ভজোল, নকল বা নম্নিমানরে। বাকি একুশ হাজার ওষুধ কখনো পরীক্ষাই করা হয় না।
 
বাংলাদশেে ওষুধ শল্পিরে সঙ্গে সংশ্লষ্টি বশিষেজ্ঞরা বলছনে, দশেে মোট উৎপাদতি ওষুধরে অন্তত দুই শতাংশ র্অথাৎ প্রতবিছর ৩০০ কোটি টাকার বশেি পরমিাণ র্অথরে ভজোল, নকল এবং নম্নিমানরে ওষুধ তরৈি হয়। নামে বনোমে বভিন্নি কোম্পানী ভজোল ঔষধ বাজারজাত কর।ে এইসব ঔষধরে লবেলেে কোনো ডএিআর নম্বর নাই। অনকে সময় থাকে না উৎপাদন ও ময়োদরে শষে তারখিও। ঔষধ আইন ১৯৪০ ও জাতীয় ঔষধ নীতি ২০১৬ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হব।ে প্রয়োজন হলে আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তরি বধিান করতে হবে যাতে কউে এ ধরনরে মানবতা বধ্বিংসী কাজ করার সাহস না পায়। প্রশাসনরে গুরুত্বর্পূণ ভূমকিা রাখার পাশাপাশি ঔষধ শল্পি সমতিরিও এ ব্যাপারে ভূমকিা রাখতে হব।ে সুতরাং অভজ্ঞি ডাক্তাররে প্রসেক্রপিশন অনুযায়ী ভালো কোম্পানরি ঔষধ লবেলেরে নাম, মূল্য ও ময়োদ উর্ত্তীণরে তারখি ইত্যাদি দখেে ক্রয় করতে হব।ে
 
দশেে বভিন্নি সময় পরচিালতি অভযিানে নকল ও ভজোল ওষুধ উৎপাদনকারীদরে গ্রপ্তোর করছেে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহনিীর সদস্যরা। কন্তিু তার পরও বন্ধ হচ্ছে না নকল ওষুধ উৎপাদন ও বক্রি।ি র্দুবল আইনরে কারণে নকল ওষুধ তরৈতিে ভয় পায় না তারা। ড্রাগস আইনে নকল ও ভজোল ওষুধ উৎপাদনকারীদরে র্সবােচ্চ শাস্তরি বধিান আছে ১০ বছর কারাদণ্ড। বশিষে ক্ষমতা আইনে মৃত্যুদণ্ডরে বধিান রয়ছে।ে তবে মামলা হওয়ার পর তদন্তকারী র্কমর্কতাদরে প্রভাবতি এবং র্আথকি শক্তি ব্যবহার করে সবকছিু তাদরে অনুকূলে নয়িে যায়। বশিষেজ্ঞরা বলছনে, নকল ও ভজোল ওষুধ উৎপাদন এবং বপিণনরে সঙ্গে জড়তিরা গণহত্যার মতো অপরাধ করছ।ে আমরা বলতে চাই, এই গণহত্যা এখনই থামাতে হব।ে আমরা দখেতে চাই, নকল ও ভজোল ওষুধ উৎপাদন ও বপিণনরে সঙ্গে জড়তি সব ঘটনার বচিার হচ্ছ,ে অপরাধীরা সাজা পাচ্ছে এবং সাজা ভোগ করছ।ে আইনরে ফাঁকফোকর গলে তারা যনে বরে হয়ে না আসতে পারে সটো নশ্চিতি করতে হব।ে জনস্বাস্থ্যরে মারাত্মক হুমকরি জন্য দায়ীদরে বরিুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নলিে পরস্থিতিি বদলাবে না।
 
 
 
 
সুপারশিসমূহঃ 
 
১. অসাধু কোম্পানীর মালকি, ড্রাগ টস্টেংি ল্যাবরটেরী অসাধু র্কমর্কতা এবং ঔষধ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লষ্টি ব্যবসায়ী ও চকিৎিসকদরে দ্রুত বচিাররে মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তরি ব্যবস্থা করা। 
 
২. সকল ধরনের ঔষধ পরিক্ষা করা নিশ্চিত করতে হবে এবং ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
 
৩. ভজোল ঔষধ চনোর এবং পরহিার করার ব্যপারে জনসচতেনতা মূলক র্কাযক্রম রডেওি-টভিতিে প্রচার করা।
 
৪. সারাদশেরে বড় বড় মডেকিলেরে র্পাশ্বে এবং বভিাগীয় শহরগুলতিে এমনকি জলো শহরে অতি দ্রুত ড্রাগ টস্টেংি ল্যাবরটেরীর স্থাপন করা। 
 
৫. মনটিরংি ব্যবস্থা জোরদার করা। এজন্য সৎ ও উদ্যমী র্কমী ও র্কমর্কতাদরে নযিুক্ত করা। 
 
৬. নিবন্ধনকৃত ফার্মেসী ছাড়া অন্য কেউ যেন ঔষধ বিক্রি করতে না পারে সেদিকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যে বা যারা বিক্রি করবে তাদের মালিকদের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
 
৭. ডাক্তাররে প্রসেক্রপিশন পরক্ষিা করার ব্যবস্থা করা।
 
৮. অতমিাত্রায় এন্টবিায়োটকি ঔষধ পরহিাররে ব্যপারে নষিধোজ্ঞা জারি করা এবং তা র্কাযকর করা।