জলাশয় ও পাহাড় খেকোদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

জলাশয় ও পাহাড় খেকোদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

জলাশয় দখল করে ও পাহাড় কেটে অবকাঠামো নির্মান, পাহাড়ের বন উজার করার প্রেক্ষিতে নানা দূর্যোগরে সৃস্টি হচ্ছে। জলাশয় ও পাহাড় খেকোদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। গত ১৭ জুন ২০১০ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)র এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। 

বক্তারা বলনে, পাহাড়গুলো হতে প্রথমে গাছ কেটে ফলো হচ্ছে গাছ মাটি ও পানি ধরে রাখে ফলে মাটিকে ধরে রাখার মতো গাছ আর থাকছে না। গাছ না থাকার ফলে ভুমি ক্ষয় তাড়ন্বতি হচ্ছে ভূমিক্ষয়ের কারণে ভূমরি কাঠামোর পরর্বিতন হয়। তারপর ঘরবাড়ী রাস্তাঘাট বা অন্য কাজের জন্য পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। গাছ কাটা, পাহাড়রে কাঠামো পরর্বিতন এবং ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে একটু বৃষ্টিপাতেই পাহাড়ের মাটি ধরে রাখা সম্ভব হয় না, যার প্রেক্ষিতে ভূমি ধ্বংশ হয়। এছাড়া পাহাড়ের মাটিক্ষয় বৃদ্ধির প্রক্ষিতে মাটি বৃষ্টির পানির সাথে মিশে গিয়ে নদী, নালা, খাল, বলি ভরাট করে ফলেছে। পাহাড়ে বনজঙ্গল না থাকলে শুষ্ক সময়ে এ এলাকার নদী, নালা, খাল, বিল জলাশয়গুলোতে কোন পানি থাকবে না। ফলে কিছুদিন পরে শুষ্ক সময়ে পাহাড়ী এলাকার খাবার পানসিহ, পানি সংকট চরম আকার ধারণ করবে এবং ভূমি ধ্বশও বৃদ্ধি পাবে।  

বক্তারা বলনে ঢাকা, ঢাকার আশপোশে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে শহরের আশে পাশের এলাকার জলাধার, নদী, খাল, বিল, পুকুর ভরাট করে আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে বলে রাখা ভাল জলাধার, নদী, খাল, বিল খাস জমি জলাধারগুলো ভরাট করার ফলে এখানে কোন জলাভূমি থাকছে না। ফলে শুধু জলাশয়গুলোই নিশ্বে:ষ হচ্ছে না, মাটির নিচে পানি জমা হতে পারছে না। ভূর্গভস্থ স্তরে পানি জমা হওয়ার প্রক্রয়িা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অন্য দিকে পানি পুণভরনের চেয়ে উত্তোলনের হার বেশি হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। যার প্র্রেক্ষিতে ভুমরি কাঠামোর পরর্বিতন হচ্ছে। ফলে ঢাকা শহরসহ যে সকল এলাকায় এধরনরে কার্যক্রম হচ্ছে তাতে ভূমি ধ্বংশ হতে পারে। এ অবস্থায় ভূমিকম্প হলে অনেক অবকাঠামো ধ্বংশের পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটবে। জলাধারগুলো ধ্বংশের প্রক্ষিতে জলাবদ্ধতা, পানি সংকট, উষ্ণতাসহ নানা সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা মানুষ ও পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঢেলে দিচ্ছে। 

কিছুদিন আগে ঢাকার নিমতলীতে মানুষ সৃষ্ট এক বিপর্যয়-এর কারণে শতাধকি মানুষরে মৃত্যু হয়। এধরনরে মৃত্যুগুলো কোন প্রাকৃতকি বিপর্যয় নয়। এ সকল কাযর্ক্রমের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট মৃত্যু গণহত্যার সামলি। কতিপয় ব্যক্তিগোষ্ঠীর কারণে জলাশয় ভরাট ও পাহাড় ধ্বংশের কারণে সৃষ্ট মৃত্যুগুলো প্রাকৃতকি দুর্ঘটনা নয়, এগুলো নর হ্ত্যার সামিল। জলাশয় দখল ও পাহাড় কাটার প্রেক্ষিতে ঝুকির মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জীবনকে দুর্বীসহ করছে।

সভায় পরিবেশবাদীরা সরকারের কাছে জলাধার ও পাহাড় খেকোদের অবিলম্বের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। মানববন্ধনে পবার চ্যায়ারম্যান পরিবেশবিদ আবু নাসের খান, সহসম্পাদক ইয়াকুব আলী, পীসের ইফমা হোসনে, নিরাপদ ডভেপলমেন্ট ফাউন্ডশনের ইবনুল সাইদ রানা, সাংবাদিক সদরুল আনাম, পুরান ঢাকার উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নাজমি উদ্দনি, সিএলএনবি মো: হারুন উপস্থিত ছিলেন।