বুড়িগঙ্গা নদী হতে পলিথিন-তরলবর্জ্য উদ্ধার ও উদ্ধারের স্থান সরজমিন পরিদর্শন।
বুড়িগঙ্গা নদী হতে পলিথিন-তরলবর্জ্য উদ্ধার ও উদ্ধারের স্থান সরজমিন পরিদর্শন।
 
নদীর কোল ঘেষে অবস্থিত বিভিন্ন কলকারখানা গুলোই প্রধানত দায়ী এ নদীকে ধ্বংস করার জন্য। ফ্যাক্টরীগুলোর অপরিশোধিত তরল বর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য অবাধে ফেলার কারণেই আজ এই বুড়িগঙ্গার দুরাবস্থা। ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশনের লাইনের মাধ্যমে কোন কোন কারখানার বর্জ্য আসছে তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন। বর্তমানে অপরিশোধিত বর্জ্য নদীতে নিক্ষেপ কিছুটা কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। অবিলম্বে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে তা নাহলে বুড়িগঙ্গার এই পরিচ্ছন্ন অভিযান কার্যকরী সুফল বয়ে আনবে না এবং নদীকে বাঁচানো হবে দুষ্কর। একদিকে বুড়িগঙ্গার তলদেশ পরিস্কার অভিযান শুরু হয়েছে অন্যদিকে নদীর দু’পাশ হতে নদীতে ময়লা ফেলা অব্যাহত আছে। আজ ৩ ফেব্র“য়রী/১০ সকাল ১১:০০টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর এক প্রতিনিধি দল বুড়িগঙ্গার বর্তমান অবস্থা ও পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিদর্শন করে এ সমস্যা চিহ্নিত করেছে। 
 
অন্তত বুড়িগঙ্গার তলদেশ পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করেছে এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এখন এ অভিযানকে সফল করতে যে সকল সমস্যাগুলি সামনে আসছে তা সাইন্টিফিক্যালি বিশ্লেষন করে তার সঠিক সমাধান করা। বর্জ্যরে মধ্যে কি কি ধরণের মেটাল আছে তা পরিক্ষা করা জরুরী তাহলে কিভাবে ডাম্পিং করলে আমরা সার্বিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবো তা নিরূপন করা সম্ভব হবে। 
 
যে সকল কলকারখানা হতে এখনও বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য পড়ছে তাদের চিহ্নিত করা, শাস্তি প্রদান এবং বর্জ্য নিক্ষেপ বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বুড়িগঙ্গার পরিচ্ছন্ন অভিযানের সাথে বিষাক্ত বর্জ্য নিক্ষেপন বন্ধের অভিযানও যুক্ত করতে হবে এবং সরকারীভাবে ঘোষণা দিয়ে এ অভিযান কার্যক্রমের সাথে চলমান রাখতে হবে। উত্তোলিত বর্জ্য যেখানে সেখানে আবাদি জমিতে ফেলাও ঠিক হবেনা। এতে আমাদের জন্য আরো এক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। বুড়িগঙ্গার এই পরিচ্ছন্ন অভিযান উদাহরণ হয়ে দেশের অন্যান্য নদীকে বাঁচাতে অভিজ্ঞতার সাহায্য করবে এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা হতে নিজ নিজ এলাকার নদীকে পূর্বাবস্থা ফেরাতে মানুষের মধ্যে উৎসাহের বীজ বপন করেছে।
 
 
১. খনন কাজের নিয়োজিত ঠিকাদার কোম্পানীগুলো কার্যক্রম আরো কঠোর ভাবে মনিটরিং করা প্রয়োজন। 
২. পরিবেশ