ধূলা দূষণ প্রতিরোধ ও ধূলা মুক্ত পরিবেশের দাবীতে রাস্তা ঝাড়– কর্মসূচী ও র‌্যালি
ধূলা দূষণ প্রতিরোধ ও ধূলা মুক্ত পরিবেশের দাবীতে 
রাস্তা ঝাড়– কর্মসূচী ও র‌্যালি
 
ধূলা দূষন একটি অন্যতম পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাথ্যের জন্য হুমকি। ধূলাবালি পেশাক পরিচ্ছদ, আসবাবপত্র, ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত, ও মূল্যবান প্রতœতাত্বিক নিদর্শনসহ মানব জীবনের অতি গুরুত্বপর্ণ সামগ্রী ও মানুষের জীবনকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে চলেছে। ধূলাদূষণ যথাযতভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে সুনিদ্রিষ্ট নীতিমালা ও তার যথাযথ বাস্তব ভিত্তিক কার্যক্রম প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি ধূলা দূষণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা তৈরীর জন্য সরকার, বেসরকারী সংগঠন ও সচেতন মহলকে যথাযত দায়িত্ব পালন করতে হবে। আজকের এই রাস্তা ঝাড় কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রত্যেকের নিজস্ব দায়িত্ববোধ এবং সরকারের করণীয় বিষয়ে গাফিলতি না করার আহ্বান জানাই। আজ ২৪ এপ্রিল শুক্রবার, সকাল ১০ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও ধূলা দূষণ প্রতিরোধ পর্ষদ এর যৌথ উদ্যোগে ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডের ৪/এ হতে (এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির সামনে) ‘ধূলা দূষণ প্রতিরোধে’ রাস্তা ঝাড়– কর্মসূচী শুরু হয় এবং ধানমন্ডি আবাহনি মাঠ সংলগ্ন স্থানে সমাবেশে বক্তাগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। আজকের এ কর্মসূচী স্থপতি অধ্যাপক ড. শামসুল ওয়ারেস পরিচালনা করেন। 
 
কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন-বিশিষ্ট স্থপতি অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেস, পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ধূলা দুষণ প্রতিরোধ পর্ষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাফর বেগ ও সমন্বয়কারী সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ শুভ, মোহাম্মদ আব্দুল রশিদ, প্রধান স্থপতি (অব:) বাংলাদেশ সরকার, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি এর প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির, স্থপতি বদরুল হায়দার, ভাস্কর মজিবুর রহমান, ড. আবু সাঈদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান ও ধানমন্ডির কয়েকটি ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক এবং উল্লেখযোগ্য স্থানীয় অধিবাসীগণ।  
 
ঢাকা মহানগরীতে ধূলা দূষণের ফলে স্বাস কষ্ট, যক্ষা, হাপানী, চোখের নানা ধরণের রোগ, ব্রঙ্কাইটিসসহ ধূলার দ্বারা যেসব রোগের জীবানু ছড়ায় সে সব রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ধূলা দুষণের ফলে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে এগুলো পরিস্কার করার জন্য অলাদা শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং এগুলোর মেয়াদ কমে যাচ্ছে। ধূলাদূষণের ফলে পেশাক পরিচ্ছদ ও অন্যান্য কাপড়চোপড় বেশি নোংরা হচ্ছে এবং এগুলো পরিস্কার করতেও অধিক শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং এগুলোর মেয়াদও কমে যাচ্ছে। ধূলাদূষণের ফলে শারিরীক পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্যও অধিক শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। শিশু, বৃদ্ধ ও অশুস্থ ব্যাক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় ধূলা দূষণের ফলে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 
 
এ দূষণের প্রতিরোধ ব্যবস্থায়- প্রতিদিন নিয়মমত রাস্তা পরিস্কার করতে হবে। পরিসেবার সংযোগ মেরামত, বৃদ্ধি ও নতুন সংযোগ স্থাপনের সময় রাস্তা খননে সৃষ্ট মাটি সম্পুর্ণরুপে সরিয়ে ফেলতে হবে। দালান-কোঠা বা অন্য কোন অবকাঠামো তৈরীর সময় নির্মান সামগ্রী রাস্তার উপর বা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় রাখা যাবে না। এমন কোন সামগ্রী যা থেকে ধূলা সৃষ্টি হতে পারে তা বহনের সময় সঠিক আচ্ছাদন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে। রাস্তার পাশের ড্রেন পরিস্কার করার সময় ড্রেন থেকে তোলা আবর্জনা রাস্তার পাশে জমিয়ে রাখা যাবে না। সকল আবর্জনা যথাযত স্থানে ফেলতে হবে। (৮) সিটিকরপোরেশন কর্তৃক আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিবহনের সময় যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে আবর্জনা ছড়িয়ে না পড়ে। ফুটপাত সমূহ নিয়মিত পরিস্কার ও মেরামত করতে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় প্রবেশকরা যানবাহগুলোর যথাযথভাবে পরিস্কার করতে হবে। এছাড়াও যে সকল কারণে ধূলা দূষণ হতে পারে তা রোধ করার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।