খনিজ সম্পদ লুটপাটের পিএসসি চুক্তি বাতিল ও তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই
খনিজ সম্পদ লুটপাটের পিএসসি চুক্তি বাতিল ও তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির 
কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই
 
তেলÑগ্যাস আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং এ সম্পদ রক্ষা করা জাতীয় কর্তব্য। রাষ্ট্রায়াত্ব সংস্থা পেট্রোবাংলাকে শক্তিশালী করা ও তেলÑগ্যাসে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা আজ জাতীয় দাবী। বিগত দিনে বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক ও অসচ্ছ প্রক্রিয়ায় আমাদের সম্পদ লুষ্ঠন করা হয়েছে। বিদেশী কোম্পানিগুলো দেশের পরিবেশ ধ্বংস এবং সম্পদ লুষ্ঠন করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং বেনিয়া কোম্পানিগুলোর স্বার্থে বিভিন্ন অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পিএসসি চুক্তি মোতাবেক সমুদ্রে ৪ টি ব্ল¬ক ইজারা দিয়ে গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দেশে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে যেখানে শিল্প কারখানাসহ গ্যাস ও বিদ্যুৎ নির্ভর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এ পরিস্থিতিতে গ্যাস রপ্তানির এ পিএসসি চুক্তি সরকারের গণতান্ত্রিক মনোভাবের পরিপন্থী। আজ ৭ সেপ্টেম্বর/০৯ সকাল ১১:০০টায় শাহবাগস্থ চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে আমতলায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে “খনিজ সম্পদ লুটপাটের পিএসসি চুক্তি বাতিল ও তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই” শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তাগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। 
 
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন-তেল-গ্যাস, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, পবা এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লোকসঙ্গীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতী, খিলগাও সামাজ উন্নয়ন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না, সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুষার রেহমান, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি হাজী আনসার আলী প্রমুখ। 
 
গত বুধবার সরকারের গৃহীত পিএসসি চুক্তি মোতাবেক আমাদের দেশের সমুদ্রের ৪টি ব্লক ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তেল-গ্যাস, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কর্মসূচীতে পুলিশ বর্বর হামলা চালায়। এ কর্মসূচীর  মিছিলে লোক সমাগম এমন ছিল না যে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের এমন বেপরোয়া আচরণ প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব সম্পদ রক্ষার দাবিতে আন্দোলন করা কোন অপরাধ হতে পারে না। দেশের সম্পদ রক্ষায় আন্দোলনকারীগন জাতীয় বীর। তাদের উপর এ ধরনের পুলিশ হামলা নিন্দনীয় এবং আনাকাঙ্গিত। গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে এ ধরনের আন্দোলন পুলিশের লাঠিচার্য, সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদসহ কয়েকজন বিশিষ্ঠ ব্যক্তিকে পুলিশ রাজপথে লাঠিপেটা করে। এটি কেবল দুর্ভাগ্যজনক নয় চরম নিন্দনীয়। আমরা এ অনাকাক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দাবী জানাইঃ
ক্স অবিলম্বে তেল-গ্যাস রপ্তানির পিএসসি চুক্তি বাতিল করতে হবে।
ক্স তেল-গ্যাস-কয়লা রক্ষা কমিটির কর্মসূচিতে পুলিশি বর্বরতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করতে হবে।