আহ্! সুন্দরবন তেল-বিপযস্ত বাদাবনের নির্ঘুম আখ্যান
আহ্! সুন্দরবন
তেল-বিপযস্ত বাদাবনের নির্ঘুম আখ্যান
 
একক আয়তনে দুনিয়ার বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় অরণ্য সুন্দরবন।বাঘ-কুমীর-পাখি-মাছ-শুশুক-বৃক্ষ-পতঙ্গ, মৌয়াল, বাওয়ালি, জেলে, মাঝি, চুনারি সব নিয়েই এ বনের জটিল সংসার। রাষ্ট্র নিদারুণভাবে সুন্দরবনের এ বহমান সংসারযাত্রাকে খান খান করে চলেছে। 
 
বহুজাতিক শেল কোম্পানিকে খননের অনুমোদন, মার্কিন দাতা সংস্থার প্রকল্প, বিশ্ব ব্যাংকের বাহাদুরি, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প কি বনের ভেতর নৌপথ। একের পর এক জখম নিয়েও সুন্দরবন দুবির্নীত রাখছে জোয়ার-ভাটার গণিত। কেবল সিডর বা আইলা নয়, জীবন বাজি রেখে এই বন দিন রাত তরতাজা রাখছে বাংলাদেশের প্রাণপ্রবাহ। বাংলাদেশ অংশের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের মুগমারী এলাকায় ৯ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে ‘এমটি সাউদার্ন স্টার-৭’ নামের এক কার্গোবোট ডুবে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ লিটার ফার্নেস তেল ছড়িয়ে পড়ে শ্যালা নদীসহ চাঁদপাই রেঞ্জের প্রায় খাল, ভাড়ানী ও বনস্তরে। তেল-বিপযয়ের ঘটনায় সুন্দরবনের বংশ ও বিস্তার এক দু:সহ যন্ত্রণা ও সংকটের মুখোমুখি। স্থানীয়ভাবে বাদাবন হিসেবে পরিচিত এ বন কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের গৌরবগাথা। সকল আঘাত আর বাহাদুরি সামলে সুন্দরবন অবিরত জীবনজয়ী আখ্যান রচনা করে চলেছে। দোষারোপের সংস্কৃতি আর নির্দয় অবহেলার ঘেরাটোপ ভেঙে রাষ্ট্র সুন্দরবনের এই জীবনজয়ী আখ্যান বুকের অতলে আগলে নিয়ে দাঁড়াক। আসুন বিশ্বের এই বৃহত্তম অরণ্য সংসারে আমরাও সামিল হই। 
 
 
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন  পবাঁ
 
 
প্রাণবৈচিত্র্যের সমৃদ্ধ আধার এবং একক আয়তনে পৃথিবীর বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় অরণ্য সুন্দরবন নির্দয় অবহেলায় ক্ষত-বিক্ষত। গত ৯ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখের তেল বিপর্যয়ের মাধ্যমে প্রিয় সুন্দরবনের কান্না আর দু:সহ যন্ত্রণার চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। দোষারোপের সংস্কৃতি আর অবহেলার ঘেরাটোপ ভেঙে বাংলাদেশের অহংকার সুন্দরবনের অরণ্য সংসারের সমৃদ্ধিতে আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা কাম্য।
 
এর প্রেক্ষিতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বারসিক, ফটো শিল্পী ও গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে শাহবাগস্থ ছবির হাটে এক ফটো প্রদর্শনী  “আহ ! সুন্দরবন” এর আয়োজন করা হয়ে।  ১৬ জানুয়ারী’ ১৫ তারিখ সকাল ১১টা থেকে ১৭ জানুয়ারী’ ১৫ রাত ১০টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাcক।